বিক্ষোভ: শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে প্রাক্তন জঙ্গিদের পাকিস্তানি স্ত্রীরা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন জঙ্গিদের পুনর্বাসনের নীতি ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। সেই নীতির সুবিধে পেতে স্বামীদের সঙ্গে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে জম্মু-কাশ্মীরে এসেছিলেন তাঁরা। এখন প্রাক্তন জঙ্গিদের স্ত্রীদের দাবি, তাঁরা পাকিস্তানি। তাই তাঁদের পাকিস্তানেই ফেরত পাঠানো হোক। এই বিষয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ চান ওই মহিলারা।
আজ শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে বিক্ষোভ দেখান অন্তত ৫০ জন প্রাক্তন জঙ্গির স্ত্রী। তাঁদের দাবি, ২০১০ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার চাপে জঙ্গি পুনর্বাসন নীতি ঘোষণা করেছিল ভারত। তাতে বলা হয়েছিল, ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু কাশ্মীরি যুবক পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা জঙ্গি কার্যকলাপে যোগ দেননি তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরে ফিরতে পারেন। ওই সব যুবক, তাঁদের স্ত্রী-সন্তান এবং তাঁদের উপরে নির্ভরশীল সকলের ভারতে আসার আবেদন বিবেচনা করে দেখা হবে। জম্মু-কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দেওয়ার জন্য নথি তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ওই মহিলাদের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে থাকা তথ্যও জানাচ্ছে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে অনেক কাশ্মীরি যুবকই শেষ পর্যন্ত জঙ্গি দলে যোগ দেননি। তাঁরা সেখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। অনেকে স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করেন। ভারত সরকার পুনর্বাসন নীতি ঘোষণার পরে এমন ৪২০টি দম্পতি ফিরে এসেছিল বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর। শ্রীনগরের বিক্ষোভকারী মহিলারা দাবি করেন, তাঁদের কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি সরকার। উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে থাকা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন না তাঁরা। ওই মহিলাদের দাবি, তাঁরা ভারতের আমন্ত্রণে এসেছিলেন। এখন পাকিস্তানে ফিরতে চান।
আরও পড়ুন: মোবাইলে লেখা বন্দির বইকেই সেরার সম্মান
জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে গয়ালের বক্তব্য, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’
আরও পড়ুন: বরফরাজ্যে ‘বন্ধু’র আশ্রয়ে ঘরহারারা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy