একটু সহজ করে বলা যাক। ধরা যাক আপনি নতুন একটি বাড়ি কিংবা গাড়ি কিনবেন। কিন্তু সেই সময় আপনার কাছে টাকা নেই। তখন আপনি ব্যাঙ্কের কাছে নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট সুদের হারে টাকা ধার নিতে পারবেন। বেশির ভাগ মানুষ ব্যবসা শুরু করার সময় টাকা ধার করে থাকেন। নতুন ব্যবসা শুরু করতে বা ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি করতে ব্যবসাগুলির প্রায়ই ঋণের প্রয়োজন হয়। অন্য দিকে কর্পোরেশনগুলির নিজস্ব তহবিল বাড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী উপায় হল বন্ড ইস্যু করা।
আরও রয়েছে কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্ট, নন কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্ট, রিডিমেবেল এবং পারপেচুয়াল ইন্টারেস্ট। কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্টের ক্ষেত্রে প্রকল্প শেষে মূল টাকা এবং সুদ একসঙ্গে ফেরত পাওয়া যায়। কিন্তু নন কিউমুলেটিভ ইন্টারেস্টের ক্ষেত্রে প্রতি বছর সুদ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে রিডিমেবেলে ম্যাচুরিটির তারিখ উল্লেখ থাকে এবং ফেস ভ্যালু যত আছে সেটাই ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু পারপেচুয়াল ইন্টারেস্টে ম্যাচুরিটির তারিখ উল্লেখ থাকে না। ভারতে এই ধরনের বন্ডের অনুমতি নেই।
সরকারি বন্ড সাধারণত ক্রেডিট শূন্য হয়। কিন্তু কর্পোরেট বন্ডে প্রথম থেকেই উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি থাকে। পিএসইউ বন্ডের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে ধারা ৫৪ইসি এর ক্ষেত্রে বসবাসকারী কিংবা বসবাস করা হচ্ছে না— এমন যে কোনও সম্পত্তি বিক্রি করে যদি লাভ ৫০ লাখ টাকার কম হয়, তা হলে কোনও রকম কর দিতে হয় না। এই বন্ডে টাকা রাখার পর যে সুদ পাওয়া যায়, তার উপর কিন্তু কর দিতে হবে।
কোনও বিনিয়োগকারী বন্ডে দু’রকম ভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন। একটি পরোক্ষ ভাবে। অর্থাৎ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে। মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ডেট মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন ধরনের বন্ডে বিনিয়োগ করে। এই বিনিয়োগের সুবিধা হল এখানে বিনিয়োগের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। আবার এই বিনিয়োগে রিসার্চ করারও প্রয়োজন হয় না। তবে একটি অসুবিধাও রয়েছে। এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে ফান্ড পরিচালনার খরচ।
সরকারি বন্ডে যদি বিনিয়োগ করতে চান তা হলে সরাসরি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের দ্বারা বিনিয়োগ করতে পারবেন। সরকারি বন্ডে সুদের হার সাত থেকে আট শতাংশের মধ্যে থাকে। মনে রাখবেন, সরকারি বন্ড অনলাইনে কেনা যায় না। অর্থাৎ স্টক মার্কেটে কেনাবেচা হয় না। বন্ড শুধুমাত্র সার্টিফিকেট কিংবা ডিম্যাট ফর্মে দেওয়া হয়। মেয়াদপূর্তির পরই ওই টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে। এ ছাড়াও ন্যাশনাল অথারিটি অব ইন্ডিয়া, রুরাল ইলেকট্রিক কমিশন, পাওয়ার ফিন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড, এই সমস্ত কোম্পানি ট্যাক্স সেভিং বন্ড ইস্যু করে। ট্যাক্স সেভিং ফান্ডে সুদের হার পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ শতাংশ। এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি লং টার্ম ক্যাপিট্যাল গেইন-এর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
মনে রাখবেন, যে সব বন্ড স্টক মার্কেটে তালিকভুক্ত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১২ মাসের পর যে লাভ হবে তা লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন হিসাবে ধরা হয়। ১২ মাসের কম সময়ে যে লাভ হয় তা শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেন। আবার যে সব বন্ড স্টক মার্কেটে কেনাবেচা হয় না, সেই সব বন্ডের ৩৬ মাসের পর যে লাভ হয় সেটি লং টার্ম ক্যাপিটাল গেন হিসাবে ধরা হয় এবং ৩৬ মাসের কম হলে সেটি শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেন হিসাবে ধরা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy