ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত।
রবীন্দ্রজীবন, রবীন্দ্রসাহিত্য, রবীন্দ্রচিত্রকলা, সর্বোপরি রবীন্দ্রগান আবর্তিত হয়েছে একটি বৃত্তে। সেই বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন কবির পরম আদরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী।
কাদম্বরী দেবীর জন্মদিন ও বিয়ের দিন উপলক্ষে ৫ জুলাই পি সি চন্দ্র গার্ডেন ও শ্রাবস্তীর যৌথ নিবেদনে অনুষ্ঠিত হল ‘শ্রীমতী হে’, পি সি চন্দ্র গার্ডেন প্রেক্ষাগৃহে।
অনুষ্ঠানটির গবেষণা, ভাষাবিন্যাস ও পরিচালনায় ছিলেন চৈতালী দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুর্নিবার সাহার দৃপ্ত কণ্ঠে ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’ গানটির ব্যবহার অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। রবীন্দ্রনাথের বহুশ্রুত গানগুলিকে সুন্দর ভাবে ভাষ্যের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানোর ফলে অনুষ্ঠানটি মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছিল।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে বিদীপ্তা চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘বনে এমন ফুল ফুটেছে’ একটি অন্য মাত্রা যোগ করেছিল। সেই সঙ্গে ভাল লাগে রোহিণী চৌধুরীর কণ্ঠে ‘দোলে প্রেমের দোলনচাঁপা’।
‘তুমি কোন কাননের ফুল’ গানটি সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও রোহিণী রায়চৌধুরীর দ্বৈত কণ্ঠে সুন্দর আবহ সৃষ্টি করেছিল। রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায় ও দুর্নিবার সাহার কণ্ঠে ‘আমি তোমারি সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ’ আশানুরূপ হয়নি। শেষ ভাগে দুর্নিবার সাহার কণ্ঠে ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে’ মন ছুঁয়ে গেল।
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য গানগুলি ছিল ‘রিমঝিম ঘন ঘন রে’, ‘তুই ফেলে এসেছিস কারে’, ‘পথে চলে যেতে যেতে’, ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে’ ইত্যাদি।
যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতা করেন নন্দন দাশগুপ্ত (এস্রাজ), সুরজিৎ দাশ (কি বোর্ড) এবং অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় (তবলা)। সকলেই যথাযথ। ভাষ্যপাঠে ছিলেন চৈতালী দাশগুপ্ত ও সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy