সিবিআইয়ের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়ে এলেন অরুণ শৌরি এবং প্রশান্ত ভূষণ।
রাহুল গাঁধীর নির্দেশে রাফাল নিয়ে ফের সিএজি-র কাছে গেল কংগ্রেস। আর সিবিআইয়ের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়ে এলেন অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিন্হা এবং প্রশান্ত ভূষণ।
দলকে রাহুল বলেছেন, রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেকায়দায় পড়েছেন। সে কারণেই নিজে চুপ থাকলেও গোটা সরকারকে নামিয়ে দিয়েছেন অভিযোগের মোকাবিলা করতে। বায়ুসেনা প্রধানকে দিয়ে রাফালের সপক্ষে যুক্তি দেওয়ানো হয়েছে। কিন্তু অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দেওয়ার বিষয়ে তিনি নীরবই। সেই সূত্র ধরেই আজ আনন্দ শর্মা, আহমেদ পটেল, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালারা ফের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর (সিএজি) প্রধান রাজীব মেহর্ষির সঙ্গে দেখা করেন। একই দাবি নিয়ে বাজপেয়ীর জমানার দুই মন্ত্রী শৌরি ও সিন্হার সঙ্গে প্রশান্ত ভূষণ গিয়ে দেখা করেন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার সঙ্গে। নথি জমা দিয়ে তাঁরা নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি তোলেন।
কিন্তু ক’দিন আগেও তো এই রাফাল অভিযোগ নিয়ে সিএজির কাছে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। তা হলে আজ আবার কেন? আনন্দ শর্মার যুক্তি, গত বৈঠকের পর নতুন তথ্য হাতে এসেছে দলের কাছে। ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ দাবি করেছেন, অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের চাপ ছিল। কংগ্রেসের অভিযোগ, বৈঠক যেহেতু ওলাঁদ ও মোদীর মধ্যেই হয়েছে, তার মানে মোদীই নিজের স্বার্থে অনিলকে বরাত দিয়েছেন! দ্বিতীয় যে তথ্য আজ কংগ্রেস সিএজি-র কাছে পেশ করেছে তা হল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুগ্মসচিব রাফালের দামে আপত্তি তুলেছিলেন বলে যে খবর সামনে এসেছে সেটি। এখন সিএজির উপরেও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের আশঙ্কা ।
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজীব মেহর্ষি তাঁদের জানিয়েছেন সিএজির উপরে প্রভাব খাটানোর ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের বিবৃতি তাঁর চোখেও পড়েছে। তবে সিএজি নিজের কাজ করবে। কংগ্রেস নেতারা সিএজিকে বলে এসেছেন, সাংবিধানিক এই সংস্থা যেন ‘ফরেন্সিক অডিট’ করে। কারণ, এর ভিত্তিতেই যৌথ সংসদীয় দল গঠন করতে চায় বিরোধীরা। অন্য দিকে প্রশান্ত ভূষণরা যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়ে এসেছেন, তা সিবিআই মেনে নেবে বলে মনে করছেন না কোনও পক্ষই। তা হলে এই দাবি আদৌ পেশ করা হল কেন? প্রশান্তদের মতে, সিবিআই প্রধানমন্ত্রী দফতরের অনুমতি চাইতে পারে। তা খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy