হ্যাল-এর ভিতরে কাজে ব্যস্ত কর্মীরা। —ফাইল চিত্র।
রাফাল যুদ্ধবিমানের জন্য ভারত সরকার ফান্সে ছুটছে। অথচ দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (হ্যাল) ধুঁকছে আর্থিক সঙ্কটে। সম্প্রতি এমনই একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। তাতে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে হ্যাল-কে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি।
জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কর্মীদের বেতন দিতে বাইরে থেকে টাকা ধার করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ধার করা টাকা দিয়েও চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আবার ধার করতে হচ্ছে। যা হ্যাল-এর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
হ্যাল-এর সিএমডি আর মাধবনের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘সংস্থার হাতে টাকা নেই। ওভারড্রাফ্টের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ধার করতে হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির মুখে পড়তে হবে সংস্থাকে। যা কোনও ভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। কোনও প্রোজেক্ট তো দূর অস্ত্, ধার করে কোনওক্রমে দৈনন্দিন কাজ চালাতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিজেপিকে চাপে ফেলে উত্তরপ্রদেশে জোট বাঁধছেন মায়া-অখিলেশ, তবে ব্রাত্য কংগ্রেস
হ্যাল-এর এক সূত্র বলছে, গত দেড় বছর ধরেই তাদের পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগিয়েছে। সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে বার বার আনা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সংস্থাকে টেনে তুলতে কোনও পদক্ষেপও করা হয়নি। ফলে যত দিন গিয়েছে পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে হ্যাল কর্তৃপক্ষকে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, যে ১ হাজার কোটি টাকা সংস্থাকে ধার করতে হয়েছে তার মধ্যে ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয় করা করা হবে কর্মীদের বেতন মেটাতে। বাকি টাকা দিয়ে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম কেনা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকুন, নয়া বছরে সেনাকে প্রথম নির্দেশ চিনা প্রেসিডেন্টের
কেন এমন সঙ্কটের মুখে এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা?
রিপোর্ট বলছে, এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ভারতীয় বায়ুসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর মতো বড় গ্রাহকেরা। দেশের এই তিন বাহিনীর বিভিন্ন প্রোজেক্টে কাজ করেছে হ্যাল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই প্রজেক্টের টাকা ঠিকমতো পায়নি সংস্থাটি। শুধুমাত্র বিমানবাহিনীর কাছেই সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা পায় হ্যাল। ৩১ মার্চের পর সেই ঘটতির পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়াবে ২০ হাজার কোটি টাকায়। তবে বায়ুসেনার কাছ থেকে যে ২ হাজার কোটি টাকা এসেছে তা খুবই সামান্য। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়। হবে। যদি এই মুহূর্তে আরও টাকা না আসে, তা হলে ফের টাকা ধার করতে হবে বলে হ্যাল-এর ওই সূত্রটি জানিয়েছে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy