নিজেকে আজ আড়ালে রাখতেই ভালবাসেন নবাব
আগুনটা আর জ্বলে না।
বয়েস নয়, তাঁকে তাড়া করছে আজ শুধুই ক্লান্তি!
পেনাল্টি বক্সে বারবার ছোবল মারা সেই ছোট্ট শরীরটা এখন নির্বিষ। নিস্তেজ। ঘরবন্দি।
কথায় কথায় বোবা মেরে যান। নৈঃশব্দ্য ভাঙতে চাইলে অস্ফুটে বলে ওঠেন, ‘‘আর কেন, আমার ‘আমি’টার যখন মৃত্যু হয়েছে, অহেতুক এই খুঁড়তে চাওয়া কীসের?’’
এ কোন হাবিব!
হায়দরাবাদে তিন দিন ওঁকে দেখেছি। যত বার দেখেছি স্মৃতির উথালপাথাল ঝড়ে উড়ে গিয়ে বিস্ময়ের তল খুঁজে পাইনি কিছুতেই।
• আমার আসল ‘আমি’
সে ছিল এক দীর্ঘ সময়। মাঠ-ময়দানে যে কাউকে চাগিয়ে দিতে কোচ-কর্তা-গ্যালারি ধার নিত মতি নন্দীর গল্পের ক্ষিদ্দার সেই অবিস্মরণীয় চিৎকার!— ফাইট, কোনি ফাইট।
কিন্তু হাবিব কোনও উপন্যাসের নয়। সিনেমায়ও নয়। নিজেই যে স্বয়ং ঘামরক্তের চিৎকার! যখন-তখন যাঁকে একেবারে মাঠের ভেতর স্বচক্ষে দেখা যায়।
ষাটের দশকের সন্তোষ ট্রফি সেমিফাইনাল যেমন। বাংলা বনাম পঞ্জাব। ইন্দর, গুরকৃপাল, মনজিত, ভাটিয়া, গুরদেব, কিষেন— সব সিংহদের ঝাঁকে ঝাঁকে স-বুট লাথি নেমে আসছে হাবিবের ছোটখাটো শরীরের উপর।
মিঞা কিন্তু ছোড়নেওয়ালা নন। বল নিয়ে বারবার বক্সে ঢুকে পড়েছেন। পঞ্জাবি ফুটবলারের ট্যাকলের নামে সটান মারা লাথি খেয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ছেন। আবার উঠে দাঁড়াচ্ছেন।
কখনও সেন্টার লাইন পেরোলেই লাথি, চোরাগোপ্তা ঘুসি, কনুইয়ের বিপজ্জনক আক্রমণ হামলে পড়ছে হাবিবের পা, কোমর, ঘাড়, মুখে। প্রায় সারা গায়ে কালশিটের দাগ। রক্তাত্ত!
তবু পুরো সময় খেলেছিলেন হাবিব। কিন্তু মাঠ থেকে বেরিয়েই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে সারা রাত স্যালাইন দেওয়া চলল বেহুঁশ হাবিবকে।
পরের দিন।
আগের দিনের ড্র সেমিফাইনালের রিপ্লে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাবিবকে বাদ দিয়ে বাংলার গেমপ্ল্যান চলছে টিম হোটেলে। আচমকা সেখানে হাজির অকুতোভয় বড়ে মিঞা! ভূত দেখার মতো চমকানোর অবস্থা গোটা টিমের।— ‘‘আরে তুই! এখানে কী করে?’’ গোটা টিমের মহাবিস্মিত প্রশ্নের জবাবে হাবিবের সাফ কথা, ‘‘ও লোগ শালা কাল মুঝে বহুত মারা। আজ উসকো মারকে মুঝে জিতনা হ্যায়। বেঙ্গল কো জিতানা হ্যায়।’’
কিন্তু শরীরের এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলল কী করে?
‘‘কী ভাবে আবার? সোজা স্যালাইনের সুচ হাত থেকে খুলে হাসপাতালকে পার্সোনাল বন্ড দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি ডেকে চলে এলাম এখানে।’’ যেন লাঞ্চ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সিনেমা হলে চলে এলেন— হাবিবের বলার ভঙ্গিটা এমনই!
এখানেই শেষ নয়। আরও আছে। এর পর মাঠে নেমে সেই ইন্দর-গুরকৃপালদেরই নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন হাবিব। গোল করলেন। বাংলাকে জেতালেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন।
• সেরা পাস আকবরকে অন্যদের হসপিটাল পাস
অভিযোগটা হাবিবের বিরুদ্ধে বরাবরের। চার দশক পরেও। এখনও।
‘‘একদম গলত বাত হ্যায় দাদা,’’ একেবারে গোড়াতেই অভিযোগ অস্বীকার করলেন বড়েমিঞা।
‘‘আমি তো বরং বলব, আমার পাসটাসগুলো ভৌমিক, শ্যাম, মানস-বিদেশ, সুরজিৎদের চেয়ে আকবর অনেক বেশি বুঝতে পারত। বেশি কাজে লাগাত। আর সে জন্যই মনে হত সবচেয়ে ভাল পাসটা আমি ভাইকে বাড়িয়েছি। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য,’’ ভাইয়ের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দাদার গলা যেন হঠাৎ চনমনে।
হাবিবের পাশেই তখন বসে আকবর। একটু যেন সলজ্জ ভাবে। চোখেমুখে সামান্য সংকোচ! ‘‘আরে তুম ভি বোলো আকবরভাইয়া,’’ বলে ভাইকে পিঠে একটা খোঁচা মেরে বসলেন বড় ভাই।
তার পর নিজেই বলতে লাগলেন, ‘‘তা হলে শুনুন। আকবর গোলের জন্য পেনাল্টি বক্সের ভেতর মরে যেতেও রাজি ছিল। পাঁচ ফুট নয় হাইট। দারুণ ভাল পজিশন নিত। প্রায় নিখুঁত। দু’পায়েই দুর্দান্ত ভলি। পাওয়ারফুল হেডিং। ফলে আমার গ্রাউন্ডেড থ্রু পাস বলুন কিংবা উঁচু ক্রস— সব মিট করত। গোল তো পাবেই।’’
ম্যাচে দাদার পাস ধরে গোল করার মতোই এ বার আকবর গড়গড় করে বলে চললেন, ‘‘দেখুন, হাবিবভাইয়ের সঙ্গে এক টিমে খেলে আমি তিন বার কলকাতা লিগে হায়েস্ট স্কোরার হয়েছি। বাহাত্তর আর চুয়াত্তরে ইস্টবেঙ্গলে। ছিয়াত্তরে মোহনবাগানে। ওই তিন বারই তো আরও অনেক ভাল ভাল ফরোয়ার্ড আমাদের টিমে ছিল। তারা তা হলে হায়েস্ট স্কোরার হতে পারেনি কেন, বলুন?’’
আকবরও যেন এ বার একটু উত্তেজিত। দাদার মতোই।— ‘‘শিল্ডে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর। ইন্ডিয়া টিমের রাশিয়া ট্যুর। এ রকম কয়েকটা ম্যাচে এমনও হয়েছে হাবিবভাইয়ের পাস থেকে ভৌমিক কিংবা শ্যাম ভলি মেরেছে। বল পোস্টে লেগে ফিরেছে। আমি সেই রিবাউন্ড থেকে গোল করেছি। বক্সের ভেতর এতটাই মরিয়া ভাবে বল ফলো করতাম আমি।’’
এর পর রীতিমতো চমকে দিয়ে আকবর বলে দিলেন, ‘‘এই ব্যাপারটা শ্যামের ভেতরেও ছিল। তবে আমি মনে করি আমার মতো অতটা নয়,’’ ভাইয়ের পাশে বসে হাবিবও সমর্থনসূচক মাথা নাড়ছেন তখন।
• বড়েমিঞা ওয়ান, বড়েমিঞা টু
বড়েমিঞা। নামটা কার দেওয়া? উত্তর পাওয়া গেল কিন্তু দু’রকম। হাবিব বললেন এক, তো আকবর আরেক।
‘‘জ্যোতিষদা (গুহ) আমাকে প্রথম বড়েমিঞা বলেছিলেন। ছেষট্টিতে ইস্টবেঙ্গলে সই করে প্রথম মোহনবাগান ম্যাচেই গোল পেলাম। তার পর থেকেই জ্যোতিষদা বড়েমিঞা ডাকতেন। আর একটা কথা বলি, জ্যোতিষদাকে আমি প্রথম দিন থেকেই দাদা ডাকতাম, জানেন তো? নইম গুহসাব বলত, আমি কিন্তু দাদা,’’ এক মুখ হাসি খেলে গেল মিঞার মুখে।
পাশে বসা আকবর দেখি তখন উশখুশ করছেন। দাদার কথা শেষ হলেই ভাই বলতে লাগলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলে আসল বড়েমিঞা ছিলেন আমেদ খান। তাঁকেই জ্যোতিষ গুহ প্রথম বড়েমিঞা ডেকেছিলেন আদর করে। আমি পরে কলকাতায় শ্রীমানীদার (অজয় শ্রীমানী) থেকে শুনেছি, হাবিবভাইকে জ্যোতিষ গুহ নাকি বলেছিলেন, তুম ইস্টবেঙ্গল কা নয়া বড়েমিঞা।’’
ভ্রু তুলে আকবরের দিকে চাইলেন হাবিব। মুখে কিছু বললেন না। আমি তখন ভাবছি, আকবরের কথা যদি ঠিক হয় তো, ময়দানে বড়েমি়ঞা তা হলে দু’জন। ওয়ান আর টু। অনেকটা ভারতীয় ক্রিকেটের দুই লিটল মাস্টারের মতো।
জ্যোতিষ গুহর কথা ওঠায় পুরনো একটা ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিল।
ছেষট্টি সাল। ইস্টবেঙ্গলের প্রাণপুরুষ তখন জ্যোতিষ গুহ। বড় ক্লাবের দলবদল সে কালে রীতিমতো প্রেস্টিজ-ফাইট। অসম্ভব রেষারেষির। সে বছর অসীম মৌলিক, চন্দ্রেশ্বর প্রসাদের মতো একঝাঁক তারকাকে তুলে নিল মোহনবাগান।
তখন টিমে নতুন রক্ত আমদানি করতে হায়দরাবাদি ফুটবলের ত্রিমূর্তিকে লাল-হলুদে আনলেন জ্যোতিষ গুহ।
নইম, হাবিব, আফজল।
তিন জনই তার আগের বছর কেরলের মাটিতে সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে বাংলাকে নাকানিচোবানি খাইয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই ম্যাচ স্বচক্ষে দেখে জ্যোতিষবাবু সঙ্গী ইস্টবেঙ্গল কর্তা অজয় শ্রীমানীকে বলেছিলেন, ‘‘প্লেয়ার চিনতে আমার যদি ভুল না হয়, তা হলে মিলিয়ে নিও হাবিবই ভবিষ্যতের সেরা ভারতীয় ফুটবলার।’’
এখন চালকের আসনে ভাই, দাদা ব্যাকসিটে
• খাঁটি টিমম্যান VS পেশাদার ফুটবলার
দু’বছর ইস্টবেঙ্গলে কাটিয়ে হাবিব-নইম জুটি আটষট্টিতে গিয়ে ওঠেন বাগানের পালতোলা নৌকায়।
তার পরের প্রায় দেড় যুগ নইম না হোক, হাবিবের ক্রমান্বয়ে মোহন-ইস্ট, ইস্ট-মোহন ঘোরাঘুরি করা। মাঝেমধ্যে মহমেডানও।
এত ঘনঘন দল পাল্টাতেন কেন? খাঁটি টিমম্যান বলতে তো ময়দান মহম্মদ হাবিবকেই বুঝে এসেছে!
‘‘এই একটা ব্যাপারে লোকে আমায় ভুল বোঝে। আসল কারণটা শুনুন। কাউকে বলিনি কোনও দিন। আপনাদের কাগজেই প্রথম বলছি,’’ সোফায় পায়ের উপর পা তুলে গুছিয়ে বসলেন হাবিব।
‘‘আমি কস্মিনকালে চাকরি করিনি। কে কী বলে জানি না। তবে নিজে মনে করি এ দেশে আমিই প্রথম একশোভাগ পেশাদার ফুটবলার। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে হায়দরাবাদ টেলিফোনসে কিছু দিন খেলেছিলাম। তখনও ওদের ওয়ার্কার ছিলাম না। পেমেন্ট নিয়ে খেলতাম। কলকাতায় আসার পর প্রথম থেকেই ঠিক করেছিলাম, যেহেতু ফুটবল খেলাই আমার পেশা, তাই এটাকেই আমার অফিস ভাবব,’’ বলতে বলতে থামলেন হাবিব। পাশে বসা নিশ্চুপ আকবর তখন যেন তিন-চার দশক আগের সেই বাধ্য ভাইটি।
হাবিব বলে চললেন, ‘‘অফিসে যেমন নিজেকে নিংড়ে দিয়ে কাজ করব, তেমনই যেন মোটা মাইনে পাই সেটাও দেখব। সব লোকই যেমন করে, আর কী!’’ হাসলেন নবাব।
তার পর বললেন, ‘‘দেখুন, আমি নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা করে দেখাতে পারব তখনই, যদি আমার সতীর্থরাও সেরা হয়। দেখবেন বড় বড় অফিস বেছে বেছে ভাল ভাল অফিসারকে চাকরি দেয়। ফুটবল টিমও আমার কাছে তাই। আমি সব সময় সেই সিজনে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যে দল বেটার বুঝতাম, সেখানেই খেলতাম।’’
ষাট-সত্তর-আশির ময়দানে পাক্কা টিমম্যান হাবিব এখন যেন পুরো প্রফেশনাল। শুধু আবেগ দিয়ে তো আর জীবন চলে না। কেরিয়ারের জন্য আরও কিছু লাগে। অত দিন আগে সাচ্ কথাটা কত সহজে বুঝে ফেলেছিলেন মহালড়াকু হায়দরাবাদি!
‘‘শুনো ভাই, মেরা সিধা বাত। আমার কোনও বিশেষ ক্লাবপ্রীতি কোনও কালে ছিল না। ছিল টিমপ্রীতি। তবে যে টিমের জার্সি গায়ে দিতাম সেটাকে নিজের মায়ের মতো সম্মান করতাম। সেই জার্সির জন্য নিজের প্রাণ দিতেও সব সময় রেডি থাকতাম,’’ থামলেন হাবিব।
হঠাৎ মনে হল, একেবারে হালের লিও মেসি-ফর্মুলা চার দশক আগে লোকটা কেমন হুবহু নিজের জীবনে মিশিয়ে দিয়েছিলেন! মেসি যেমন বার্সেলোনা ছাড়ার কথা ভাবেন না। তিনি জানেন, রিয়াল বা ম্যান ইউ কিংবা বায়ার্নে গেলে পাশে জাভি-ইনিয়েস্তা-পিকে-নেইমার পাবেন না! সেই সময়ের হাবিবও অনেকটা যেন তাই।
মিঞার কথা তখনও শেষ হয়নি। বলে চলেছেন, ‘‘সত্তরের দশক জুড়ে দেখবেন আমি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান যেখানেই খেলেছি, হাফে পিন্টু-গৌতম বা গৌতম-প্রসূন, উইংয়ে সুভাষ-সুরজিৎ, বা মানস-বিদেশ, সেকেন্ড স্ট্রাইকার হয় শ্যাম, না হয় আকবর, কিংবা সাব্বির থেকেছে। আর তার জন্য আমার কোনও লজ্জা নেই। কেননা দিনের শেষে নিজে উপলব্ধি করেছি, ওদের সঙ্গে এক টিমে খেলে আমিও নিজের কাজটা একশোভাগ ঠিকঠাক করতে পেরেছি। দলের হয়ে সেরাটা দিয়েছি।’’
• নেতাদেরও নেতা
বলিউডে স্টার থেকে সুপারস্টার এসেছে। সুপারস্টার ছাড়িয়ে এসেছে মেগাস্টার। কিন্তু দিলীপকুমার সম্পর্কে বলা হয় ‘অ্যাক্টর অব অ্যাক্টরস্’। অভিনেতাদেরও অভিনেতা!
সত্তর দশকের ময়দানে হাবিবও তেমনই। বড় দলে নেতাদের নেতা। ইস্টবেঙ্গলে যেমন, মোহনবাগানেও তাই। সুধীর কর্মকার, সুভাষ ভৌমিক, গৌতম সরকার, সমরেশ (পিন্টু) চৌধুরী—একেক জন মহারথী ফুটবলার। কিন্তু তাঁদেরও ‘লিডার’ ছিলেন এক জন। তিনি মহম্মদ হাবিব।
গৌতমের খেলায় অবিশ্বাস্য টেনাসিটি কার আমদানি? কিংবা তরুণ বয়সেই হারিয়ে যেতে বসা সুভাষের অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের মশলা জোগাল কে? দু’টোর উত্তরেই কোচ পিকের সঙ্গে দ্বিতীয় নাম উঠে আসে— টিমমেট বড়েমিঞার।
বছরের পর বছর, ম্যাচের পর ম্যাচে, মাঠের ভেতরে তো বটেই, দরকারে মাঠের বাইরেও সুভাষ-গৌতম এমনকী নিজের চেয়ে সামান্য সিনিয়র পিন্টু-সুধীরকেও লিড করেছেন হাবিব। সামলেছেন চার দশক আগের ময়দানের সবচেয়ে ‘দুষ্টু’ চতুষ্টয়কে।
‘‘উফ! ওদের বদ্তমিজির কথা মনে পড়লে এত বছর পরেও আমার হাসি পায়,’’ হায়দরাবাদের বাড়ির ড্রইংরুমে বসে কথাটা বলার সময় এত ক্ষণের ম্লান মুখের হাবিবের চোখেও তখন ইঙ্গিতবাহী হাসি!
‘‘এক বার তো রোভার্সে পিন্টুদের সামলাতে গিয়ে প্রদীপদা কেঁদেই ফেলেছিলেন। সে এক কাণ্ড বটে মুম্বইয়ের হোটেলে!’’
(চলবে পরের শনিবার)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy