Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
India China

প্যাংগংয়ে ভারতই আগ্রাসন চালিয়েছে, ফের নালিশ চিনের

নয়াদিল্লির তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার তৎপরতা। —ফাইল চিত্র

পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার তৎপরতা। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৫৮
Share: Save:

মস্কো বৈঠকের তিন দিন পর ফের বেজিংয়ের গলায় নালিশের সুর। ২৯-৩০ অগস্ট রাতে প্যাংগং-এ ভারত আইন ভেঙে অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ তুলল চিন। নয়াদিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূতের সরকারি ওয়েবসাইটে সোমবার এই সংক্রান্ত বার্তা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে এটা ভারতের প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ। মস্কো বৈঠকে যখন সন্দেহের বাতাবরণ কাটিয়ে নয়াদিল্লি-বেজিং পারস্পারিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছে, তার পরেও চিনের এই বার্তায় পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে চিনের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে পর পর বৈঠকে সেনা সরিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছিল। তার মধ্যেই ২৯-৩০ অগস্ট রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ‘‘ওই রাতে চিনের বাহিনীই আগ্রাসন চালিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করেছিল। সেনা জওয়ানরা তা রুখে দেন। ভারতীয় সেনা সংযত থেকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে বলেই সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছে।’’ বেজিংয়ের পাল্টা দাবি ছিল, চিনা বাহিনী স্থিতাবস্থা নষ্ট করেনি, বরং ভারতই আগ্রাসন চালিয়েছে।

এমন দাবি-পাল্টা দাবির মধ্যেই গত ১১ সেপ্টেম্বর মস্কোয় বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। দু’পক্ষই পারস্পারিক সমঝোতার বার্তা দিয়েছিল। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে নয়াদিল্লি-বেজিং সহমতও হয়েছিল। তার পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাতেও আর নতুন করে কোনও উত্তেজনা ছড়ায়নি। তার মধ্যেই সোমবার নয়াদিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডংকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনা ও রাজনীতিকরা দাবি করেছেন প্যাংগং লেকের দক্ষিণে চিনা সেনার আগ্রাসন রুখে দিয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট যে, ওঁরা (ভারত) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পেরিয়ে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করেছে এবং সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।’’

আরও পড়ুন: লাদাখ নিয়ে আজ লোকসভায় রাজনাথের ভাষণ, প্রস্তুত বিরোধীরাও

আরও পড়ুন: সেনার পাশে দাঁড়ান, সংসদকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

জয়শঙ্কর-ওয়াং ই বৈঠকের কথা উল্লেখ করে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘‘যে বাহিনী অনুপ্রবেশ করেছে এবং সামরিক সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে, সে সব ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত সেনা সরিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা অত্যন্ত জরুরি।’’ মস্কোর বৈঠকে সমঝোতার বার্তার পাশাপাশি চিন অভিযোগ তুলেছিল, ভারতীয় সেনা একাধিক বার প্ররোচনামূলক কাজকর্ম করেছে। একই অভিযোগ উল্লেখ করে সান ওয়েডং বলেছেন, ভারতের বাহিনী দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল ভেঙেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

India China India China Ladakh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy