গরমকাল মানেই রোদ, ঘাম আর চিটচিটে ত্বক। রোজকার রূপরুটিনের এমনিতেই বারোটা বাজে তখন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে স্বাভাবিক ভাবেই গরমকালে ময়শ্চারাইজ়ার লাগানো এড়িয়ে যান অনেকে। কিন্তু ময়শ্চারাইজ়ার শুধু শীতে নয়, গরমেও লাগানো দরকার। ত্বকের ধরন বুঝে সব ঋতুতেই উপযুক্ত ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে পারলে ত্বক থাকবে কোমল। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক উজ্জ্বলতা হারাতে থাকে। তবে হ্যাঁ, শীতে যে প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন, গরমে সেগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। তাই প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজ়ার বেছে নিলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে, কিন্তু ত্বক তৈলাক্তও হবে না।
প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজ়ার
কাঠবাদাম ও মধুর প্যাকের কার্যকারিতা অনেক। কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে, পরদিন বেটে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু এবং সামান্য গরম জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে ত্বকে ব্যবহার করুন।
একটি পাত্রে গরম জল নিন। তার উপরে একটা বাটিতে আধ কাপ নারকেল তেল ঢেলে, ওই অবস্থায় তিনটে ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ১২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে কাচের পাত্রে রেখে ব্যবহার করুন।
এক চামচ আমন্ড অয়েল আর বিওয়াক্স মিশিয়ে গরম করুন। ঠান্ডা হলে এক চামচ গ্রিন টি এসেন্স, এসেনশিয়াল অয়েল, অ্যালো ভেরা জুস, গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ফ্রিজে রাখলেই তৈরি ময়শ্চারাইজ়ার। দূষণ থেকে বাঁচতে, ত্বকের দাগছোপ দূর করতে এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি খুবই ভাল।
দু’টি আপেলের বীজ বার করে সিদ্ধ করে মিক্সিতে মিহি পেস্ট বানান। মিশ্রণে এক চা চামচ অলিভ অয়েল দিন। ঠান্ডা হলে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই ভাল ময়শ্চারাইজ়ার।
এক চা চামচ কোকো বাটার আর আমন্ড অয়েল মেশান। একটা পাত্রে গরম জল নিয়ে তার উপরে অন্য একটি বাটি বসিয়ে কোকো বাটারের মিশ্রণটি ঢালুন। একটু ঠান্ডা করে এক চামচ মধু আর অল্প গোলাপ জল মেশান। ঠান্ডা হলে কাচের শিশিতে রাখুন। সংবেদনশীল ত্বকের এটি জন্য ময়শ্চারাইজ়ার হিসেবে দারুণ।
পরিষ্কার পাত্রে চার চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে দুই চামচ নারকেল তেল মেশান। ভাল করে মিশলে এক চামচ ভিটামিন ই ও আমন্ড অয়েল দিন। এটি রোজ স্নানের পরে ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বক, দাগছোপ ইত্যাদি সমস্যায় বেশ ভাল কাজে দেয় এই ময়শ্চারাইজ়ার।
চটজলদি সমাধান...
তৈলাক্ত ত্বকে টম্যাটোর রস খুব ভাল ময়শ্চারাইজ়ারের কাজ করে।
ভিটামিন এ ভরপুর পাকা পেঁপের মধ্যে থাকা ফ্রুট এনজ়াইম ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এক টুকরো মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
ময়শ্চাইজ়ারের সঙ্গে দু’-তিন কোয়া কমলালেবুর রস লাগালে ত্বকের কমনীয়তাও ফেরে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু এবং ডিমের কুসুম খুব ভাল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজ়ার। সমপরিমাণে মধু এবং ডিমের কুসুম মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে জলে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
অর্ধেক কলা এবং চার টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে মিনিট ২০ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ময়শ্চারাইজ় করার সঙ্গে সঙ্গে উজ্জ্বলতাও বাড়ে।
দুই টেবিল চামচ মধু এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ময়শ্চারাইজ়ারের সঙ্গে টোনার হিসেবেও কাজ করে।
জবা ফুলের গুঁড়োর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
শোয়ার আগে সমপরিমাণ গ্লিসারিন, গোলাপজল মিশিয়ে হাত, পা, ঠোঁট ও ত্বকে লাগান। এটি ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজ়ার।
মুখ ধোয়ার পরে, স্নানের পরে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিয়মিত হালকা ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করলে আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও কোমল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy