শ্যালিকাকে গণধর্ষণ করিয়ে খুন করানোর অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। আর এই কাজ করানোর জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। তার পর সেই টাকা দিয়ে দু’জন ভাড়াটে খুনিকে ঠিক করেন। শুক্রবার জঙ্গল থেকে তরুণীর দেহাংশ এবং খুলি উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্র খবর, গত ২১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তরুণী। শুক্রবার পাশেরই একটি জঙ্গল থেকে তাঁর দেহাংশ এবং খুলি উদ্ধার হয়। পুলিশ মনে করছে, প্রমাণ লোপাটের জন্য জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটিকে এমন ভাবে পোড়ানো হয়েছে যে চেনা যাচ্ছিল না। তবে তাঁর পোশাকের কিছু অংশ, জুতো এবং গয়না দেখে চিহ্নিত করা হয়। শনিবার মেরঠ থেকে জামাইবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই ভাড়াটে খুনির হদিস পায়নি পুলিশ।
মুজফফরনগরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আদিত্য বনশল বলেন, ‘‘গত ২১ জানুয়ারি শেষ বার দেখা গিয়েছিল তরুণীকে। জামাইবাবুর বাইকে করে যেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, জামাইবাবুর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তরুণীর।’’ জেরায় পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জামাইবাবু দাবি করেছেন, বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন শ্যালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার ভয়ে দু’জনকে টাকা দিয়ে ভাড়া করেন। সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ব্যাঙ থেকে ঋণ নেন। অগ্রিম হিসাবে খুনিদের ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কাজ শেষে বাকি ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জামাইবাবু এবং ভাড়াটে খুনিরা মিলে প্রথমে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন। তার পর শ্বাসরোধ করে খুন করেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য পেট্রল দিয়ে দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মহিলার পোশাকের কিছু অংশ এবং অন্তর্বাস দেখে শনাক্ত করা হয়। দু’প্যাকেট কন্ডোমও মিলেছে ঘটনাস্থল থেকে।