বর্তমানে অক্ষয় কুমার বলিউড সিনেমার জগতে খ্যাতনামী হলেও নব্বইয়ের দশকে তাঁর এত নামডাক ছিল না।
ওই সময়েই অক্ষয় অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। তাঁর প্রথম ছবি ‘সৌগন্ধ’ ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়।
১৯৯২ সালে আব্বাস-মস্তান পরিচালিত ‘খিলাড়ী’তে অভিনয় করার পর তাঁর পরিচিতি বাড়তে শুরু করে।
অক্ষয় কুমার ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেন আয়েশা জুলকা, দীপক তিজোরী, শবীনা, শক্তি কপূর, অনন্ত মহাদেবন, প্রেম চোপড়া, জনি লিভার প্রমুখ।
কিন্তু অক্ষয় কুমার তখন উঠতি নায়ক। বাণিজ্যিক ছবিতে নতুন অভিনেতাকে মুখ্য চরিত্র হিসাবে রাখতে ভয়ই পাচ্ছিলেন ছবির প্রযোজক।
কয়েক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে উঠে আসে এমনই এক নতুন তথ্য।
পরিচালক জুটি আব্বাস-মস্তান জানান, ‘খিলাড়ী’ ছবির প্রযোজক অক্ষয় কুমার, রণিত রায়-সহ সদ্য সিনেমা জগতে আসা কিছু অভিনেতার নাম উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি বারংবার পরিচালকদের অনুরোধ করে গিয়েছেন, দীপক তিজোরীকে অন্য একটি মুখ্য চরিত্রে নেওয়া হোক।
দীপক তখন ‘যো জীতা ওহী সিকন্দর’, ‘সড়ক’, ‘আশিকী’-র মতো বহু সফল ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন কেড়েছেন।
অক্ষয় কুমারের উপর ঠিক ভরসা করতে পারছিলেন না প্রযোজক। ছবিতে দীপকের উপস্থিতিতেই সাফল্য আসতে পারে বলে ধারণা ছিল তাঁর।
কিন্তু আব্বাস-মস্তান এমন দুটো চরিত্র তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যারা একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে।
জানা যায়, রণিত রায়কেও এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
রণিতের ম্যানেজার ৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তাই তাঁর সঙ্গে আর এ নিয়ে বার্তালাপ বিশেষ এগোয়নি।
সূত্রের খবর, অক্ষয় কুমার এই ছবির জন্যে পারিশ্রমিক হিসাবে ২.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ‘খিলাড়ী’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যের শিখরে পৌঁছয় এবং একই সঙ্গে বলিউডে নতুন যাত্রা শুরু করেন অক্ষয় কুমারও।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy