—ফাইল চিত্র।
হিসেবটা এত দিন মোটামুটি পরিষ্কার ছিল। জিএসটি যোগ করে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম যদি ১০০ টাকা হয়, আর ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের ৯০ টাকা, তা হলে পুরো দামে সিলিন্ডার কেনার পরে ফারাকের ওই ১০ টাকাই ভর্তুকি হিসেবে জমা পড়ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। যাঁরা ভর্তুকির হকদার, তাঁদের সকলের ক্ষেত্রে ভর্তুকির অঙ্কও হত একই। কিন্তু অগস্টে সিলিন্ডারের নতুন দাম ঘোষণার পরে গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, এ বার ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা গ্রাহকেরা যত টাকা ভর্তুকি পেয়েছেন, অন্যদের ভর্তুকি তুলনায় খানিকটা কম। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ‘চুপিসারে’ উজ্জ্বলা যোজনার বাইরে থাকা গ্রাহকদের ভর্তুকির অঙ্কে কোপ বসাল কেন্দ্র? এ ভাবে কি ধাপে ধাপে উজ্জ্বলা-গ্রাহক বাদে বাকিদের ভর্তুকি তুলে দেওয়া হবে?
কেন্দ্র এখনও স্পষ্ট ঘোষণা করেনি। মুখে কুলুপ গ্যাস সংস্থাগুলিরও।
কিন্তু ডিলাররা মানছেন, এই অভিযোগ নিয়ে তাঁদের কাছে আসছেন অনেক গ্রাহক। ইন্ডেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিজন বিশ্বাসের কথায়, ‘‘সংস্থাগুলি অন্যান্য বার ভর্তুকিযুক্ত ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এবং প্রাপ্য ভর্তুকির অঙ্ক জানালেও এ মাসে এখনও আমাদের তা জানায়নি।’’ সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকেরা সিলিন্ডার পিছু ভর্তুকি পাচ্ছেন ৯৫.০৫ টাকা। অন্য সাধারণ গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ৭৪.০৫ টাকা।
জুলাইয়ে কলকাতায় জিএসটি যোগ করে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬৬২.৫০ টাকা। জিএসটি নিয়ে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪৯৭.৪৭ টাকা। ফলে উজ্জ্বলা যোজনা ও তার বাইরের সাধারণ গ্রাহক— সকলেই সিলিন্ডার পিছু ১৬৫.০৩ টাকা করে ভর্তুকি পেয়েছিলেন। কিন্তু অগস্টে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে ৬০১ টাকা করার কথা ঘোষণা হলেও ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম প্রকাশ্যে বলেনি তেল-গ্যাস সংস্থাগুলি।
ঘুরপাক খাচ্ছে আরও প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, হতেই পারে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকির পরিমাণ কমেছে। কিন্তু তা সংস্থাগুলি স্পষ্ট জানাচ্ছে না কেন? দ্বিতীয়ত, উজ্জ্বলা-গ্রাহকদের সঙ্গে তাঁদের ভর্তুকি প্রাপ্তির ফারাক হল কী ভাবে? তবে কি দারিদ্রসীমার নীচে এবং উপরে থাকা পরিবারের জন্য দু’রকম ভর্তুকির অঙ্ক ঠিক হল? তৃতীয়ত, গ্রাহক পুরো দামে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডার কেনেন এই বিশ্বাসে যে, ভর্তুকির পুরো টাকা জমা পড়ে যাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে। তাই তাঁদের অন্ধকারে রেখে দু’রকম ভর্তুকি চালু কতটা যুক্তিযুক্ত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy