All you need to know about the details of Ritesh Agarwal, the CEO of OYO Rooms dgtl
Ritesh Agarwal
পড়াশোনা চালাতে সিম কার্ড বিক্রি করতেন! ‘ওয়ো’র মালিক রীতেশের জীবনে এ বার আর এক রঙিন মোড়
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের কনিষ্ঠতম স্বোপার্জিত কোটিপতি হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তোলেন ওয়ো রুমস-এর প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল।
সংবাদ সংস্থা
নয়া দিল্লিশেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ১২:০৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
মঙ্গলবার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন ওয়ো সংস্থার মালিক রীতেশ আগরওয়াল। নয়াদিল্লির বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন তিনি।
০২১৪
গীতাংশা সুদের সঙ্গে চারহাত এক করেছেন রীতেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রীতেশ। অতিথিদের তালিকায় বাদ পড়েননি শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীও।
০৩১৪
বর্তমানে আট হাজার কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক রীতেশ। শূন্য থেকে তিলে তিলে কোটি টাকার সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন ২৯ বছর বয়সি রীতেশ।
০৪১৪
১৯৯৩ সালের ১০ নভেম্বর ওড়িশার বিসাম কটকে জন্ম রীতেশের। তাঁর বেড়ে ওঠা তিতলাগড়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হওয়ায় রীতেশের জীবনে বিলাসিতার ছোঁয়া ছিল না।
০৫১৪
রায়গড়ে একটি ছোট দোকান ছিল রীতেশের পরিবারের। সেই দোকান থেকে যা রোজগার হত, তা দিয়েই সংসার চলত তাঁদের। ১৩ বছর বয়সে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য ফোনের সিমকার্ড বিক্রি করতেন রীতেশ।
০৬১৪
ওড়িশাতেই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন রীতেশ। তার পর রাজস্থানের কোটায় যান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়বেন বলে কোটায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। ২০১১ সালে রাজস্থান থেকে সোজা রাজধানীতে চলে আসেন রীতেশ।
০৭১৪
কলেজে ভর্তি হবেন বলে নয়াদিল্লিতে আসেন রীতেশ। কিন্তু কলেজে বেশি দিন পড়তে পারেননি তিনি। মাঝপথেই কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি ‘ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’-এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
০৮১৪
জার্মান-আমেরিকান শিল্পপতি পিটার থিয়েল একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করেন যেখানে ২২ বছর বা তার কমবয়সি তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
০৯১৪
কলেজ মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে ‘ওরাভেল স্টেজ’ নামে নিজস্ব সংস্থার জন্য কাজ শুরু করেন রীতেশ। এই সংস্থার মাধ্যমে দেশের কোথায়, কোন হোটেল কম খরচে পাওয়া যাবে— তার সন্ধান পাওয়া সম্ভব।
১০১৪
ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে ২০১২ সালে বিজয়ী হন রীতেশ। এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ লক্ষ টাকা) পেয়েছিলেন তিনি। পুরো টাকাই ‘ওয়ো রুমস’ সংস্থা তৈরি করতে খরচ করে দেন রীতেশ।
১১১৪
নিজের সংস্থা তৈরির সময় রীতেশ ভাবতেন যে, টাকাপয়সার জন্য যদি তাঁকে পরিবারের কাছে সাহায্য চাইতে হয়, তা হলে তাঁকে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলবেন পরিবারের গুরুজনেরা। কিন্তু রীতেশের জীবনে এই পরিস্থিতি কখনও আসেনি।
১২১৪
নিজের সংস্থা তৈরির প্রয়োজনে গুগল থেকে বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন রীতেশ। ২০১৩ সালের মে মাসে ওয়ো রুমস প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
১৩১৪
তবে নিজের সংস্থা বাজারে চলবে কি না, তা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে কাটিয়েছিলেন রীতেশ। এমনকি, সে সব হোটেলে যাঁরা থাকতেন, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলতেন রীতেশ। হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন, কোন কোন জায়গায় খামতি রয়েছে— সব নজরে রেখেছিলেন রীতেশ।
১৪১৪
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের কনিষ্ঠতম স্বোপার্জিত কোটিপতি হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তোলেন রীতেশ। ইনস্টাগ্রামেও তাঁর অনুরাগী সংখ্যা প্রচুর। এখনও পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই।