How to get income tax benefit through electronic vehicle dgtl
income tax
শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বা সাশ্রয়ীই নয়, কর ছাড়েও জুড়ি নেই বৈদ্যুতিন যানের
যত দিন যাচ্ছে, ততই এই ধরনের গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বৈদ্যুতিন যান তৈরির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
তন্ময় দাস
শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ১২:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
বৈদ্যুতিন যানবাহন যে শুধু মাত্র পরিবেশের জন্যই ভাল তা নয়। এগুলির দক্ষতা ও ক্ষমতা ঐতিহ্যবাহী পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ির থেকে অনেক বেশি। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামে জর্জরিত হয়ে বহু গ্রাহক ভরসা রাখছেন বৈদ্যুতিন যানে। ফলে বিগত কয়েক বছরে এর বিক্রিও বেড়েছে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এগুলি শুধুমাত্র সাশ্রয়ীই নয়। ভারতে বৈদ্যুতিন যান কিনলে পাওয়া যায় কর ছাড়ের সুবিধাও।
০২১০
ভারতীয় আয়কর আইন অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য গাড়িগুলিকে বিলাসবহুল পণ্য হিসাবে পরিগণিত করা হয়। তাই বেতনভোগী পেশাদাররা গাড়ি কেনার সময়ে নেওয়া স্বয়ংক্রিয় ঋণের উপরে কর ছাড়ের সুবিধা পান না। ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকে আরও বাড়ানোর জন্য সরকার আয়কর আইনে একটি নতুন বিভাগ তৈরি করেছে যা বৈদ্যুতিন যানবাহনের মালিকদের প্রদেয় করের উপরে ছাড় দেয়।
০৩১০
যদিও এই মুহূর্তে ভারতে হাতে গোনা কয়েকটি বৈদ্যুতিন গাড়ির মডেল রয়েছে। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই এই ধরনের গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বৈদ্যুতিন যান তৈরির বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
০৪১০
আয়কর আইনে বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাড় পেতে পারেন এক জন ক্রেতা। বৈদ্যুতিন গাড়ি কেনার সময়ে নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময়ে ভারতীয় আয়কর আইনের ৮০ইইবি ধারার অধীনে কোনও ক্রেতা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এই কর ছাড় চার চাকা ও দুই চাকার বৈদ্যুতিন যানবাহন, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
০৫১০
যদিও এই ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি মানদণ্ড রয়েছে। প্রথমত, কোনও করদাতা যদি এক জন হিন্দু অবিভক্ত পরিবার বা অংশীদারি সংস্থা বা কোনও সংস্থা বা অন্য কোনও ধরনের করদাতা হন, তা হলে তিনি এর অধীনে কোনও সুবিধা নিতে পারবেন না।
০৬১০
অন্য দিকে এই ছাড় এক জন ব্যক্তির জন্য শুধু মাত্র এক বারই উপলব্ধ। অর্থাৎ যে ব্যক্তির আগে কখনও বৈদ্যুতিন গাড়ির মালিকানা ছিল না, তিনিই সেকশন ৮০ইইবি-র অধীনে ঋণের উপরে কর ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অন্য দিকে যাঁরা বৈদ্যুতিন গাড়ির জন্য অর্থায়ন করছেন তাদের জন্য এই ছাড় সীমিত।
০৭১০
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য কেন্দ্র বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যবহারকে আরও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি, বৈদ্যুতিন যানবাহন কেনার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে উৎসাহিত করার জন্য ক্রমশ চাপ দিচ্ছে। অগস্টে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলিকে ‘নিবন্ধন শংসাপত্র প্রদান বা নবায়ন করার উদ্দেশে ফি’ থেকে ছাড় দেওয়া হবে৷
০৮১০
বিগত বছরগুলিতে, সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর জিএসটি কম্পোনেন্টের পরিমাণ কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। হাইব্রিড এবং বৈদ্যুতিন যানবাহনের দ্রুত প্রোগ্রামের অধীনে চার চাকার বৈদ্যুতিন যানগুলি সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা ভর্তুকি অর্জন করতে পারে। অন্য দিকে দু’চাকার যান যাঁদের রয়েছে তাঁরা তাঁদের ক্রয় মূল্যের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন।
০৯১০
বৈদ্যুতিন অটোমোবাইল এবং স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল-এ, মহারাষ্ট্র সরকার সর্বোচ্চ আড়াই লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেয়। যেখানে দিল্লি, গুজরাত, অসম, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেয়। ওড়িষাতেও এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি পাওয়া যায়। মেঘালয়ে ৬০ হাজার টাকা ভর্তুকি পাওয়া যায়। দুই চাকার বৈদ্যুতিন যান কেনার জন্য দিল্লি, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, গুজরাত, অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান এবং ওড়িশায় পাঁচ থেকে ৩০ হাজর টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যায়।
১০১০
এই রাজ্যগুলির বেশির ভাগই তাদের বৈদ্যুতিন যান নীতির অংশ হিসাবে রাস্তার ফি প্রদান থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনকে ছাড় দেয়। রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ— এই সবক’টি রাজ্যেই বৈদ্যুতিন যানবাহনকে সম্পূর্ণ ভাবে রোড ট্যাক্স প্রদান থেকে অব্যাহতি দেয়।