লোকসভা ভোটের ঠিক এক বছর আগে বিরোধীরা যে এমন বেগ দেবেন, সেটা কার্যত হিসেবের বাইরে ছিল তাঁদের। উপনির্বাচনের ফল বেরনোর দু’দিন পরেও অঙ্ক মিলিয়ে উঠতে পারছেন না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
ফুলপুর-গোরক্ষপুরের পরে কৈরানা। মাঝে কর্নাটক। একের পর এক ব্যর্থতার ঢেউয়ে হঠাৎ টলমল দল। নির্বাচনের এক বছর আগে প্রচুর ঢক্কানিনাদ করে প্রচার কর্মসূচি হাতে নিলেও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা বুঝতে পারছেন, গত চার বছরে এত বড় চ্যালেঞ্জ আসেনি। মোদী-অমিত জুটির পর্যুদস্ত হওয়া নিশ্চুপে দূর থেকে দেখছেন রাজনাথ-সুষমার মতো নেতারা যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিধায়কেরা। মোদীরাও মনে করছেন উত্তরপ্রদেশ কার্যত হাতছাড়া হওয়ার পথে।
অথচ ওই উত্তরপ্রদেশেই গত লোকসভায় ৮০টির মধ্যে ৭১টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। মোদী-অমিত বুঝতে পারছেন কোনও ভাবেই আগামী বছর ওই সংখ্যার ধারেকাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়। দলের একটি অংশের মতে বিরোধী জোট কার্যকরী ভূমিকা নিলে দলের আসন ২৫-এ নেমে আসতে পারে। যদিও বিজেপি অন্তত ৫০টি আসন জেতার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু তা কোথা থেকে আসবে, দিশা নেই। ফের তাই রাম-নামই ভরসা!
প্রবীণ তোগাড়িয়ার বিদায়ের পর এ মাসের শেষে দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নতুন কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে। আগামী ছ’মাস রামমন্দির আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রূপরেখা তৈরি হবে বৈঠকে।
তবে খোলাখুলি রামমন্দিরকে সামনে রেখে মেরুকরণের প্রসার সফল হবে কি না, তা নিয়েও দ্বিধায় বিজেপি। বিশেষ করে কৈরানায় জিন্না ইস্যু ব্যর্থ হওয়ায় সংশয় বেড়েছে। যে মেরুকরণ গত বার উত্তরপ্রদেশে খেটে গিয়েছিল, পাঁচ বছর পরে সেই সমীকরণ খাটবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের মধ্যেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy