নাগরাজের এ দিনের বিবৃতিতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে শাসক শিবির।—ছবি পিটিআই।
কর্নাটকে কে কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটাই এখন বড় ধোঁয়াশার বিষয়। কবে হবে আস্থা ভোট, বড় প্রশ্ন সেটাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কংগ্রেস-জেডিএসের বিদ্রোহী ১৬ জন বিধায়কের ইস্তফা নিয়ে আগামী মঙ্গলবারের আগে কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন না স্পিকার। বিদ্রোহীদের ১০ জনের আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত গত কাল ওই নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পা আজ জানিয়েছেন, আরও ৫ বিদ্রোহী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে, তাঁদের বরখাস্তের বিষয়টি বিবেচনার করা হচ্ছে বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। আবার উল্টো খবরও মিলেছে। ওই পাঁচ বিদ্রোহীরই এক জন, এমটিবি নাগরাজ রাজ্যের আবাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। বাকিদেরও সেই পথে হাঁটার জন্য বোঝাবেন বলেও ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
কর্নাটকে কংগ্রেসের অন্যতম ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে পরিচিত ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে আজ সকালে কথা হয় নাগরাজের। তার পরেই মিলেছে মত বদলের আঁচ। নাগরাজ বলেছেন, ‘‘সিদ্দারামাইয়া ও দীনেশ গুন্ডুরাও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ইস্তফা প্রতাহাহার করতে বলেছেন। আমি ভাবার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছি। কিছু বিরোধের কারণে ইস্তফা দিয়েছি আমরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন বিধায়কদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আমি এ কাজে তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করব।’’
কংগ্রেসের ১৩ এবং জেডিএসের ৩— মোট ১৬ জন বিধায়কের ইস্তফাতেই সঙ্কটে পড়েছে জোট সরকার। এইচ ডি কুমারস্বামী গত কাল নিজে থেকেই গরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা দিতে চাওয়ায় সব পক্ষই কমবেশি বিস্মিত। জেডিএস বলছে, তিনিই জিতবেন। নাগরাজের এ দিনের বিবৃতিতে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে শাসক শিবির। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থিতাবস্থা রাখতে বলছে। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার আস্থা ভোট করানোর পক্ষপাতী। ফলে বিদ্রোহীদের বোঝানোর জন্য আরও কিছুটা সময় পাবে শাসক শিবির।
সূত্রের খবর, কুমারস্বামী কার্যসূচি নিয়ে গত কালের বৈঠকে বুধবার আস্থা ভোট নেওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। ইয়েদুরাপ্পা আজ বলেন, ‘‘কংগ্রেস-জেডিএস সরকার গরিষ্ঠতা হারিয়েছে। সোমবার অবশ্যই আস্থা ভোট নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করুন— সোমবার সকালে বিধানসভার কার্যসূচি নিয়ে বৈঠকে আমরা এই দাবিই জানাব।’’
স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানিয়েছেন, আস্থা ভোট নিয়ে তাঁর উপরে কোনও চাপ নেই। বরং তিনি স্বস্তিতেই আছেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন বৈঠকে। কিন্তু বিরোধী পক্ষের ইয়েদুরাপ্পা তখন ছিলেন না। আমি একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না এ বিষয়ে।’’ আর বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণের প্রশ্নে তাঁর স্পষ্ট জবাব, অনেক রাজ্যে এই রকম ঘটনার অনেক নজির রয়েছে। অনেক রায়ও রয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখছি। কোনও চাপের কাছে আমি মাথা নোয়াব না। যা হওয়ার আইন মেনেই হবে।’’
গত কাল থেকে বিধানসভা অধিবেশন চলছে রাজ্যে। বিজেপি বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে এক রিসর্টে রাখা হয়েছে। আর বিদ্রোহী শিবিরের ১৪ রয়েছেন মুম্বইয়ে। কাল তাঁদের চার জন পুজো দিতে গিয়েছিলেন সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে। আজ তাঁরা যান শিরডিতে সাইবাবার মন্দিরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy