শুভাশুভের দ্বন্দ্বে রবীন্দ্রনাথ দ্বিধাহীন ভাবে দেখিয়েছেন মানুষের উত্তরণের পথ মঙ্গলেই। সমস্ত অনুভূতির শীর্ষে আছে মঙ্গলের বাসনা, শুভকামনার জয়। তাঁর রচনা তাই শান্তির সঙ্গে এসে থামে। রবীন্দ্রনাথের ভারতীয় ঐতিহ্যের অনুসারী, গ্রিক ট্র্যাজেডির ভয়ঙ্কর করুণ পরিণতি সেখানে অনুপস্থিত। কিন্তু ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যটি অনেকটাই ব্যতিক্রমী। এখানে শ্যামার প্রেম তীব্র কামনায় উদ্বেল, পাপ-পুণ্যের বোধরহিত। সুন্দরী লাস্যময়ী রাজনর্তকী শ্যামা পূর্ণযুবক বজ্রসেনের শরীরী সৌন্দর্যে কামমোহিত। তুলনায় তরুণ উত্তীয়ের প্রেমনিবেদনের আকর্ষণ তার কাছে অনেকটাই ফিকে। তাই বজ্রসেনকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টায় সে অনায়াসে বলি দেয় উত্তীয়কে। এই অপরাবোধ তার মনকে পীড়ন করেছিল হয়তো, নয়তো কেনই বা সে বজ্রসেনের কাছে স্বীকার করবে এ কাহিনি? অন্য দিকে বজ্রসেনও মুগ্ধ প্রেমিক পুরুষ, কিন্তু পাপ-পুণ্যের বিবেচনার কঠিনহৃদয়। শ্যামাকে ত্যাগ করে সে কঠোর ভাবে, অথচ তাকে ভুলতেও পারে না। এই বিচিত্র কঠিন ট্র্যাজেডির রূপায়ণ খুব সহজসাধ্য নয়। যদিও পরিচিত নৃত্যনাট্য, তবু মনে রাখতে হবে ‘শ্যামা’ কেবল নৃত্যগীত নির্ভর নয়, নৃত্যাভিনয় এর প্রাণ। এই কঠিন কাজটি স্বাভাবিক দক্ষতায় সম্পাদন এবং পরিচালনা করেছেন (শ্যামার ভূমিকায়) ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সম্প্রতি কলামন্দিরে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ প্রাক্তনী সমিতির আয়োজনে মঞ্চস্থ হল ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্য।
মঞ্চের পিছনে গান, পাঠ এবং যন্ত্রানুষঙ্গের আয়োজন। সামনের পরিসরে নাচ। ফলে দুই দলে যোগাযোগ প্রত্যক্ষ। সমগ্র প্রয়োজনার ভাবনাটি সুচিন্তিত এবং সুপ্রযোজিত। একটি স্বচ্ছ পর্দার আড়াল থেকে শ্যামার মঞ্চে প্রকাশ, রাজনর্তকীর আগাগোড়া লাল-সোনালি পোশাক আকর্ষণ আদায় করে নেয়। খুব ভাল লাগে একাধিক কোরাস দলের নৃত্যনির্মিতি এবং একাধিক শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর এবং তদনুযায়ী পোশাকের ব্যবহার। কিছু কিছু নৃত্যমুহূর্তে শ্যামা এবং বজ্রসেনের ভঙ্গিমা ভাস্কর্যের মতো। যেমন প্রেমের মগ্নতায় বজ্রসেনের উত্থিত ঊরুর উপরে বসা শ্যামা।
মুখের অভিব্যক্তিতে শ্যামার সব ছাপানো প্রেম, তার করুণ আর্তি, উত্তীয়কে মৃত্যুর মুখে পাঠিয়েও শেষ মুহুর্তে তাকে বাঁচাতে ছুটে যাওয়া—ঋতুপর্ণার অভিনয়ে জীবন্ত। কৌশিক চক্রবর্তীর ব্রজসেনও তার সঙ্গে সমানে সঙ্গত করেছে। তুলনায় উত্তীয় কিছুটা ম্লান। তার প্রেমের ঔজ্জ্বল্য বা আত্মত্যাগের উদারতা কোনওটাই তেমন স্পষ্ট হল না। নৃত্যাংশে খুব ভাল নগরকৌশলের ভূমিকায় কাজল হাজরা। তার দীপ্ত নৃত্যভঙ্গিতে কখনও কখনও যেন মণিপুরী নৃত্যের আভাস। বজ্রসেন পরিত্যাগ করেছে শ্যামাকে, আবার তার স্মৃতি তাকে বিধুর করছে—তখন শ্যামা ফিরে আসে সাদা পোশাকে, আভরণবিহীন—চমৎকার ভাবনা। সঙ্গীতাংশে ইন্দ্রাণী সেন এবং মনোজ মুরলী নায়ারের পরিবেশন পরিণত। মঞ্চসজ্জা, আলো, শব্দপ্রক্ষেপণ নৃত্যনাট্যকে স্বচ্ছন্দে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। খুব ভাল শ্রীলা মজুমদারের ভাষ্যপাঠ।
রায়া ভট্টাচার্য কৌশিক সেনকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশন করেন বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রথম পার্থ’ কাব্যনাটকের কর্ণ ও দ্রৌপদীর সংলাপ, প্রথমার্ধে—নৃত্যনাট্যের আগে। সুন্দর উপস্থাপনা।
নিষিদ্ধ সখারাম আবার মঞ্চে
‘প্রাচ্য’ নাট্যদলের নতুন নাটক ‘সখারাম’-এর মহলা দেখলেন দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়
মহলায় গৌতম, বিপ্লব । ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
আত্মপ্রাকাশ ১৯৭২-এ।
লালকার্ড ১৯৭৪-এই।
খান পঁয়তিরিশ আপত্তির কথা তোলে সেন্সর বোর্ড। শিবসেনা চোখ রাঙায়।
থিয়েটারও ‘ব্যান’ হয়।
এ দিকে বাল থ্যাকারে মশাই দেখেশুনে বলে দিয়েছিলেন, এর মধ্যে নিষিদ্ধ কিছু তিনি পাননি।
তাঁর কথায় অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি।
তাই মরাঠি নাট্যকার বিজয় তেন্ডুলকর-এর নাটক ‘সখারাম বাইন্ডার’ একেবারে শৈশবেই পড়ে কোপের কবলে।
যদিও শাপমোচনের পর ‘সখারাম’ অফ ব্রডওয়েতেও গিয়েছে। অন্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তার সেনসেক্স।
বাংলার নাট্যমোদীর কাছে এখনও এ নাটকের কথা পাড়লেই তাঁরা অবধারিত ভাবে শ্যামানন্দ জালানের ‘পদাতিক’-এ কুলভূষণ খারবান্দার কথা তুলবেনই তুলবেন।
সেই ‘সখারাম’-ই আবার ফিরছে ‘প্রাচ্য’ নাট্যদলের হাত ধরে।
প্রথম শো ৩ ডিসেম্বর। জ্ঞানমঞ্চ। সন্ধে সাড়ে ছ’টা।
নির্দেশনা অবন্তী চক্রবর্তী।
••••
বিজয় তেন্ডুলকর। বাংলায় তাঁর থিয়েটারের যাতায়াত বহুকালের। ‘চোপ আদালত চলছে’, ‘ঘাসিরাম কোতোয়াল’, ‘কমলা’, ‘কন্যাদান’ ...।
কিন্তু এই নাটকে কোথায় যেন একটা অদ্ভুত খেলা আছে ওঁর টেক্সট্-এ, যা অন্য কোথাও নেই। এখানে প্রায়ই মনে হয়, দস্তয়েভস্কির সঙ্গে এই বুঝি হাত ধরাধরি করে হেঁটে গেলেন আশাপূর্ণা, কী মহাশ্বেতা দেবী। উঁকি দিয়ে গেলেন নরারুণ ভট্টাচার্য, কী সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়।
নারী এখানে কখনও গরলের আধার, তো কখনও ফুটন্ত কড়াই। তার আচরণে কখনও নির্বাক সমর্পণ, তো কখনও ছিটকে ওঠা মন। কখনও সে কোমল লতা, তো কখনও রুখা জমির ধারালো কাঁটাওয়ালা ক্যাকটাস।
••••
কাহিনিটি সখারামকে নিয়ে। সখারাম দাস (গৌতম হালদার)। একজন বাইন্ডার। বই বাঁধাইওয়ালা।
আপাত ভাবে যাকে দেখলে মনে হয় সে বুঝি সাইকোপ্যাথ। কিন্তু সখারাম আদ্যন্ত কামুক। নেশাখোর।
যৌনতা তার কাছে একটা খিদে। বিয়েতে সে বিশ্বাসী নয়। মায়া, মমতা, প্রেম, বন্ধন তার পোষায় না। আদপে সে সামন্তপ্রভু। কিন্তু তার এই চেনা ছবিটা হঠাৎ করে বদলে গিয়ে থিয়েটারে রং ছড়ায়।
সখারাম স্বামী-তাড়ানো, বা স্বামীহারা অসহায় কোনও মহিলা খোঁজে। তার সঙ্গে ‘ঘর’ করে। শর্ত, দিনের বেলা রাঁধতে-বা়ড়তে হবে, রাতে হতে হবে শয্যাসঙ্গী।
এমনই শর্তে এক একজন আসে, থাকে। চলেও যায়। নয়তো সখারামই ঘাড় ধাক্কিয়ে বিদায় করে। আবার নতুন মেয়ের তলাশ চালায়।
এমনই এক মেয়ে লক্ষ্মী (দ্যুতি ঘোষ হালদার)। নর্দমার কীট হওয়াকেও যে ভবিতব্য মানে। সর্বস্ব বিকিয়েও পুরুযের সেবাদাসী হতে যার বাধে না। আবার এই লক্ষ্মীও কিন্তু ফণা তুলতে জানে!
নাটকের শুরু লক্ষ্মীকে দিয়েই।
লক্ষ্মী বিদায়ে আসে চম্পা (মনীষা আদক)। লক্ষ্মী যদি উত্তর হয়, তো চম্পা দক্ষিণ।
চম্পা কথায় কথায় গাল পাড়ে। পানমশলা চিবোয়। মদ খায়। যখন তখন ‘শরীর’ চাইলে ফুঁসে ওঠে। ছেড়ে আসা বরকে (অসীম রায়চৌধুরী) খ্যাঁদায়। এমন চম্পারও আবার পাড় ভাঙে!
সখারামের আর আছে দাউদ মিঞা (বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়)। তার গাঁজার দোস্ত, গান শোনার, গপ্পো মারার স্যাঙাত। দাউদ গড়পড়তা, কামচোর, ভানসর্বস্ব মধ্যবিত্ত বই তো নয়।
••••
নাটকের ওঠা-পড়া-চলা সবটাই সখারামের ঘরে। ঠিক ঘরও নয়, নির্দেশকের কল্পনায় যা হয়ে উঠছে যেন এক পশুশালা!
সেই পশুশালার আদল দিতে ডান ধারের রান্নাঘরটা জালে ঘেরা। বাঁ দিকের শোবার খাট গাছ-রঙা। আলনাটাও আকারে বৃক্ষের মতো।
এ ঘরে এক-একজন মানুষ এক-এক সময় হয়ে ওঠে পশু। তখন কেউ হাসতে গিয়ে মার্জারের ডাক ডাকে, চলতে গিয়ে বলতে গিয়ে বাঁদরের লাফ লাফিয়ে দপ দপ করে দাপিয়ে মুখ খিঁচিয়ে বেড়ায়।
কোথায় যেন একটা অস্বস্তিবোধ এ নাটকে সর্বক্ষণের সঙ্গী। যেখানে নিরন্তর চলে ঠিক ভুলের সীমানা ধোওয়া তর্ক-যুক্তির চিরাচরিত ব্যাকরণ সরানো গ্রহান্তরের খেলা।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টিং ফেলো, ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-র ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি-র অবন্তীর ‘ট্রয়’, ‘নাগমণ্ডলা’, ‘চৈতালী রাতের স্বপ্ন’ ‘তিন কন্যা’ বা ‘ইচ্ছের অলিগলি’ যাঁদের মনে ধরা, তাঁরা এ নাটকে কিন্তু অন্য আরেক অবন্তীকে পাবেন। ক্যানভাসে বড় আঁচড়ের চেয়ে সূক্ষ্ম ছোঁয়ায় যিনি বিশ্বাসী। ঠিকের চেয়ে ভুল-এর রাস্তায় যিনি বাধ্য করেন গ্যালারির ভিড় বাড়াতে।
••••
বহু কাল বাদে গৌতমের অভিনয়ে টুকরো টুকরো করে ফিরবে গান— ভাটিয়ালি, বাউল। সঙ্গে চটুল হিন্দি ফিল্মি সঙ্গীতও।
সখারাম-এর গায়ে কোথায় যেন গৌতমেরই এক সময়ের একক নাটক ‘মরমিয়া মন’-এর আদল।
অন্তঃচারী ক্ষোভ, যন্ত্রণা, কাম, বেদনা, ভয়, লোভ প্রকাশে ওঁর ঘড়ঘড়ানি গলার স্বর কখনও যেন আহত সারমেয়র মতো বেজে ওঠে, কখনও খাঁখাঁ বাড়ির ডানা ঝাপটানো কপোতের মতো ডাকে।
গৌতম তাঁর নিয়ন্ত্রণের আগল না ভাঙলে এ নাটকে তাঁর ভক্তরা টাইম-মেশিনে চেপে নব্বই দশকের গৌতমকে ফিরে পেতে পারেন!
বহু কাল বাদে মঞ্চে ফিরছেন মনীষা আদক। ‘নির্ণয়’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-র মনীযা যে আজও কতটা ছিপছিপে ধারালো তরোয়াল, মহলায় বারবার বোঝা গেল। ছেনালিপনা থেকে নিজেকে নিয়ে লন্ডভণ্ড করার খেলায় তাঁর চম্পাকে নির্মাণ আবার করে আশা জাগায়।
আর এই গোটা থিয়েটারে
অন্যতম চরিত্র হয়ে বয়ে চলেছে তার আবহ (দিশারী চক্রবর্তী)। সুর নয়, শব্দই সেখানে ট্রাম্পকার্ড। ধাতব শব্দ, জল ফোটানোর শব্দ, কারখানার মেশিনের শব্দ, পোকার শব্দ। তাতেই জমাট আতঙ্ক, চোরা ভয়, গোঙানি, রাতের ত্রস্ত চলা, শীৎকার, বিদ্রোহ, সমর্পণ সব, সবটা ধরা। আলোও (দেবাশিস) যেন এই ধরাটার বাহক হতে চায়।
সবটা মিলে ‘সখারাম’
কোনও বাইন্ডারের বা কোনও বাঁধাইওয়ালার টানা গল্প হয়েও বাঁধানো রাস্তায় হাঁটে না। বরং ছেঁড়াখোঁড়া একটা বইয়ের এলোমেলো হয়ে যাওয়া, বলা ভাল, উড়তে থাকা পাতার কাহিনি বলে।
যে কাহিনিকে, যার নায়ক-নায়িকাকে এ দুনিয়া চিরকালই ‘রেডকার্ড’ দেখিয়ে এসেছে।
বা, আজও দেখায়।
আছে মহান আদর্শ
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল শিল্পীসংঘ প্রযোজিত নাটক ‘যুধিষ্ঠিরবাবু’। প্রচেত গুপ্ত’র গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ দিয়েছেন তীর্থঙ্কর চন্দ।
নাটকে যাদববাবু সত্যিই যেন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির। তিনি এমন এক আপসহীন ব্যক্তিত্ব, যিনি ছেলেবেলায় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মিথ্যে কথা না বলার। এ যেন তাঁর ধনুক ভাঙা পণ! সত্যি কথা বলা যেন তাঁর কাছে মহান আদর্শ। সমাজ-সংসারে অনেকে তাঁকে প্রভাবিত করবার চেষ্টা করেছেন, এসেছে নানা প্রলোভন। কিন্তু, যুধিষ্ঠিরবাবু নিজ সিদ্ধান্তে অটল, আদর্শচ্যুত হননি। কিন্তু, তাঁর জীবনের ব্রত সত্যিই কি তিনি সারাজীবন সযত্নে লালন করতে পারলেন? সেই যাদববাবুই এক দিন ভুলবশত তাঁর ছাত্র অরণিকে এমন একটি কথা মুখ ফস্কে বলে ফেললেন, যা সত্যি নয়। কী সেই কথা? আরণি যাদববাবুর কাছে জানতে চায় যে, তিনি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন তিনি ভূগোলে কত নম্বর পেয়েছিলেন? উত্তরে যাদববাবু বলেন একানব্বই। যা সত্যি নয়, বাস্তবে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল মাত্র সতেরো!
এর পরেই অনুশোচনা এবং বিবেকের দংশনে ভুগতে থাকেন যুধিষ্ঠিরবাবু, তিনি নিজের কাছে নিজেই ছোট হয়ে যান। তখন যেন তাঁর অস্তিত্বের সংকট। দিশেহারা হয়ে পড়ে তাঁর পরিবার। তাহলে উপায়? সেই ছাত্র অরণিকে শিখিয়ে পড়িয়ে বলা হয়, যাদববাবুকে বলতে হবে যে, তিনি মোটেই মিথ্যে বলেননি। তিনি যা বলেছেন বলে তাঁর ধারণা সেটা ভুল। তার পরেই ঘটলো সেই চমকপ্রদ ঘটনা। দেখা যায়, অরণি তাঁর শিক্ষক সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরবাবুর কাছে মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে, মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বলে, সে দিন সত্যিই যুধিষ্ঠিরবাবু তাকে ভূগোলে একানব্বই পাবার কথা বলেন!
নাটকে ঘাত-প্রতিঘাত আছে, স্বাভাবিক গতি বজায় থাকে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু মঞ্চ নির্মাণে আরও যত্নবান হওয়া বাঞ্ছনীয়। মঞ্চে আলোর ব্যবহার সঠিক নয়। যুধিষ্ঠিরবাবু (বিমল চক্রবর্তী), মুকুল (অরুন্ধতী পাল চৌধুরী), অনাদিবাবুর (শঙ্কর ঘোষ) অভিনয় যথাযথ। গজানন (শুভেন্দু ঘোষ) এবং অরণির ভূমিকায় রাজর্ষি ধাড়ার অভিনয় মন্দ লাগে না। নাট্য নির্দেশনায় সীমা মুখোপাধ্যায়।
পিনাকী চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy