সেও ললনার ছলনা। যখন তার ভিজে চুল থেকে ঝরে মোহন-কণা। যেন রূপের ‘সমুন্দর মে নাহ কে’ লাবণ্যময়ী হয়ে এই মাত্র উঠে এলেন। জিনত আমন থেকে শুরু। রবিনা টন্ডন হয়ে দীপিকা-অনুষ্কা যুগেও ‘ওয়েট হেয়ার লুক’-এ মশগুল সেলেবকুল। প্রসাধনীর সামান্য আয়াসে এই কেশসজ্জা আয়ত্ত করতে পারেন।
ভিজে চুল পুরোপুরি শুকোনোর আগে স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকতেই ধরতে হবে খেলাটা। চুপচুপে ভেজা চুলে এই ধরনের প্রসাধনী চলে না।
আপনার চুল কোঁকড়া না সোজা? শুষ্ক না মসৃণ? সেই বুঝে হেয়ার ওয়াক্স বেছে, তার সঙ্গে মেশান আউট-শাইন প্রডাক্ট। আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তা লাগিয়ে, পিছনের দিকে আঁচড়ান। যে দিকে চান, সিঁথি রাখুন বা পুরোটাই উলটে আঁচড়ান। আঙুল চালিয়ে চিরুনির এঁকে যাওয়া সোজা রেখাগুলোকে মিলিয়ে খানিক এলোমেলো করে নিন। কানের পাশের অংশে আঙুল দিয়ে চুল গুছিয়ে, হেয়ার স্প্রে ছেটান। যে ভাবে সামলে রাখলেন, খানিকক্ষণ ও ভাবেই থাকবে এই কেশবিন্যাস। চুলের রাশ দেখাবে যেন থেমে যাওয়া জলপ্রপাত।
‘ওয়েট লুক’-এ ঘনত্ব দেখাতে, ‘ভলিউম স্প্রে’ ব্যবহার করুন। স্প্রে না চাইলে যে শ্যাম্পু চুল নরম করে, সেটা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। আধভেজা চুল কয়েক গোছায় ভাগ করে, গোড়ায় হাল্কা ড্রায়ার চালান। ভিতরটা শুকনো ও বাইরেটা ভিজে থাকতে, আগের কায়দায় ‘ওয়েট হেয়ার প্রডাক্টস’ ব্যবহার করুন।
কোঁকড়ানো চুলে এই বিশেষ লুক চান? ‘স্ট্রেট’ এবং ‘ওয়েট লুক’ একসঙ্গে পেতে, কোঁকড়া চুল সোজা করতে পার্লারে যেতে হবে না বা স্ট্রেটনারও লাগবে না। চুল শুকিয়ে, পুরু করে ওয়াক্স লাগিয়ে হাত দিয়ে আলতো আলতো টান দিলেই সোজা কিংবা ‘ওয়েভি’ অর্থাৎ ঈষৎ তরঙ্গায়িত চুল পাবেন। আর কঙ্গনা রানাবতের মতো পিঠভরা ভিজে কোঁকড়া চুল চাইলে লিভ-ইন কন্ডিশনার লাগান।
ওয়েট লুক শেষে চুল বাঁধবেন না খোলা রাখবেন, সে সিদ্ধান্ত আপনার। তবে শেষে সামান্য ‘হেয়ার গ্লস’ মাখিয়ে নিন। চিকচিকিয়ে উঠবে চুল।
এত বিদেশী প্রসাধনীর নাম শুনে ‘এখানে কোথায় পাব’ ভেবে মুষড়ে পড়বেন না। নাগালে ভাল অনলাইন সাইট তো আছেই। ‘ওয়েট হেয়ার কিট’ আনতে দিলেই সব প্রডাক্ট দোরে পৌঁছে দেবে। ‘মুস’ বা ‘জেল’ সহজলভ্য, ‘ওয়েট লুক’ আনতেও ওস্তাদ। কিন্তু মুস একটু বেশি হলেই মাথায় তেলের শিশি ঢেলেছেন মনে হবে। জেল-এর দোষ, ভীষণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তার পর চুলগুলো খটখটে পাটের দড়ির মতো দেখাতেই পারে।
মেগান ফক্স, অনুষ্কা শর্মা এবং নাতালি পোর্টম্যান
ওয়েট লুক-এর সঙ্গে মানায় কালো বা অন্য কোনও গাঢ়রঙা পোশাক, সোনার ‘স্লিক’ আধুনিক গয়না। ভাল দেখায় পাশ্চাত্য বা ভারতীয়, দুই পোশাকের সঙ্গেই।
না-ই বা হাঁটলেন লাল কার্পেটে, না-ই বা গেলেন অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে। যে কোনও সান্ধ্য পার্টি বা অনুষ্ঠানে সাড়া ফেলে দেবেই এ লুক। তবে এত প্রডাক্ট চুলে এক দিনের বেশি লাগিয়ে রাখা উচিত নয়। পরদিনই শ্যাম্পু মাস্ট। তা হোক না এক সন্ধের সাজ! ওই কয়েক ঘণ্টা পৃথিবীটা আপনাকেই মধ্যিখানে রেখে ঘুরবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy