পেরুমাল্লা প্রণয় কুমার এবং অম্রুতাবর্ষিণী। ছবি: ফেসবুক।
স্বামীর খুনের পিছনে এক রাজনৈতিক নেতার হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন তেলঙ্গানায় নিহত দলিত যুবকের স্ত্রী অম্রুতাবর্ষিণী। শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণীর সামনে স্বামী পেরুমাল্লা প্রণয় কুমারকে কুপিয়ে খুন করে এক আততায়ী। তরুণীর অভিযোগ, তাঁর বাবাই ভাড়াটে গুন্ডা পাঠিয়ে খুন করায় স্বামীকে। খুনিকে ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রাক্তন এক বিধায়ক।
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অম্রুতা জানিয়েছেন, খুনের দু’দিন আগে তাঁর বাবা ফোন করে গর্ভপাত করানোর কথা বলেছিল। ওই তরুণী বলছেন, ‘‘বাবা বলে, আগামী তিন বছর সন্তান নিও না। তাহলে বিয়ে মেনে নেব।’’ অম্রুতা মনে করছেন, তখনই প্রণয়কে খুন করার ছক কষে ফেলেছিল বাবা মারুথি রাও। তাঁর কথায়, ‘‘সন্তান থাকলে প্রণয়কে খুনের পর আমায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অসুবিধা হবে। তাই গর্ভপাতের নির্দেশ দেয় বাবা।’’
ওই তরুণীর বক্তব্য, প্রণয়কে মারতে ভাড়াটে গুন্ডা জোগাড় করেন নাকিরেকলের প্রাক্তন বিধায়ক ভেমুলা ভিরেশ্যাম। তাঁদের বিয়ের পরে প্রণয় ও তাঁকে ‘সাবধান করতে’ ডেকে পাঠিয়েছিলেন ওই নেতা। কিন্তু ভয়ে তাঁরা হাজিরা দিতে পারেননি। তখন প্রণয়ের বাবার নামে পুলিশের মিথ্যা অভিযোগ করেন ভেমুলা। অম্রুতার দাবি, বারবার থানায় ডেকে হেনস্থা করা হয় তাঁর শ্বশুরকে। এমনকী, তাঁর স্বামীকে মাদক ও নারীঘটিত কাণ্ডে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রণয়কে মারতে ৫ লক্ষ টাকা ‘সুপারি’ দেওয়া হয় এক খুনিকে। আম্রুতা চাইছেন, ‘‘খুনে জড়িতরা শুধু জেলে গেলেই যথেষ্ট নয়। ওরা যে ভাবে প্রণয়কে মেরেছে, সে ভাবে ওদেরও মারা হোক। প্রণয় চাইত জাতের বিভেদ ঘুচে যাক। আমি এ বার ওর স্বপ্নের জন্য লড়ব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy