ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকে ‘অপারেশন কমল’-এর সাফল্যের পর মধ্যপ্রদেশে ‘অপারেশন কমল নাথ’ সবে শুরু করতে যাচ্ছিল বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবিরের দুই বিধায়ককে ভাঙিয়ে এনে শুরুতেই বিজেপিকে পাল্টা ধাক্কা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
গত কাল রাতে কর্নাটকে এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের সবে পতন হয়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রথম বড় বক্তব্য এল মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের থেকে। তাঁর বক্তব্য, কর্নাটকের মতো মধ্যপ্রদেশেও সরকার ভাঙার কোনও চেষ্টা করবে না বিজেপি। তবে কংগ্রেসের ভিতরের লড়াইয়েই সরকার পড়ে যাবে। তেমন হলে বিজেপির ‘কিছু করার নেই’। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির গোপাল ভার্গব আজ আরও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘আমাদের দলের ‘এক নম্বর’ ও ‘দুই নম্বর’ নির্দেশ দিলে কমল নাথের সরকার ২৪ ঘণ্টাও টিকবে না।’’ তার ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের দিকে।
এর জবাব আজ বিধানসভাতেই দিয়েছেন কমল নাথ। বিজেপি নেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনাদের ‘এক নম্বর’ ও ‘দুই নম্বর’ এমন নির্দেশ দিচ্ছেন না, কারণ তাঁদের বুদ্ধি আছে। আপনি চাইলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসুন।’’ বিজেপি নেতারা তখনও বোঝেননি, তলে তলে অন্য খেলা খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে সরকারের একটি বিল পাশের সময় কমল নাথ উল্টে বিজেপিরই দুই বিধায়ককে ভাঙিয়ে আনেন। নারায়ণ ত্রিপাঠী ও শরদ কউল নামের দুই বিধায়ক বিলে সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এমনকি, নৈশভোজ বৈঠকের জন্য কমল তাঁদের পাঠিয়ে দেন ‘গোপন’ ডেরায়। এঁরা দুজনেই অতীতে কংগ্রেসে ছিলেন।
কংগ্রেসের জিতু পাটোয়ারি বলেন, ‘‘কমল নাথ কর্নাটকের কুমারস্বামীর মতো নন। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি নেতারা যদি ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করেন, তা হলে ওঁদের সাত বার জন্ম নিতে হবে।’’
কর্নাটকের পাশাপাশি কংগ্রেস-শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের উপর অনেক দিন ধরেই নজর রয়েছে বিজেপির। মধ্যপ্রদেশে সরকার সুতোর উপরে দাঁড়িয়ে। রাজ্যের ২৩১ টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৬ জনের সমর্থন। কংগ্রেসের বিধায়ক ১১৪ জন। এসপি-র ১, বিএসপি-র ২, চার জন নির্দল নিয়ে ১২১ জনের সমর্থন রয়েছে কমল নাথের দিকে। আর বিজেপির রয়েছে ১০৮ জন বিধায়ক।
ওই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস সরকার গড়ার পর থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছে, কংগ্রেসে ভাঙন ধরবে। সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু কমল নাথও শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, বিজেপির নেতারা কংগ্রেসে আসতে রাজি। তাই আজকের ঘটনার পরে অনেকেই বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি
শুধু এই দুই বিধায়ককেই কংগ্রেসে নিয়ে এসে জিতিয়ে আনতে পারেন, তা হলে দল একার জোরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘এ তো সবে শুরু। কংগ্রেসের সরকারের দিকে বিজেপি কু-নজর দিলে তাদের দলেই আরও ভাঙন ধরবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy