Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রাগালাপে বর্ষা

রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বারীন মজুমদারসম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার আয়োজিত ‘রবীন্দ্রগানে রাগ মিঞা মল্লার’ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের কণ্ঠে ও যন্ত্রে মিঞামল্লারের রূপটি সুচারুরূপে পরিস্ফুট হয়। শুরুতে ছোট আলাপের পরে আসে ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ গানটি। রবীন্দ্রগান ও রাগালাপে শিল্পীরা যেন বর্ষার আবাহন বার্তা বহন করেন। গানের মাঝে চলতে থাকে রাগের বিস্তার। তারপর মধ্যলয়ে জোড় অঙ্গে গীত হয় ‘ঝরো ঝরো বরিষে বারিধারা’।

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০৫
Share: Save:

সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার আয়োজিত ‘রবীন্দ্রগানে রাগ মিঞা মল্লার’ অনুষ্ঠানে শিল্পীদের কণ্ঠে ও যন্ত্রে মিঞামল্লারের রূপটি সুচারুরূপে পরিস্ফুট হয়। শুরুতে ছোট আলাপের পরে আসে ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ গানটি। রবীন্দ্রগান ও রাগালাপে শিল্পীরা যেন বর্ষার আবাহন বার্তা বহন করেন। গানের মাঝে চলতে থাকে রাগের বিস্তার। তারপর মধ্যলয়ে জোড় অঙ্গে গীত হয় ‘ঝরো ঝরো বরিষে বারিধারা’। এর পর ঝালার মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের অনুষ্ঠান। অম্লান হালদার (বেহালা), সৌম্য আঢ্য (সেতার), চিরঞ্জিত প্রামাণিক (তবলা) ও অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় (কণ্ঠ) তাদের বাদনশৈলী ও কণ্ঠমাধুর্যে অনুষ্ঠানটিকে একটি অন্য মাত্রা এনে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে ছিল শ্রুতি-নাটক ‘ত্রিকোণ বন্দী’। রচনাকার প্রদীপ মহারানা। শ্রীরামকৃষ্ণের দুই শিষ্য বিবেকানন্দ ও গিরিশ ঘোষের সঙ্গে নানা ঘটনা। প্রত্যেক অভিনেতা তাদের স্বীয় অভিনয় নৈপুণ্যে নাটকটিকে অত্যন্ত মনোগ্রাহী করে তোলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন প্রদীপ মহারানা। বিবেকানন্দের ভূমিকায় ছিলেন চন্দন মজুমদার এবং গিরিশ ঘোষ চরিত্রে রূপদান করেন অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। অম্লান হালদার, সৌম্য আঢ্য ও চিরঞ্জিত প্রামাণিকের যন্ত্রানুষঙ্গ নাটকের সুন্দর আবহ সৃষ্টি করে।

কথা ও সুরের বৈচিত্র

শ্রীকান্ত আচার্যের সুরে অনবদ্য ‘তোর সাথে খেলা করি’

শ্রীকান্ত আচার্যের সুরে ‘তোর সাথে খেলা করি’ আধুনিক গানটি শুনে অপূর্ব এক নস্টালজিক অনুভূতিতে মনটা ভরে গেল। ‘রুদালি হাওয়া’ শীর্ষক আধুনিক গানের সম্ভারে তনিকা ভট্টাচার্য যে কটি গান গেয়েছেন তার প্রত্যেকটি গানেরই কথা ও সুরের বৈচিত্র মনে রাখার মতো। এ ছাড়াও ছিল ‘এই মনে’, ‘তোকে লিখি গানে গানে’, ‘রুদালি হাওয়ায়’, ‘বিকেলের ট্রামে’ প্রভৃতি। শ্রীকান্ত আচার্য ছাড়াও গানগুলির সুরকার গৌতম ঘোষাল, তাপস রায় প্রমুখ। বর্তমান সময়ের সঙ্গে মানুষের বোঝাপড়া, প্রেম ও অভিমান বা কলকাতার জীবনযাত্রায় নিজেকে মিলিয়ে দেওয়া। শিল্পীর কণ্ঠে অনুরণিত হয় বারবার গীতিকারদের লেখা এই সময়ের গানগুলি। যেমন ‘মন বাওরা’, ‘আবছা আলো’, ‘কোনও কথা নেই’ প্রভৃতি।

এখনও অনন্য আরতি মুখোপাধ্যায়

রবীন্দ্রসদনে ‘অন্বেষা’র আয়োজনে আরতি মুখোপাধ্যায় শোনালেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্র-গান শোনা এক অন্য অভিজ্ঞতা। শ্রোতাদের অনুরোধে তাঁকে বাড়তি গানও গাইতে হল। পরে সুতপা চৌধুরী গাইলেন ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’। গানের বিরতিতে ছিল আবৃত্তিও। সুপ্রকাশ মুখোপাধ্যায়ের ‘অন্তর মম বিকশিত কর’ কবিতাটি এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। এর পর গাইলেন দীপান্বিতা ভৌমিক ‘যদি তোর ডাক শুনে’, কাকলি দেব ‘আমার হিয়ার মাঝে’, সুদীপ্তা বর্মন ‘গোধূলি গগনে’, অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায় ‘ধায় যেন মোর’। এ ছাড়াও ছিলেন শিখা দত্ত, সাথী দাশগুপ্ত, সুজাতা কর্মকার প্রমুখ।

রাবীন্দ্রিক গানে

সম্প্রতি ‘ভাবে-অনুভবে’-র শিল্পীরা মঞ্চস্থ করলেন ‘বাইশে শ্রাবণ— রবীন্দ্রস্মরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। প্রবীণ শিল্পী শ্যামল ভট্টাচার্য দরদ দিয়ে গাইলেন কয়েকটি গান। তাঁর কণ্ঠ এবং রাবীন্দ্রিক ভাব, এ দিন শ্রোতাদের সত্যি আনন্দ দিয়েছে। ‘হে ক্ষণিকের অতিথি’ ও ‘কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না’ গানদুটিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের ‘রূপে তোমায় ভোলাব না’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তবে সুছন্দা ঘোষের ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি’ গানটি শ্রোতারা অনেক দিন মনে রাখবেন। নাচের অংশে দীপ্তাংশু পাল ও গার্গী নিয়োগী সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে একটি ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। তবে পাঠে ঊর্মি ভট্টাচার্য প্রশংসার দাবি রাখেন। যন্ত্রানুষঙ্গে পার্থ মুখোপাধ্যায়ের তবলা ও খোল আলাদা করে শ্রোতাদের নজর কাড়ে।

আছেন বিবেকানন্দ

বিবিবেকানন্দের আদর্শ অনুরণিত হল সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে। ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতও। সমবেত গানের পর ইরাবতী বসু শোনালেন বেশ কয়েকটি গান। ‘কোথা আছো প্রভু’, ‘তোমারেই করিয়াছি’ উল্লেখযোগ্য। শিল্পী পরে শোনালেন রবীন্দ্রনাথের চারটি পূজা পর্যায়ের গান। তার মধ্যে ‘আমি তারেই জানি’ সুগীত।

অন্য বিষয়গুলি:

rabin majumder arati mukherjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE