Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
India

পাক হাইকমিশনের অর্ধেক কর্মীকে ফেরত পাঠাচ্ছে নয়াদিল্লি

ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও অর্ধেক কর্মীকে দেশে ফেরাচ্ছে নয়াদিল্লি।

পাক দূতাবাসের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। —ফাইল চিত্র।

পাক দূতাবাসের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। —ফাইল চিত্র।

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ১৯:৫৭
Share: Save:

নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের ৫০ শতাংশ কর্মীকে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসলামাবাদে বার্তা পাঠাল ভারত। মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। পাক দূতাবাসের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের জেরেই নরেন্দ্র মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও অর্ধেক কর্মীকে দেশে ফেরাচ্ছে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনার মইন উল হককে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের দুই কর্মীকে বহিষ্কার এবং তার জবাবে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের দুই কর্মীকে নিগ্রহ ও গ্রেফতারির ঘটনায় কূটনৈতিক টানাপড়েনের কারণেই নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে ওদের (পাক হাইকমিশন)। গত ৩১ মে দুই হাই কমিশন কর্মীর হাতেনাতে ধরা পড়া এবং বহিষ্কারই তার প্রমাণ।’’

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের দুই কর্মী, আবিদ হুসেন এবং মহম্মদ তাহিরকে আটক করার পরে তাঁদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর পরেই ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনের দুই কর্মীকে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, পাক গোয়েন্দারা রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই দু’জনের উপর অত্যাচার চালায়। এর পর সুলভাদেশ পল এবং দওয়ামু ব্রাহমুর নামে ওই দুই কর্মীকে ভারতে ফিরিয়ে আনে বিদেশমন্ত্রক।

আরও পড়ুন: গালওয়ানে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল চিন, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

আরও পড়ুন: মোদীবাবু পেট্রল বেকাবু: কেন্দ্রকে দলবদ্ধ আক্রমণ তৃণমূলের​

অন্য বিষয়গুলি:

India Pakistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE