ফাইল চিত্র।
নাম বাদ পড়ার কারণ দর্শানো ‘স্পিকিং অর্ডার’ এনআরসিছুটদের হাতে পৌঁছতে পৌঁছতে নভেম্বর মাস হয়ে যাবে।
কেন্দ্র জানিয়েছিল, ১২০ দিনের মধ্যে এনআরসিছুটদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাতে হবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই ২০ দিন পার হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, নাম বাদ পড়ার কারণ লেখা ‘সার্টিফায়েড কপি’ দেওয়ার দিন থেকে ১২০ দিনের গণনা শুরু হবে। কিন্তু সব এনআরসি কেন্দ্র থেকে বিশদ বিবরণ সংগ্রহ করে, মিলিয়ে দেখে সেই ‘স্পিকিং অর্ডার’ তৈরিতে অনেক সময় লাগবে বলে এনআরসি দফতর জানিয়েছে। এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা সব জেলার রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেন রেজিস্ট্রেশনকে যে নির্দেশ পাঠিয়েছেন তাতে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত এনআরসির সঙ্গে ‘স্পিকিং অর্ডার’ মিলিয়ে দেখার কাজ শুরু হবে। তা স্ক্যান করার কাজ শুরু হবে পুজোর পরে, ১১ অক্টোবর থেকে। বিবৃতি ও অতিরিক্ত নথিপত্র স্ক্যান করার কাজ চলবে ২৫ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। তাই সম্ভবত নভেম্বরের আগে কেউ হাতে ‘স্পিকিং অর্ডার’ পাবেন না।
এ দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ দাবি করেন, চূড়ান্ত এনআরসিতে অনেক ভারতীয়ের নাম বাদ পড়েছে। তাঁর মতে, ‘‘তালিকায় নাম না থাকা ১৯ লক্ষের মধ্যে সর্বাধিক ১০ লক্ষ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হতে পারেন। এত দিন খামোকা ৫০ লক্ষ পর্যন্ত অনুপ্রবেশকারী বা বাংলাদেশি অসমে রয়েছে বলে শোরগোল তৈরি করা হচ্ছিল।’’ তাঁর চ্যালেঞ্জ, বিজেপি সরকার ১০ লক্ষের বেশি একজনকেও বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। নাম বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষের তথ্য ও নথি ফের যাচাইয়ের দাবি তুলেছেন তিনি।
এ দিকে, এনআরসিতে ভূমিপুত্র কোচ-রাজবংশীদের অনেকের নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার অসম বনধ ডাকে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠন আক্রাসু। নামনি অসমের বিভিন্ন স্থানে এই বন্ধের প্রভাব পড়েছে। ধুবুড়ি, কোকরাঝাড়, মরিগাঁও, নগাঁও, ছাগলিয়াতে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। প্রতীক হাজেলার কুশপুতুলও পোড়ানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy