রাহুল আর নির্মলার বিতণ্ডা তুঙ্গে।
রাহুল গাঁধী চ্যালেঞ্জ ছুড়লেও রাফাল নিয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের মোকাবিলা করাচ্ছেন অরুণ জেটলি, নির্মলা সীতারামনদের দিয়েই। আজও যখন রাহুল আর নির্মলার বিতণ্ডা তুঙ্গে উঠল, দূর থেকেই নিজেকে ফের ‘দুর্নীতিমুক্ত’ হিসেবে মেলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত সপ্তাহেই সংসদে রাফাল নিয়ে রাহুলের প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে পারেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা। আগামিকাল ফের সংসদ বসবে। তার আগে আজ সকালে রাহুল টুইট করে বেঁধেন নির্মলাকে। তাঁর অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে ১ লক্ষ কোটি টাকার বরাত দেওয়ার যে দাবি লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছেন, তা অসত্য। হ্যাল সূত্রই বলছে, এক পয়সা আসেনি, একটি চুক্তিও হয়নি। রাহুল বলেন, ‘‘একটা মিথ্যে বললে, সেটা ঢাকতে আরও মিথ্যে বলতে হয়। রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যে আড়াল করার উৎসাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংসদে অসত্য বলেছেন। হ্যালকে দেওয়া বরাতের নথি সংসদে পেশ করুন, না হলে ইস্তফা দিন।’’
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নথি নিয়ে টুইট করেন নির্মলা। দেখান, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হ্যালকে ২৬,৫৭০ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছে। আরও ৭৩ হাজার কোটি টাকার বরাত পাইপলাইনে আছে। তার পরেই রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ করে নির্মলার জবাব, ‘‘কংগ্রেস সভাপতি দেশকে যে ভাবে বিভ্রান্ত করছেন, তা লজ্জাজনক। রাহুল গাঁধী কি এ বার লোকসভায় দাঁড়িয়ে দেশের কাছে ক্ষমা চাইবেন?’’
আরও পড়ুন: অসন্তোষ বন্ধে নেতাদের কাজ দিলেন অমিত
রাতে টুইট করে হ্যাল এক দিকে যেমন জানিয়েছে, ৯৬২ কোটি টাকা ওভারড্রাফট নেওয়ার খবর সত্যি, তেমনই বলেছে যে নির্মলার দাবি করা দু’টি বরাতের কাজ শেষের মুখে।
কিন্তু রাফাল নিয়ে রাহুলের মূল অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই মোদী সংসদে বিতর্কের সময় দু’দিন লোকসভা-মুখো হননি। আজ দিল্লি থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের সময় ‘রাফাল’ শব্দটি তিনি উচ্চারণ করলেন না বটে। কিন্তু বললেন, ‘‘সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সব মিথ্যে ফাঁস করে দিয়েছেন। নির্মলা সীতারামন ও অরুণ জেটলি দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব কথা বলেছেন। এত মিথ্যে প্রচার হয়েছিল, তার প্রতিটি শব্দের জবাব দিয়েছেন তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে।’’ এর পর বিরোধী মহাজোটকে আক্রমণ করে মোদীর মন্তব্য, ‘‘এক দিকে এনডিএ পরিবার, অন্য দিকে পরিবারতন্ত্রের জোট। আমাদের মন্ত্র হল, না খাব, না খেতে দেব। আর ওদের মন্ত্র হল, সব প্রকল্পে লেখা থাকবে খাওয়ার নাম।’’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের বন্ধু হোন, কর্মীদের মোদী
কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এত আত্মবিশ্বাসী হলে কেন যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ছেন না? সংসদের বিতর্ক থেকে কেন পালাচ্ছেন? কেন রাহুলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy