প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরের অবন্তীপোরায় পুলিশ হেফাজতে শিক্ষক রিজওয়ান আসাদ পণ্ডিতের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পরে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর ঘোষণা করলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহিদ মনজুর। উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া অস্ত্র হাতে তাঁর ছবির সঙ্গে অডিয়ো বার্তায় শহিদ জানিয়েছেন, ‘‘সশস্ত্র পন্থায় কোনও দিনই বিশ্বাস ছিল না, কিন্তু রিজওয়ানের মৃত্যুর পরে মনে করছি, এ ছাড়া জবাব দেওয়ার রাস্তা নেই!’’
একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিজওয়ানকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার পরে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মেলে। রিজওয়ানের পরিবারের অভিযোগ, থানায় পুলিশি অত্যাচারে মারা গিয়েছেন এই তরুণ শিক্ষক। অবন্তীপোরা এবং কাশ্মীরের অন্যত্রও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
শহিদ জানিয়েছেন, রিজওয়ান ও তাঁকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে এর আগেও অত্যাচার করেছে পুলিশ। তার আগে কুৎসিত ও অশালীন আচরণ করা হয় তাঁদের সঙ্গে। মা-বোনেদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা হয়। মারধর করে পুলিশ বলেছিল, তাদের চরবৃত্তি না করলে গণনিরাপত্তা আইনে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। শহিদ জানিয়েছেন, রিজওয়ান ও তাঁর নামে সাজানো অভিযোগে গণনিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়। অডিয়ো বার্তায় শহিদ জানিয়েছেন, আজ রিজওয়ানকে মরতে হয়েছে, কাল হয়তো তাঁর পালা। তাঁর মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে পুলিশ। রিজওয়ান হত্যাকাণ্ডে আজ মানুষ বিক্ষোভ করছে। কাল তা থেমে যাবে। সরকার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা যে অসার, সবারই জানা। শহিদ বলেছেন, তিনি জানেন জঙ্গি জীবন সংক্ষিপ্ত হবে, কিন্তু ‘ধারাবাহিক নির্যাতন’-এর জবাব দিতে এই পথই নিতে হল তাঁকে। জঙ্গি দলে নাম লেখানোর জন্য পরিবারের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন শহিদ।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy