এই সেই ভুতুড়ে ‘ভিনগ্রহীদের আলো’!
বিজ্ঞানীদের আবার চমকে দিল ‘ভিনগ্রহীদের আলো!
ব্রহ্মাণ্ডের ঠিক কোন মুলুক থেকে এল নতুন এই ‘ভিনগ্রহীদের আলো’? ফের ধন্ধে বিজ্ঞানীরা।
টানা ১০ বছরের প্রতীক্ষার পর অন্ধকারে প্রথম আলো দেখিয়েছিলেন এক বাঙালি। শমী চট্টোপাধ্যায়। এ বছরের গোড়ায়। ব্রহ্মাণ্ডের অতলান্ত অন্ধকারের ঠিক কোন জায়গাটি থেকে বেরিয়ে আসছে ‘ভিনগ্রহীদের আলো’, সেই মুলুকের সুলুকসন্ধান দিয়েছিলেন তিনি। গত দশ বছরে সেই প্রথম। এ বার নতুন একটি ‘ভিনগ্রহীদের আলো’র হদিশ পেয়ে ফের বিশ্বকে ধন্ধে ফেলে দিয়েছেন এক ডাচ বিজ্ঞানী। নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক এমিলি পেট্রফ। এক ভুতুড়ে ‘আতসবাজির হদিশ পেয়েছেন তিনি মহাকাশে। যার পোশাকি নাম ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি)-১৫০২১৫’। যা প্রথম ধরা পড়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসানো পার্কস রেডিও টেলিস্কোপের চোখে। ২০১৫-য়। তার পর তাকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসানো আরও ১১টি টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা হয়েছে তাকে। কিন্তু তার পরেও জানা সম্ভব হয়নি, ঠিক কোন মুলুক থেকে আসছে নতুন এই ‘ভিনগ্রহীদের আলো’। ব্রহ্মাণ্ডে এখনও পর্যন্ত আমরা যে উজ্জ্বল মহাজাগতিক বস্তুগুলির হদিশ পেয়েছি, তাদের চেয়ে অন্তত ১০০ কোটি গুণ বেশি উজ্জ্বল এই সদ্য আবিষ্কৃত ‘ভিনগ্রহীদের আলো’!
একেবারে হালে হদিশ মেলা এই ‘ভিনগ্রহীদের আলো’র বিশেষত্বটা কোথায়?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি ও স্মিথসোনিয়ান সোসাইটির সদস্য অভি লোয়েব আনন্দবাজারের পাঠানো প্রশ্নের জবাবে ই-মেলে লিখেছেন, ‘‘দৃশ্যমান আলো (অপটিক্যাল), রেডিও, এক্স-রে, গামা-রে, এবং নিউট্রিনো বিকিরণ, কোনও তরঙ্গদৈর্ঘ্যেই কোনও সিগন্যাল বা সংকেত ধরা পড়েনি। ১৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে ওই ‘এফআরবি-১৫০২১৫’টিকে (সদ্য আবিষ্কৃত ‘ভিনগ্রহীদের আলো’) দেখা গিয়েছিল। আলোর ঝলসানিটা আর দ্বিতীয় বার দেখা যায়নি। এক বার দেখা দিয়েই তা কোথায় যেন উধাও হয়ে গিয়েছে! যেটা আমাদের খুব অবাক করেছে, সেটা হল, ঝলসানিটা যখন অতটা উজ্জ্বল, তখন নিশ্চয়ই সেটা হয়েছে বিপুল পরিমাণে শক্তির জন্ম হওয়ায়। অতটা শক্তির জন্ম হল, আর তার কোনও রেশ থাকল না কেন, এই প্রশ্নটার কোনও জবাব এখনও মেলেনি। শক্তি তো নানা ভাবে তার ‘পায়ের ছাপ’ রেখে যায়, এক শক্তি থেকে অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে। কিন্তু তেমন কিছু এ ক্ষেত্রে যদি ঘটেও থাকে, এখনও পর্যন্ত আমরা তা জানতে পারিনি।’’
যে ভাবে পৃথিবীতে আসে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) বা ‘ভিনগ্রহীদের আলো’
ঘটেছে আরও একটা অবাক করা ঘটনা। মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির যে জায়গাটায় এই নতুন ‘ভিনগ্রহীদের আলো’র সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন, সেখানে কিন্তু তার হদিশ মেলার সম্ভাবনা কমই ছিল। সেই জায়গাটা আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে অনেকটাই দূরে। যেখানে পদার্থ বা কণা বা গ্যাস প্রায় নেই বললেই হয়। অসম্ভব রকমের কোনও শূন্যতা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, এফআরবি’র হদিশ মিলবে আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রের কাছাকাছি। প্রচুর পরিমাণে পদার্থ, কণা বা গ্যাস থাকায় যে জায়গাটার ঘনত্ব খুব বেশি। রাস্তায় খুব যানজট থাকলে যা হয়, গাড়িকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য রাস্তায় ঢুকে পড়তে হয়, ঠিক তেমনই যে কোনও তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকেই ওই কণা, পদার্থ, গ্যাসে ঘন জায়গা দিয়ে বেরতে গেলে তার পথ বদলাতে হয়। তার তল বা সারফেস বদলাতে হয়। কতটা বদলাচ্ছে, তা মাপার একটা ‘দাঁড়িপাল্লা’ আছে। যার নাম- ‘রোটেশন মেজার’ (আরএম)। কণা, পদার্থ, গ্যাসে ভরা কোনও জায়গা দিয়ে আলোকে বেরতে গেলে তার পথটা বেশি বদলাবে। কারণ, সেই কণা, পদার্থগুলির নিজেদের চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে। তারা সেই আলোর চলার পথে রুখে দাঁড়াবে। তাকে ঠেলেঠুলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। ফলে তার আরএম অনেক বেশি হবে। কিন্তু এই সদ্য আবিষ্কৃত ‘ভিনগ্রহীদের আলো’র সেই আরএম একেবারে শূন্য।যার অর্থ, সেই ভুতুড়ে আলো আমাদের গ্যালাক্সির এমন একটা জায়গা থেকে এসেছে, যেখানে কণা, পদার্থ বা গ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে। অদ্ভুত রকমের শূন্যতা সেখানে।
আরও পড়ুন- কোথা থেকে আসে রেডিও তরঙ্গ, ধাঁধার জট খুললেন কলকাতার শমী
সেই ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) বা ‘ভিনগ্রহীদের আলো’
কোথায় তৈরি হচ্ছে ওই রেডিও তরঙ্গ, কোথায় অসম্ভব রকমের তীব্র শব্দে ফাটছে প্রকাণ্ড ‘আতসবাজি’, কে ফাটাচ্ছে সেই ‘আতসবাজি’, সেই রহস্যের জাল ছেঁড়া যায়নি গত শতাব্দীতে। ১৯৬৮-তে আমাদের ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’তে প্রথম রেডিও পালসার আবিষ্কারের পরেও কেটে গিয়েছে ৪৯টা বছর। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ‘পার্কস’ রেডিও টেলিস্কোপে প্রথম ধরা পড়েছিল ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি রহস্যে মোড়া ওই ‘আতসবাজি’র। তার পর ব্রহ্মাণ্ডের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে এমন আরও ২২টি ‘আতসবাজি’র দেখা মিলেছে। কিন্তু তার উৎস কোথায়, তা ছুটে আসছে ব্রহ্মাণ্ডের কত দূর থেকে, এত দিন তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই উত্তরটা জানিয়ে দিয়েই গোটা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছিলেন শমী, এ বছরের গোড়ায়।
এই ‘আতসবাজি’, যার পোশাকি নাম ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি)-১৫০২১৫’, তা আদতে একটা অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ। যা গোটা ব্রহ্মাণ্ডেই ছড়িয়ে রয়েছে। আতসবাজি ফাটানো হলে যেমন হয়, তেমনই খুব শক্তিশালী, অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোর ঝলক। যাকে বলা হয়, ‘লাইট ফ্ল্যাশেস’। প্রতি দিন ব্রহ্মাণ্ডে এমন আলোর ঝলসানির ঘটনা ঘটে গড়ে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজারটি। কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের অনেক দূরের সেই আতসবাজির আলোর ঝলক আমাদের চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। ২০০৭ সালে তা প্রথম আমাদের নজরে আসার পর, শমীদের আবিষ্কারটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত এমন আলোর ঝলসানি সাকুল্যে ২২টি ধরা পড়েছে টেলিস্কোপের চোখে। ব্রহ্মাণ্ডের এত শক্তিশালী, এত উজ্জ্বল আলোর ঝলসানিটা হচ্ছে কী ভাবে, গত ১০ বছর ধরে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না বিজ্ঞানীরা। অনেকেরই সন্দেহ ছিল, এখনও এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই যে, ওই আলোর ঝলসানিগুলির ‘কারিগর’ আসলে ভিনগ্রহীরাই! তাঁরাই বোধহয় বিশাল বিশাল ‘আতসবাজি’ ফাটাচ্ছেন! আর সেটাই অত শক্তিশালী, অত উজ্জ্বল আলোর ঝলক তৈরি করছে ব্রহ্মাণ্ডে।
এই সেই একমাত্র এফআরবি, যার উৎস জানা সম্ভব হয়েছে: দেখুন ভিডিও
ওই ‘আতসবাজি’গুলি কোথায় ফাটছে, কেন তার সুলুকসন্ধান সহজে পাওয়া যায় না?
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সদস্য শমী চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘কী ভাবে আলোর ঝলসানিগুলি তৈরি হচ্ছে, তা যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না, তার অন্যতম কারণ ছিল, এক বার সেগুলি আমাদের নজরে আসার পর সেই ঝলসানি আর আমরা দেখতে পারছিলাম না। সেগুলি যেন কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিল! উধাও, হাপিশ হয়ে যাচ্ছিল! এর থেকে আমাদের অনেকেরই এই ধারণা জন্মেছিল, ব্রহ্মাণ্ডে নিশ্চয়ই কোথাও কোনও বড় বড় বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে। কোনও বিস্ফোরণ হলে যেমন হয়, তার পর পরই বেরিয়ে আসে আলোর ঝলক। একটা ঝলসানি। তার পরেই সব নিভে যায়। আবার অন্ধকারে ভরে যায় চার পাশ। গত ১০ বছরে এমন আলোর ঝলসানি যে ২১ বার দেখা গিয়েছে মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে, তার প্রত্যেকটিই এক বার দেখা যাওয়ার পর আর আমাদের নজরে আসেনি। ফলে, যাঁরা বিশ্বাস করেন ভিনগ্রহীরা এখনও বেঁচে-বর্তে, বহাল তবিয়তে রয়েছেন এই ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না-কোথাও, তাঁরা এমন প্রচারও করতে শুরু করে দিয়েছিলেন, ওই সব আদতে ভিনগ্রহীদেরই কাজ! তাঁরাই ‘আতসবাজি’ ফাটাচ্ছেন! কিন্তু আমরা যে আলোর ঝলসানিটা (রেডিও বার্স্ট) দেখতে পেয়েছিলেন, সেটা ছিল একেবারেই অভিনব। গত ১০ বছরে এমন যে ২২টি আলোর ঝলসানির ঘটনা টেলিস্কোপের নজরে পড়েছে, তার সবক’টিই এক বার ঝলসে উঠে হারিয়ে গিয়েছিল। সেগুলি ছিল ‘সিঙ্গল ফ্ল্যাশ’-এর ঘটনা। কিন্তু আমাদের দেখা আলোর ঝলসানিটা ছিল ‘রিপিটেড’।”
বার বার সেই আলোর ঝলসানিটা দেখা গিয়েছিল। ২০১৪-য় ‘অ্যারেসিবো’ টেলিস্কোপের ‘চোখে’ ওই ২০ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে ওই আলোর ঝলসানিটা ধরা পড়েছিল অন্তত ৭/৮ বার। পরে ‘ভেরি লার্জ অ্যারে’ (ভিএলএ) টেলিস্কোপেও মোট ৮৩ ঘণ্টায় (প্রায় সাড়ে তিন দিন) ওই আলোর ঝলসানিটা কম করে ৯ বার দেখা গিয়েছিল। এই ‘রিপিটেড’ আলোর ঝলসানিটা গত ১০ বছরে আর দেখা যায়নি। আলোর ঝলসানিটা যখন ‘রিপিটেড’ হচ্ছে, তখন আমরা নিশ্চিত হই, সেটা কোনও বিস্ফোরণ থেকে হচ্ছে না। কারণ, কোনও বিস্ফোরণ থেকে আলোর ঝলসানি হলে তা কখনও ‘রিপিটেড’ হতে পারে না। এক বার সেই আলোর ঝলসানি দেখতে পাওয়ার পরেই তা হারিয়ে যাবে। উধাও, হাপিস হয়ে যাবে। আর সেই আলোর প্রতিটি ঝলসানিই খুব বেশি হলে এক মিলি-সেকেন্ডের চেয়ে স্থায়ী হয় না। এত কম সময় স্থায়ী হয় বলেই এই রেডিও বার্স্ট বা রেডিও তরঙ্গকে অত সহজে আমরা দেখতে পাই না।
টেলিস্কোপের ‘চোখে’ ধরা পড়া আরও একটি ফাস্ট রেডিও বার্স্ট বা এফআরবি
শমী যদিও এটাকে মোটেই ভিনগ্রহীদের জ্বালানো আলো বলে মনে করেন না। পরে ‘জেমিনি’ টেলিস্কোপের ‘চোখ’ দিয়ে শমীরা দেখেছেন, ওই আলো রয়েছে একটি ডোয়ার্ফ গ্যালাক্সি বা বামন ছায়াপথে। আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে এমন আলোর ঝলসানি দেখতে পাওয়া যাবে না বলেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস। ওই ডোয়ার্ফ গ্যালাক্সিটি রয়েছে আমাদের থেকে কম করে ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। মানে, ৩০০ কোটি বছর ধরে ওই আলোর ঝলসানিটা আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডে ‘অলিম্পিকের মশাল’-এর মতো এখান থেকে ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছে। তার মানে, বিগ ব্যাং-এর জেরে ব্রহ্মাণ্ড-সৃষ্টির প্রায় এক হাজার কোটি বছর পর ওই আলোর ঝলসানিটা প্রথম দেখা গিয়েছিল। আর তা এখনও ৩০০ কোটি বছর পরেও দেখা যাচ্ছে! যার অর্থ, সেই আলোর ঝলসানিটা কী প্রচণ্ড শক্তিশালী আর উজ্জ্বল ছিল!’’
যে ভাবে টেলিস্কোপের ‘চোখে’ ধরা পড়ে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট বা এফআরবি
ওই রেডিও তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ১ থেকে ২ গিগাহার্ৎজ বা ২ থেকে ৪ গিগাহার্ৎজ। আর তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার থেকে ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে। একেবারে আলোর গতিতেই ছোটে সেই তরঙ্গ। আর মূলত তা আলোক-কণা ‘ফোটন’ দিয়েই তৈরি। একটা সূর্যের মোট আয়ুষ্কালে যতটা শক্তির নিঃসরণ হয়, তাকে ১০-এর পিঠে ৩৮টা শূন্য বসিয়ে যে সংখ্যাটা হয়, তা দিয়ে গুণ করলে শক্তির যে পরিমাণ হয়, ওই আলোর ঝলসানি থেকে প্রতি মিলি-সেকেন্ডে তৈরি হয় সেই বিপুল পরিমাণ শক্তি। না হলে ৩০০ কোটি বছর ধরে জ্বলতে পারে ওই আলোর ঝলসানি! বিপুল পরিমাণ শক্তি বলেই তো ব্রহ্মাণ্ডে এতটা পথ পেরিয়ে এসে এখনও অতটা উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারে ‘ভিনগ্রহীদের আলো’!
ছবি সৌজন্যে: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy