Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Dawood Ibrahim

কেরলে সোনা পাচার কাণ্ডে দাউদের যোগ থাকতে পারে, সন্দেহ এনআইএ-র

মুখবন্ধ খামে সেন্ট্রাল ইকনমিক ইনটেলিজেন্স বুরো (সিইআইবি)-র একটি রিপোর্টও আদালতে পেশ করে এনআইএ।

কেরলে সোনা পাচার কাণ্ডে দাউদ ইব্রাহিমের হাত বলে দাবি এনআইএ-র।

কেরলে সোনা পাচার কাণ্ডে দাউদ ইব্রাহিমের হাত বলে দাবি এনআইএ-র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৫
Share: Save:

কেরলে সোনা পাচার মামলায় বিস্ফোরক তথ্য। মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ ইব্রাহিমের দলের ওই ঘটনায় হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার আদালতে এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পেশ করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও।

এ দিন আদালতে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করেন এনআইএ-র আইনজীবী। সেই সঙ্গে এই তথ্যও তুলে ধরেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে, সোনা পাচার কাণ্ডের পিছনে ভারত বিরোধী কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। সেই ব্যাখ্যার সমর্থনে মুখবন্ধ খামে সেন্ট্রাল ইকনমিক ইনটেলিজেন্স বুরো (সিইআইবি)-র একটি রিপোর্টও আদালতে পেশ করে এনআইএ। গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও সোনা পাচারের সঙ্গে হাওয়ালা চক্র এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগসাজশ রয়েছে বলেজানাচ্ছে।

গত জুলাই মাসে কেরলের সোনা পাচার চক্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে যায়। গত ৪ জুলাই তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে ৩০ কিলোগ্রাম সোনা আটক করেছিল শুল্ক দফতর। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে কূটনৈতিক যোগাযোগ (ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল)-এর মাধ্যমে ওই সোনা এসেছিল তিরুঅনন্তপুরমে। ওই কাণ্ডে আরব আমিরশাহি দূতাবাসেই লিয়াজোঁ অফিসার পদে থাকা স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি প্রচার সংক্রান্ত বিষয়টিও সামলাতেন। কেরল তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে যুক্ত একটি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মার্কেটিং অফিসারের দায়িত্বেও ছিলেন স্বপ্না। ফলে কেরলে সোনা পাচারের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে যায়। এ ছাড়া তিরুঅনন্তপুরমে আরব আমিরশাহি দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ কুমার-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে চিনফিংয়ের বার্তা সেনাবাহিনীকে

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৮১ হাজার, বেশ খানিকটা কমল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা

ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে শুধু মাত্র ৩০ কিলোগ্রাম নয়, তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সোনা এ দেশে আমদানি করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, ওই কাণ্ডে ধৃত রামিজ নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছে, সে তানজানিয়ায় হিরের ব্যবসা করত। সেখান থেকে সোনা এনে সে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিক্রি করেছিল। তানজানিয়া-সহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দাউদ ইব্রাহিমের দল কী ভাবে চোরাচালান-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম চালায় সে সম্পর্কিত বহু তথ্যও এ দিন আদালতে পেশ করেছে এনআইএ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE