ঘরবন্দি হয়েই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে টিভিতে চোখ। মঙ্গলবার, হায়দরাবাদে। ছবি’ এপি
বৃহত্তর লকডাউনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৩ মে পর্যন্ত আরও ১৯ দিনের লকডাউনের কথা বললেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে হটস্পটভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ও শিথিলতার কথাও বলেছেন। সেই সঙ্গেই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এবং লকডাউনের সময় মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে সাতটি পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের নিয়ম মেনে চলা এবং মাস্ক পরার আর্জি তার মধ্যে অন্যতম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটজনক অবস্থা হচ্ছে প্রবীণ ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের। তার উপর যাঁদের ডায়াবিটিস বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের প্রাণসংশয় হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর আর্জি, ‘‘বাড়ির প্রবীণ সদস্যদের দিকে বিশেষ নজর দিন। বিশেষ করে যাঁদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা রয়েছে।’’
লকডাউনের জেরে নিম্নবিত্ত, পথবাসী, ভিক্ষাজীবীরা পড়েছেন মহাসঙ্কটে। এক দিকে লকডাউন ভেঙে বাইরে বেরনোর উপায় নেই। বেরোলেও কাজ নেই। ফলে খাবারের সংস্থান করাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। তাঁদের কথা ভেবে, যাঁরা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ভাল অবস্থানে রয়েছেন, তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘‘এই সব মানুষদের খেয়াল রাখুন। পারলে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করুন।’’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আরও পড়ুন: ৩ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন, নতুন ছাড়-কড়াকড়ি নিয়ে নির্দেশিকা কাল: প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: হটস্পটে আরও কঠোর, ছাড়ের ভাবনা অন্যত্র, বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রবীণদের পাশাপাশি সবার নিজের নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন মোদী। গরম জল খাওয়া থেকে শুরু করে নানা দাওয়াইয়ের কথা বলেছেন। আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান করার আর্জি জানিয়েছেন। কারও যাতে চাকরি না যায়, তার জন্য শিল্পমহলের প্রতিও বার্তা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy