বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে ক’টা হলুদ কার্ড দেখানো হল, কার কপালে লাল কার্ডের কোপ পড়ল? ক’টা পেনাল্টি পেল কোন দল? তেকাঠিতেই বা ক’বার বল ঠেলা হয়েছে? এ সব তথ্য নিজের কাছে জমা করতে থাকে উব্লো। এমনকি, গোলের বাইরের জালে বল মারলেও তা জেনে যায় এ ঘড়ি। যার সময়, সংখ্যা হিসাব রেখে দেয় নিজের ভিতরে। প্রয়োজনে পরেও এই সবিস্তার তথ্য ঘড়ি থেকে পেয়ে যান রেফারিরা।
এত কিছু তথ্যপ্রমাণ রাখার জন্য উব্লোর মাথায় পুরে দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষমতা। গুগ্ল অয়্যার অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)-এর কোয়াডকম স্ন্যাপড্রাগন ৪১০০ প্রসেসর চালিত এই ঘড়িতে রয়েছে একটি অ্যাক্সেলোমিটার, একটি জাইরোস্কোপ, স্পিকার, জিপিএস এবং অবশ্য রেফারির হৃদ্স্পদন নজরের রাখার বন্দোবস্ত। এটিতে আগে থেকেই যোগ করা থাকে কয়েকটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ।
উব্লো প্রস্তুতকারকদের দাবি, ২ ঘণ্টার চার্জে ঘড়ির পুরো ব্যাটারিই দিনভর কার্যক্ষম থাকবে। ৪৪ মিলিমিটারের ‘বিগ ব্যাং ই’-র ডায়ালটি বার্গেন্ডি রঙের। তবে এর স্ট্র্যাপটি কালো এবং বার্গেন্ডি মেশানো রাবারের। তাতে আবার কাতারের পতাকার রঙের ছোঁয়া। তবে রেফারিরা চাইলে কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী যে কোনও দেশের পতাকার রংওয়ালা স্ট্র্যাপের উব্লো পরতে পারেন।
কবে থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল উব্লো? ২০০৮ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের সরকারি ঘড়ি হিসাবে ময়দানে নেমেছিল উব্লো। এর দু’বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম বার একে প্রতিযোগিতার সরকারি ঘড়ি হিসাবে ঘোষণা করে ফিফা। তার পর থেকে টানা চতুর্থ বারের বিশ্বকাপে উব্লোই ভরসা রেফারিদের।
বিশ্বকাপ চলকালীন উব্লোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে পুরুষ ফুটবলারদের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে। পেলে, লুই ফিগো, দিদিয়ের দেঁশ, মার্সেল দেসাইয়ের মতো প্রাক্তন এবং কিলিয়ান এমবাপের মতো বর্তমান তারকাকে। এই তালিকায় রয়েছেন রোমার ম্যানেজার হোসে মোরিনহো। তবে মহিলা ফুটবলারদের মধ্যে উব্লোর একমাত্র বিপণন-দূত হয়েছেন লোর বুলো। প্রত্যেককেই একটি করে উব্লো বিগ ব্যাং ই উপহার দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy