বিশেষজ্ঞদের মতে, কেকেআরের প্রথম একাদশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের নাম। দলের ব্যাটারদের নিয়ে প্রথম থেকেই খুব একটা চিন্তায় ছিলেন না শাহরুখ-গম্ভীররা। তার অন্যতম কারণ শ্রেয়স। সদ্য বিশ্বকাপ খেলেছেন শ্রেয়স। ফাইনালে তাঁর ব্যাটে রান না এলেও বিশ্বকাপ জুড়ে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো।
কেকেআরের সেরাদের তালিকায় রয়েছেন ব্যাটার নীতিশ রানাও। গত বছর শ্রেয়স চোট পাওয়ার পর কিছু দিন দলের হাল ধরেছিলেন নীতীশ। তবে তড়িঘড়ি করে তাঁকে অধিনায়ক করার মাসুল গুনতে হয়েছিল কেকেআরকে। দল সম্পর্কে তেমন ধারণা তখনও তাঁর তৈরি হয়নি। একাধিক ভুল সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। তবে বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি নিজে ভাল ব্যাটিং এবং বোলিং করেছিলেন।
এ বছরের মিনি নিলামে কলকাতার সেরা প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার বোলার মিচেল স্টার্ক। আইপিএলের ইতিহাসে মিচেলকে সব থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে নজির গড়েছে কলকাতার দল। নিলামে অস্ট্রেলিয়ার বোলারকে ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় কিনেছে কেকেআর। মিচেল বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার হিসাবে বিবেচিত হন। এ বারে কেকেআরের বোলিং বিভাগের মুখ হতে পারেন তিনিই।
বাকি বোলারদের মধ্যে প্রথম একাদশের তালিকায় থাকছেন সুযশ শর্মা। আইপিএলের গত মরসুমে রিঙ্কুর পর কেকেআরের আর এক আবিষ্কার ছিলেন সুযশ। গত বছরের আইপিএলে প্রথম দু’-একটি ম্যাচের ‘রহস্য স্পিনার’-এর খেতাব পেলেও তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি। মার খেয়েছেন বিপক্ষের হাতে। তবে তিনিও প্রথম একাদশে থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সুযোগ পেলে সুযশকে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে ব্যবহার করতে পারে কলকাতা।
নাইটদের দলে ভাল ভারতীয় পেসার নেই। তার মধ্যে হর্ষিত রানা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেললেও আইপিএলের মতো মঞ্চে এখনও যথেষ্ট পরীক্ষিত নন। আগের আইপিএল দেখে মনে হয়েছিল হর্ষিতের বলে গতি থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে নেই। তাঁকেও ঘষেমেজে নিতে হবে তারকা হতে হলে। তবে এক বছরে তিনি না কি নিজেকে অনেকটাই তৈরি করে ফেলেছেন। সেই কারণে ২০২৪-এর আইপিএলে হর্ষিতও কেকেআরের হয়ে হাল ধরতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy