প্রতীকী ছবি।
সদ্য মা হয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় ছিল না। তাই স্বামীকে এটিএম কার্ড দিয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা তুলে আনতে। আর তার দাম চোকাতে বেঙ্গালুরুর এক দম্পতিকে।
ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, এটিএম কার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয়। যাঁর অ্যাকাউন্ট, তিনি ছাড়া অন্য কেউ ওই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন না। ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর মরাঠাহালির বাসিন্দা বন্দনা তাঁর স্বামী রাজেশ কুমারকে স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলে আনতে বলেন। রাজেশ স্ত্রীর এটিএম কার্ড নিয়ে টাকা তুলতে যান। কিন্তু কার্ড ‘সোয়াইপ’ করার পরে শুধু একটি স্লিপ বেরিয়ে আসে যন্ত্র থেকে। টাকা বেরোয় না। অথচ টাকা কেটে যায় অ্যাকাউন্ট থেকে।
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ফেরত না পেয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন দম্পতি। বন্দনা জানান, বাচ্চা হওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। স্বামীকে সেই কারণেই ডেবিট কার্ডটি দিয়েছিলেন। আদালতকে এ-ও জানিয়েছিলেন তাঁরা, এটিএম থেকে টাকা না বেরোলে রাজেশ এসবিআইয়ের কল সেন্টারে জানিয়েছিলেন। রাজেশের দাবি তাঁকে বলা হয়েছিল, যন্ত্রের ভুল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এর পরে তিনি ব্যাঙ্কের হেলিকপ্টার ডিভিশন শাখায় অভিযোগ জানান। কিন্তু ব্যাঙ্ক তখন দাবি করে, এটিএম থেকে টাকা বেরিয়েছিল এবং গ্রাহক তা পেয়েওছিলেন। শেষে এটিএমের সে দিনকার সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেন দম্পতি। ফের ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানান তাঁরা। এ বারে ব্যাঙ্ক প্রশ্ন তোলে, কেন ডেবিট কার্ডের মালিককে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না?
দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পরে এ বছর চূড়ান্ত রায় দিয়েছে ক্রেতাসুরক্ষা আদালত। জানিয়েছে, বন্দনার উচিত ছিল সেল্ফ চেক ও একটি অথোরাইজেশন লেটার (সম্মতিসূচক পত্র) দেওয়া স্বামীকে। এটিএম কার্ডের পিন বলে দেওয়া কখনওই ঠিক হয়নি। এর পরে মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy