প্রাক্তন অলিম্পিয়ান আসলাম শের খান। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে যদি দলের সভাপতি পদে বসাতে চান রাহুল গাঁধী, তা হলে তিনি তা গ্রহণ করতে রাজি। রাহুলকে লেখা একটি চিঠিতে এই প্রস্তাব দিয়ে কংগ্রেস মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসলাম শের খান।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রাক্তন ওই অলিম্পিয়ান বলেন, “রাহুল গাঁধী যখন সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন এবং সেই পদে যখন নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে বসাতে চাইছেন, তখনই তাঁকে এই প্রস্তবটা দিই।” তিনি আরও বলেন, “রাহুল যদি ওই পদে থাকতে চান তো খুব ভাল কথা, না হলে দু’বছরের জন্য এই দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত আমি।” তবে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, দলকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর কথা ভেবেই রাহুলকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে দাবি শের খানের।
তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত স্বার্থে চিঠিটা লিখিনি। চিঠিটা লিখেছি কারণ, এই মুহূর্তে দলের ভোলবদলের প্রয়োজন। কংগ্রেস নেতৃত্বও সেটা ভাল ভাবে জানেন। দলের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে এই দায়িত্ব নিতে আমি প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: দাঁড়িপাল্লার এক দিকে মোদী, অন্য দিকে পদ্ম, বিদেশ সফরের আগে দক্ষিণের মন্দিরে মন্দিরে পুজো
আরও পড়ুন: নিজেরা লড়াই করে দলটাকে হারিয়ে দিলেন: মমতা
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। মোট ৫২টি আসন পেয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের এই ভরাডুবির জন্য রাহুলকে কোনও ভাবেই দায়ী করতে চান না প্রাক্তন অলিম্পিয়ান। তাঁর মতে, রাহুল গাঁধী আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন দলকে জেতানোর জন্য। কিন্তু মানুষের কাছে সে ভাবে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস। আর সে কারণেই ব্যর্থ হয়েছে তারা। তবে দলের মধ্যে যে একটা বড়সড় রদবদলের প্রয়োজন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলে মনে করেন শের খান। বলেন, “এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে কংগ্রেসের মধ্যে একটা বিশাল পরিবর্তন আনা দরকার। তবে আমার থেকে যদি ভাল কোনও প্রার্থী পায় দল, তাঁকেও সভাপতি করতে পারে।”
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জল্পনা চলছিল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন রাহুল গাঁধী। পরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে রাহুল সেই প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কমিটি।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy