২০১০ সালের মার্চ মাসে প্রথম যাত্রা শুরু করে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’। ভারত, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং বিলাসবহুল এক্সপ্রেস ট্রেনের তালিকায় এর নাম রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ আইআরসিটিসি মুম্বই এবং দিল্লি থেকে রাজস্থানের উদ্দেশে ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ নামে একটি বিলাসবহুল ট্রেনযাত্রার আয়োজন করেছেন। এই ট্রেনের টিকিটের দামও আকাশছোঁয়া। টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ১৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
ছবি: সংগৃহীত
০২১৭
ট্রেনে সফর করে ঘুরতে যেতে কার না ভাল লাগে? তার উপর সেই সফর যদি ভারতের এমন জায়গাগুলির উদ্দেশে হয়, যার পরতে পরতে রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ , তা হলে তো কথাই নেই। মহারাজা এক্সপ্রেসে সফর করলে ভ্রমণপিপাসুদের মন ভরতে বাধ্য।
ছবি: সংগৃহীত
০৩১৭
বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ট্রেনযাত্রার মধ্যে মহারাজা এক্সপ্রেস তার নাম লিখিয়েছে। এমনকি, ভারতের দামি টিকিটের নিরিখে বিচার করলে এই এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম তালিকায় সবার প্রথমে আসে।
ছবি: সংগৃহীত
০৪১৭
২০১০ সালের মার্চ মাসে মোট ৮৬ জন যাত্রী নিয়ে মহারাজা এক্সপ্রেস তার প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। মুম্বই এবং দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে এই ট্রেনটি রাজস্থানের জোধপুর, বিকানেরের মতো বিভিন্ন জায়গায় সফর করে।
ছবি: সংগৃহীত
০৫১৭
মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেনে একসঙ্গে ৮৮ জন যাত্রী সফর করতে পারে। যাত্রীদের থাকার জন্য ৪ ধরনের রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি রুমের সাজসজ্জায় রাজকীয় ভাব ধরা পড়ে।
ছবি: সংগৃহীত
০৬১৭
যাত্রীরা তাঁদের পছন্দ মতো রুম বুক করতে পারেন। এক এক ধরনের রুমের সাজসজ্জাও এক এক রকম। তার উপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
০৭১৭
‘ডিলাক্স কেবিন’, ‘স্যুট’, ‘জুনিয়র স্যুট’ এবং ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’ নামে ৪ ধরনের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কুপ রয়েছে মহারাজা এক্সপ্রেসে। আয়তন এবং প্রাপ্ত সুবিধা অনুযায়ী টিকিটের মূল্য আলাদা হয়। টিকিটের দাম শুরু হয় ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ১৯ লক্ষ টাকা।
ছবি: সংগৃহীত
০৮১৭
প্রতিটি কুপে রয়েছে মাস্টার বেডরুম, বাথরুম, আলাদা করে বসার জায়গা, মিনি বার ইত্যাদি। যাত্রীদের খেয়াল রাখার জন্য রুমপ্রতি ১ জন কর্মীকে রাখা হয়। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্মোক অ্যালার্মেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
০৯১৭
মোট ২০টি ‘ডিলাক্স কেবিন’, ১৮টি ‘জুনিয়র স্যুট’, ৪টি ‘স্যুট’ এবং ১টি ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’ রয়েছে মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেনে। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট’-এর নাম ‘নবরত্ন’।
ছবি: সংগৃহীত
১০১৭
মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেন ৪টি আলাদা রুট দিয়ে যাত্রা করে। যাত্রাপথ অনুযায়ী তাদের নামও ভিন্ন। ‘দ্য হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া’র যাত্রা শুরু হয় টিনসেল নগরী মুম্বই থেকে। উদয়পুর, জোধপুর, বিকানের, জয়পুর, রণথম্ভোর এবং ফতেপুর সিক্রি হয়ে এই ট্রেন আগ্রায় এসে তার ৬ রাত্রি ৭ দিনের যাত্রা সম্পন্ন করে।
ছবি: সংগৃহীত
১১১৭
‘ট্রেজার্স অফ ইন্ডিয়া’ ট্রেনটি দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে আগ্রা, রণথম্ভোর, জয়পুর হয়ে আবার দিল্লিতে ফিরে আসে। যদিও এই সফর করতে সময় লাগে ৩ রাত্রি ৪ দিন।
ছবি: সংগৃহীত
১২১৭
‘দ্য ইন্ডিয়ান প্যানোরামা’ ট্রেনটি দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করে জয়পুর, রণথম্ভোর, ফতেপুর সিক্রি, আগ্রা, ওরছা, খাজুরাহো এবং বারাণসী হয়ে আবার দিল্লিতে ফিরে আসে। এই যাত্রা সম্পন্ন করতে ৬ রাত্রি ৭ দিন সময় লাগে।
ছবি: সংগৃহীত
১৩১৭
‘দ্য ইন্ডিয়ান স্প্লেনডর’ও যাত্রা শুরু করে দিল্লি থেকে। তার পর আগরা, রণথম্ভোর, জয়পুর, বিকানের, জোধপুর, উদয়পুর হয়ে মুম্বইয়ে ফিরে আসে।
ছবি: সংগৃহীত
১৪১৭
মুম্বই বা দিল্লি থেকে রাজস্থান যাওয়ার পথে যে যে জায়গায় মহারাজা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়ায়, সেই জায়গার বিখ্যাত পর্যটনস্থলগুলিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তাজ মহল, রণথম্ভোর ন্যাশনাল পার্ক, রাজস্থানের বিভিন্ন দুর্গও এই তালিকায় রয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
১৫১৭
মহারাজা এক্সপ্রেসে মোট ১৪টি গেস্ট ক্যারেজ রয়েছে। এই ক্যারেজগুলির নামেও চমক রয়েছে। ‘মোতি’, ‘মানিক’, ‘হীরা’, ‘পান্না’, ‘নীলম’ প্রভৃতি মণিমুক্তোর নামে ক্যারেজগুলির নামকরণ করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
১৬১৭
মহারাজা এক্সপ্রেসে ‘ময়ূর মহল’ এবং ‘রং মহল’ নামে দু’টি রেস্তরাঁ রয়েছে। প্রতিটি রেস্তরাঁয় একসঙ্গে ৪২ জন যাত্রী বসে খেতে পারেন। ট্রেনের রাঁধুনিরা জলখাবার থেকে শুরু করে মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করেন।
ছবি: সংগৃহীত
১৭১৭
শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই নয়, ওয়াইন, বিয়ার-সহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায় মহারাজা এক্সপ্রেসে। ‘রাজাহ্ ক্লাব’ এবং ‘সাফারি ক্লাব’ নামে দু’টি লাউঞ্জ বার রয়েছে এই ট্রেনে। যাত্রীরা এই লাউঞ্জগুলিতে বসে সুরাপানও করতে পারেন।