মোদীর বুকে মাথা রেখে কাঁদছেন কে শিবন। ছবি: পিটিআই
চাঁদ ছুঁতে তখন আর মাত্র ২.১ কিলোমিটার বাকি। উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছিল ইসরো। বেঙ্গালুরুর স্পেস সেন্টারে যেন সমস্ত আশা-আশঙ্কা ভিড় করেছে সে সময়। সমস্ত দুর্ভাবনাকে সত্যি করে, আচমকা মুন ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সাময়িক ভাবে ভূপৃষ্ঠের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এত কাছে এসে প্রথম প্রচেষ্টায় সাফল্য না পাওয়া। সাময়িক ভাবে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি ইসরো প্রধান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রীর বুকে মাথা রেখে কেঁদে ফেলেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো নিয়েই তরজায় মেতেছেন নেটিজেনরা।
প্রাথমিক ভাবে লক্ষ্যভেদ না হওয়ায়, শিবনের হাউ হাউ করে কান্না নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কেউ তীব্র ব্যঙ্গে বিঁধেছেন ইসরো চেয়ারম্যানকে। কেউ আবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় দ্বিধা বিভক্ত নেটিজেনরা।
শিবনের কান্না নিয়ে টুইটে খোঁচা দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক গৌরব পান্ধি। তিনি লেখেন, ‘কে শিবনের থেকে আরও পরিণত আচরণ আশা করেছিলাম। তাঁর মতো পদমর্যাদার এক জন মানুষ এমন শিশুর মতো কাঁদছেন এটা আমার কাছে খুব বোকা বোকা মনে হয়েছে। কর্মস্থলে কান্না অপেশাদারের মতো কাজ।’ শিবনকে লক্ষ্য করে গৌরবের এমন ব্যঙ্গ অবশ্য তেমন সমর্থন কুড়োতে পারেনি। বরং, এর উল্টো মতটাই তুলে ধরেছেন অনেকে।
I was expecting better temperament from the @ISRO chairman. Failures happen and are stepping stones for the success ahead. ISRO's achievements and efforts are applauded by the entire world. A man of his stature crying like a baby because of shortfalls looks idiotic to me. pic.twitter.com/hLIlzBmlAP
— Gaurav Pandhi (@GauravPandhi) September 7, 2019
আরও পড়ুন: অবশেষে উধাও বিক্রমের খোঁজ মিলল চাঁদের পিঠে, ঘোষণা ইসরোর
চন্দ্রযান টু অভিযান নিয়ে ইসরোর ভিতরে যেমন উৎসাহের পারদ চড়ছিল তেমনই সে দিকে নজর ছিল গোটা দেশেরও। তাই এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শিবনের সমর্থন পেতে দেরি হয়নি। গৌরব পান্ধিয়ার টুইটের প্রেক্ষিতে ঝাঁকে ঝাঁকে তিরের মতোই এসেছে পাল্টা মন্তব্য।
এক জন পাল্টা মন্তব্য করেছেন, ‘শিবনের আচরণ নিয়ে ব্যঙ্গ করার আগে আপনার এই বিষাক্ত পৌরুষ ঝেড়ে ফেলুন।’ হিপোপটেমাস নামে একটি টুইটার হ্যান্ডল থেকে এক জন লিখেছেন, ‘আমরা সকলেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যে তা আমাদের বিধ্বস্ত করে দেয়। তাতে আমরা কাঁদা ছাড়া আর কিছুই করতে পারি না। এটাই স্বাভাবিক’
কেউ আবার লিখেছেন, ‘পুরুষদের কাঁদা খারাপ কিছু নয়। কারণ, আপনারা যন্ত্র নন।’ জয় বি ভরদ্বাজ নামে এক জন লিখেছেন, ‘এক মাত্র পবিত্র ও সৎ হৃদয়ের মানুষরাই এমন মুহূর্তে কাঁদতে পারেন।’ আয়ুষ সিংহ কুশওয়হা নামে এক জন লিখেছেন, ‘এই জন্যই আমরা মানুষ। আবেগ থাকা ভাল।’
আরও পড়ুন: চন্দ্র-অভিযানের পর ইসরো-র সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চায় নাসা
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব অতিক্রম করে যাওয়া। পথে হাজার রকম ঝুঁকির সম্ভাবনা। প্রতিটি অঙ্কের খুঁটিনাটি মিললে তবেই সাফল্য মিলবে অভিযানে। এমন পরিস্থিতিতে এতটা এগিয়েও প্রাথমিক ভাবে সাফল্য না আসায় বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ইসরো প্রধান। তাঁকে পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই ছবিকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানিয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু, শিবনকে কার্যত বীরের মর্যাদা দিয়েছে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন: এখনও ব্যর্থ বলার সময় আসেনি, ল্যান্ডিং না হোক যাত্রাটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy