Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রাধান্য যেন গান নয়, ভাষণ

দেবব্রত বিশ্বাস স্মরণ কমিটির অনুষ্ঠানে এমনই অভিজ্ঞতা বারীন মজুমদারেরদেবব্রত বিশ্বাস স্মরণ কমিটি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলিতে সব সময়েই একটা ঢিলেঢালা এবং অপেশাদারিত্বের মনোভাব দেখা যায়। দেখা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে জীবিত কালে কে কতখানি শিল্পীর কাছাকাছি ছিলেন তার প্রমাণ দেখানো।

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

দেবব্রত বিশ্বাস স্মরণ কমিটি’ আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলিতে সব সময়েই একটা ঢিলেঢালা এবং অপেশাদারিত্বের মনোভাব দেখা যায়। দেখা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে জীবিত কালে কে কতখানি শিল্পীর কাছাকাছি ছিলেন তার প্রমাণ দেখানো। প্রায় সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে আবারও একটি অনুষ্ঠান হল শিশির মঞ্চে, তাঁর একশো পাঁচ-তম জন্মদিবসের প্রাক্কালে। যে সন্ধ্যায় অধিকাংশটাই অতিবাহিত হল গানে গানে নয়, কথায় কথায়। দীর্ঘ পঠিত ভাষণে কর্নাটক সরকারের প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অধীতা চৌধুরী যে সব কথা শোনালেন তা কলকাতার সাংস্কৃতিক মহলে প্রায় সকলেরই জানা। তাঁর পঠিত ভাষণটি মোটেই সুখশ্রাব্য হয়নি। আবার আমন্ত্রিত এক শিল্পী তাঁদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার জন্য মঞ্চে উঠেই উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি কী ভাবে দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে গান শিখেছেন তা ঠিক মতো দেখাতে পারবেন না বলে এবং তারপরে যে গান শোনালেন সে সম্বন্ধে মন্তব্য না করাই সমীচীন হবে। তাঁর বয়স এবং গান দুই নিয়েই প্রশ্ন জাগে। আর এই কারণেই শ্রেয়া গুহঠাকুরতা, শৌনক চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ এই প্রজন্মের তরুণ শিল্পীরা আন্তরিকতার সঙ্গে আর গান শোনাতেই পারলেন না।

অথচ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল সুন্দরভাবে মুক্ত কণ্ঠে পূবালি দেবনাথের গানে। বিশেষ করে ‘আবার এসেছে আষাঢ়’, ও ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’ গানগুলি। অগ্রজ শিল্পী পূরবী মুখোপাধ্যায় ও ওপার বাংলার হামিদা হক বয়সোজনিত কারণে গান শোনাতে না পারলেও প্রয়াত শিল্পীর সঙ্গে তাঁদের সান্নিধ্যের কথা জানালেন। এর পরেই চলল দীর্ঘ অগোছালো ভাষণ। খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে শ্রেয়া গুহঠাকুরতা চারটি গান শোনালেন যার মধ্যে কি বোর্ডটি অত্যন্ত উচ্চকিত ছিল। সময়ের কারণেই কণ্ঠ ও যন্ত্রের সমতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরে রেখা চক্রবর্তী বলে যিনি গান শোনালেন তাঁর সম্বন্ধে বহু তথ্য পরিবেশিত হলেও শিল্পী নিজেই এখনও শিক্ষার্থীর স্তর পেরোতে পারেননি — এ কথাই যেন প্রমাণ করলেন। প্রায় ফাঁকা প্রেক্ষাগৃহে শৌনক চট্টোপাধ্যায় চারটি গানের ডালি নিয়ে হাজির হলেন। শুরু করলেন ‘নীল অঞ্জন ঘন’ দিয়ে আর শেষে গাইলেন ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’। একই গান, যা শুরুতেই পূবালি গেয়ে গেছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy