কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ কংগ্রেস সাংসদদের। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাশ করানোর সময়ে একাধিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলগুলি। গত ২০ সেপ্টেম্বর কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন এবং কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি সংক্রান্ত বিল রাজ্যসভায় আনে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই বিলে কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় ব্যবসায়ীদের একতরফা ভাবে ফসলের দাম নির্ধারণ ও মজুতের অধিকার দেওয়ার অফভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এটি সে দিনের রাজ্যসভার কার্যবিবরণীতে থাকলেও, সে দিন ডেরেকের ভোটাভুটির দাবি অগ্রাহ্য করা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ— নিয়মমাফিক এটা করা যায় না। বিরোধীদের বক্তব্য, সে দিন যে কোনও ভাবে বিল পাশ করাতে বদ্ধপরিকর ছিল সরকার। তাই সাধারণত যেখানে গোটা সভার সম্মতি নিয়ে কোনও আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো হয়, সেখানে সে দিন কার্যত একতরফা ওই বিল পাশ করানোর জন্য বাড়তি সময় মঞ্জুর করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশনারায়ণ সিংহ।
ডেরেক ছাড়া ওই বিলে ভোটাভুটি চেয়েছিলেন ডিএমকে-র সাংসদ তিরুচি শিবা। কিন্তু ওই সাংসদ আসনে নেই বলে দাবি খারিজ করে দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। বিরোধীদের অভিযোগ, সে দিন আগাগোড়া নিজের আসনে দাঁড়িয়েছিলেন শিবা। রাজ্যসভার টিভিতেও তা দেখা গিয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যসভায় শাসক শিবিরের সদস্যের সংখ্যা কম থাকায় শিবার দাবি মেনে ভোটাভুটির রাস্তায় হাঁটতে চায়নি সরকার। ভোট না-করেই ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ করিয়ে আইনে পরিণত করা হয়। শুধু ভোটাভুটি এড়িয়ে যাওয়াই নয়, অভিযোগ সংশোধনী আনতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সিপিএম সাংসদ কে কে রাগেশ। দূরত্ববিধির কারণে গ্যালারিতে বসে থাকা ওই সাংসদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়। সে দিন শাসক শিবির অভিযোগ করে, তৃণমূল সাংসদ ডেপুটি চেয়ারম্যানকে নিশানা করে বই ছুঁড়ে মেরেছেন। যদিও সে দিনের রাজ্যসভার ভিডিয়ো তুলে ধরে তৃণমূলের দাবি, ডেরেক সে দিন ডেপুটি চেয়ারম্যানের সামনে যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সে সময়ে অন্য কেউ পিছন থেকে বইটি ছুঁড়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy