অখিলেশ যাদব।— ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর প্রতি ‘বিপুল শ্রদ্ধা’ রয়েছে তাঁর। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে ভোটের ‘পাটিগণিত’ আলাদা। কংগ্রেসকে সেই কারণেই এসপি-বিএসপি জোটের বাইরে রাখা হয়েছে বলে আজ সংবাদ সংস্থাকে জানালেন এসপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তবে কি ভোটের পরে সমীকরণ বদলাবে? পরিস্থিতি অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলার পরোক্ষ ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন এই সাক্ষাৎকারে।
জোট গড়ার পরে সম্প্রতি মায়াবতীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অখিলেশ জানিয়েছিলেন যে, উত্তরপ্রদেশ বহু বার ভারতকে প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছে। এ বারেও দেবে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই জলঘোলা শুরু হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছিল, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কেন তিনি মায়াবতীর নাম করলেন না? তা হলে কি তিনি রাহুলের জন্যও দরজা খুলে রেখে দিলেন! যদিও লোকসভা ভোটের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রশ্নে অখিলেশ এ দিন বলেন, ‘‘এর উত্তর এখনই দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এটুকু বলতে পারি যে, দেশ এক জন নতুন প্রধানমন্ত্রী চাইছে। সেটা ভোটের পরেই স্থির হবে।’’
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মায়াবতীর সঙ্গে জোট পর্বের বিষয়টি নিয়ে রাহুলের সঙ্গে এক প্রস্ত কথা হয়েছে অখিলেশের। এটিকে মূলত বিজেপিকে হারানোর কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মত বড় রাজ্য থেকে যদি বিজেপিকে নির্মূল করা যায়, তা হলে দিল্লি দখলের প্রশ্নে বিজেপির কাছে সেটা যে বড় ধাক্কা, তা নিয়ে দু’জনেই একমত।
আরও পড়ুন: অমেঠী দিয়ে আজ লোকসভার ভোট সফর শুরু রাহুলের
এসপি শিবির থেকে এর আগেও বারবার জানানো হয়েছে যে, বিজেপিকে হারাতে মায়াবতীকে পাশে রাখা সব চেয়ে জরুরি। এসপি নেতৃত্বের মতে, এই রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি প্রায় নেই বললেই চলে। অগ্রাধিকার দিতে হবে বিএসপি এবং আরএলডি-কে। এ দিকে, কংগ্রেসকে আসন ছাড়া নিয়ে গোড়া থেকে বেঁকে বসে আছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতীও। তাই গোটা বিষয়টিকে ‘নির্বাচনী পাটিগণিত’ হিসেবে উল্লেখ করে অখিলেশ বলেন, ‘‘বিজেপি মুখে সব সময় সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা বলে। তাই জোটের মাধ্যমে আমিও আমাদের ভোট পাটিগণিতটা একটু শুধরে নিলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিএসপির সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা বিরোধী ঐক্য আরও জোরদার করতে পেরেছি। আর দু’টি আসন তো কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখাই হয়েছে।’’
কিন্তু কংগ্রেস যে রাজ্যের বাকি ৭৮টি লোকসভা আসনেও একা লড়তে চাইছে! এর জবাবে অখিলেশ সাফ বলেন, ‘‘লড়তে চাইলে লড়ুক। আমাদের কিছু বলার নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। কিন্তু এখন সম্পর্ক নয়, বড় কথা হল— বিজেপিকে কী ভাবে হারানো যায়, তার কৌশল ঠিক করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy