সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্তই দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বুধবার কেন্দ্রকে এ ভাবেই ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, মোরাটোরিয়াম নিয়ে তাদের অবস্থান কী, সরকারকে তা স্পষ্ট করতে বলেছে আদালত।
বুধবার মোরাটোরিয়াম সংক্রান্ত মামলা ওঠে বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চে। মোরাটোরিয়ামের পরেও ব্যাঙ্ক কেন গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুদ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানও স্পষ্ট করার কথা বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। আপনারা বলছেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু আমরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উত্তর পেয়েছি।” এর পরই কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে আদালতের মন্তব্য, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঢাল বানানোর চেষ্টা করছেন আপনারা।”
আরও পড়ুন: ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম’, আরবিআই-এর রিপোর্ট তুলে কেন্দ্রকে নিশানা রাহুলের
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিচারপতি এমআর শাহ বলেন, “এটা ‘ব্যবসা’ নিয়ে ভাবার সময় নয় কেন্দ্রের।” এ দিন কেন্দ্রের হয়ে আদালতে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। ঋণের মোরাটোরিয়ামের বিষয়টি নিয়ে সরকার এখনও কেন কোনও হলফনামা দাখিল করেনি তা জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। তখন মেটা আদালতের কাছে হলফনামা দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ চেয়ে নেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৬ মাসের জন্য মোরাটোরিয়ামের ঘোষণা করেছিল। ৩১ অগস্ট তা শেষ হবে। মামলাকারীর পক্ষে এ দিন আদালতে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানান, যে হেতু মোরাটোরিয়াম নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বিষয়টি মেটা না পর্যন্ত যেন এর সময়সীমা বাড়ানো হয়। তা ছাড়া আরবিআই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থনীতির যে টালমাটাল অবস্থার কথা জানিয়েছে, এ দিন আদালতের সামনে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সিব্বল। তবে সিব্বলের এই আর্জির তীব্র বিরোধিতা করেন তুষার মেটা।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকারকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কেন ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত সুদ নিচ্ছে সে বিষয়টিও কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখার কথা বলেছে আদালত। পাশাপাশি আদালত এটাও বলেছে যে, সব কিছু ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিতে পারে না সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy