পটনায় নীতীশের বাসভবনে এনডিএ নেতৃত্বের বৈঠকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। ছবি: পিটিআই।
আসন সংখ্যার হিসেবে অনেক বেশি হলেও বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে আর একটা ‘মহারাষ্ট্র’ চাননি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। সে কারণেই জোটের ছোট শরিকে পরিণত হওয়া নীতীশ কুমারকেই আরও এক বার বিহারের গদিতে বসার সুযোগ করে দিল বিজেপি। যার জেরে আগামিকাল, টানা চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ-প্রধান। আজ পটনায় নীতীশের বাসভবনে এনডিএ নেতৃত্বের বৈঠকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা জারি রয়েছে। এত দিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী থাকা সুশীল মোদীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনার কথা ভাবছে বিজেপি।
মহারাষ্ট্র-পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনের আগেই নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু ছোট শরিক হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল জেডিইউয়ের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে আজ নীতীশের বাড়িতে বৈঠকে বসেন এনডিএ নেতারা। দিল্লি থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজনাথ সিংহ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশকেই বেছে নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে নীতীশ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি চেয়েছিলাম বিজেপি থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোন। কিন্তু সব বিজেপি নেতার নিরন্তর চাপে পড়ে বিহারের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।’’ তবে মন্ত্রিসভায় কারা যোগ দেবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের মতে, রাজ্য বিজেপির একাংশ গোড়া থেকেই নিজেদের দলের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার পক্ষপাতী ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপে এ যাত্রায় নীতীশকে মানতে হয়েছে গিরিরাজ সিংহদের।
তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব কে পাবেন, তা এখনও স্থির হয়নি। নীতীশের গত তিনটি সরকারে বিজেপির সুশীল মোদী উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছিলেন। তাঁকে এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনার কথা ভাবছেন মোদী। তাঁর পরিবর্তে দলের বিধানসভার নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে কাটিহারের বিজেপি বিধায়ক তারকিশোর প্রসাদকে। বিজেপি সূত্রের মতে, সুশীলের পরিবর্তে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন তারকিশোর। এই মুহূর্তে জেডিইউ-বিজেপির সমস্যা হল, এনডিএ-র বাকি দুই শরিক জিতনরাম মাঁঝির দল হাম ও মুকেশ সহানির ভিআইপি দলের পক্ষ থেকে আলাদা করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করা হয়েছে। এ বারের সরকার গঠনে ওই দুই শরিকই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। দু’দল চারটি করে মোট আটটি আসন পেয়েছে। বিহারে সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ১২২। নির্বাচনে ১২৫ আসন পেয়েছে এনডিএ। ফলে একটি দলও জোট থেকে বেরিয়ে গেলে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে দুই দলই উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব দাবি করায় সমস্যা বাড়ছে। সূত্রের খবর, দুই দলকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। দুই দলকে একটি করে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: ৭৫০টি অতিরিক্ত আইসিইউ শয্যা দিল্লিকে, জানাল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি কংগ্রেস নেতা অহমেদ পটেল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy