American war veteran Terry Vance Garner was consumed by his own pigs dgtl
pig
Terry Vance Garner: ভুল করে শূকরছানা মেরে ফেলেছিলেন, ‘বদলা’ নিতে খামার-মালিককে মেরে খেয়েই ফেলল শূকরের দল!
আমেরিকার হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে গিয়েছিলেন টেরি ভ্যান্স গার্নার। ফিরে এসে কৃষিকাজে মন দেন। তাঁরই পালিত শূকরদের হাতে প্রাণ যায় টেরির।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২২ ১২:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
আমেরিকার হয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধে গিয়েছিলেন টেরি ভ্যান্স গার্নার। যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে তিনি এতটাই মর্মাহত হয়ে পড়েন যে, ঠিক করেন আর কোনও দিন যুদ্ধে যাবেন না। অতঃপর কৃষিকাজে মন দেন।
০২২০
পশুদের জন্য খামার তৈরি করে চাষবাস করার সিদ্ধান্ত নেন টেরি। কিন্তু কে জানত যে, যুদ্ধের গুলি থেকে রক্ষা পাওয়া টেরির প্রাণ যাবে তাঁরই লালনপলন করা পশুদের হাতে!
০৩২০
বেশ কিছু বড় আকারের শূকরের চাষ শুরু করেছিলেন টেরি। কখনও কোনও অযত্ন হতে দেননি পোষ্যদের। কিন্তু তাঁর পালন করা শূকররাই এক দিন তাঁকে খেয়ে ফেলে!
০৪২০
ওরেগনের কৃষক টেরি সেই ভাগ্যবান সৈন্যদের এক জন যিনি ভিয়েতনাম প্রাণ হাতে ফিরতে পেরেছিলেন। ফিরেই তিনি বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন।
০৫২০
তবে যুদ্ধ থেকে ফিরেও ভাগ্যের মার থেকে বাঁচতে পারেননি টেরি। টেরির স্ত্রী জানান, এক দিন সন্ধ্যায় শূকরগুলিকে খেতে দিতে খোঁয়াড়ে গিয়েছিলেন টেরি। তবে তিনি আর ফিরে আসেননি।
০৬২০
পর দিন টেরির স্ত্রী তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁর খোঁজ পাননি। কিছু সময় পর শূকরের খোঁয়াড়ের দিকে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে এক ভয়ানক দৃশ্য দেখেন টেরির স্ত্রী।
০৭২০
তিনি দেখেন, ওই খোঁয়াড়ের মেঝেতে মানুষের হাড়ের ছোট টুকরো এবং মানুষের দাঁত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। হাড় আর রক্ত পড়ে থাকলেও ওই মৃতদেহের সমস্ত মাংস কে বা কারা যেন খেয়ে নিয়েছে। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখে মূর্ছা যান টেরির স্ত্রী।
০৮২০
হুঁশ ফিরে এলে পুলিশের দ্বারস্থ হন টেরির স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে।
০৯২০
তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, শূকরদের খেতে দেওয়ার আগেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মেঝেতে পড়ে যান টেরি। এর পর তিনি তাঁরই পোষা শূকরদেরই খাবারে পরিণত হন।
১০২০
মৃত্যুর সময় টেরির বয়স ছিল ৬৯। তাই তাঁর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেননি টেরি।
১১২০
পুলিশ জানায়, টেরির মৃতদেহ এমন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যা পরীক্ষা করে টেরি কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না, তা বোঝার কোনও উপায় ছিল না।
১২২০
টেরিকে কেউ এ রকম নৃশংস ভাবে খুন করেছিল কি না, তা জানতেও তদন্ত চালিয়েছিল পুলিশ। তবে অনেক চেষ্টা করেও কোনও কূলকিনারা করতে পারেনি।
১৩২০
যখন টেরির ছিন্নবিচ্ছিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর পালিত শূকরদের মুখে রক্ত লেগে ছিল। মাংসের টুকরোও পাওয়া যায় তাদের পাকস্থলীতে। এ ছাড়া কাপড়ের টুকরোও তাদের পাকস্থলীতে পাওয়া গিয়েছে।
১৪২০
টেরির পরিবারের সদস্যেরা জানান, তিনি এক বার একটি শূকরছানাকে ভুলবশত মেরে ফেলেন। এর পরই তাঁকে বেশ কিছু শূকর আক্রমণ করে।
১৫২০
তবে তখন টেরি শূকরদের আক্রমণ থেকে বেঁচে যান। তাই হয়তো ওই দিন বাগে পেয়ে প্রতিশোধ নিতেই টোরির উপর আক্রমণ চালায় শূকরের দল। অন্তত এমনটাই দাবি টেরির পরিবারের সদস্যদের।
১৬২০
টেরির ভাই মাইকেল গার্নার জানান, শূকরের দল প্রথম বার আক্রমণ করার পর টেরি শূকরগুলিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে তাঁর হৃদয় পরিবর্তন হয়। শূকরের দলকে না মেরে তাদের আরও যত্ন করে লালনপালন করতে থাকেন।
১৭২০
টেরিকে যে শূকরগুলি আক্রমণ করেছিল, তার এক একটির ওজন ছিল প্রায় দেড়শো কেজি।
১৮২০
শূকর সাধারণত আক্রমণাত্মক হয় না। তবে এর আগেও শূকরদের মানুষকে খেয়ে ফেলার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।
১৯২০
চিনে এক বার দু’বছর বয়সি শিশুকে ঘিরে খেয়ে ফেলে শূকরের দল। রাশিয়াতেও এক মহিলা নিজের পোষা শূকরকে খাওয়ানোর সময় মৃগী রোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁকে তাঁরই পোষা শূকর জীবন্ত খেয়ে ফেলে।
২০২০
তবে যতই নিদর্শন থাকুক, টেরির মৃত্যুর ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।