ফাইল চিত্র।
বড় বা ছোট— নির্বাচনী রাজনীতিতে শক্তি প্রদর্শনে সব দলই এত দিন বেছে নিয়েছে পটনার প্রাণকেন্দ্র গাঁধী ময়দানকে। শাসক শিবির শুনিয়েছে উন্নয়নের ফিরিস্তি। আর বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ বার কি হবে?
নির্বাচনের কারণে বিহারে যাতে করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে না-চলে যায়, জনসভার উপরে খড়্গহস্ত হয়েছে কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, জনসভায় কোনও শৃঙ্খলা থাকে না। সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। তাই জনসভা যত কম করা যায়, সে দিকে নজর
রাখতে হবে। প্রার্থীদের ভার্চুয়াল বা ভিডিয়ো মাধ্যমে প্রচারে জোর দিতে হবে। জনসভা করতেই হলে দূরত্ব-বিধি মেনে তা নির্দিষ্ট একটি মাঠে করতে হবে। উপস্থিতি যাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে না যায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে— জনসভা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী অফিসার।
আরও পড়ুন: বাড়তি ১ ঘণ্টা, তিন দফার ভোট বিহারে
অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের ভোট চাওয়ার ছবিটিও এ বার বদলাতে চলেছে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ জন থাকতে পারেন। অন্যথায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা। একই ভাবে অগুনতি বাইক-জিপ নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াও বন্ধ হতে চলেছে। মনোনয়নে প্রার্থীর সঙ্গে মাত্র দু’টি গাড়ি বেঁধে দিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার পরামর্শ, ‘‘অনলাইনেও মনোনয়ন ও অর্থ জমার ব্যবস্থা থাকছে।’’
বিহারের ভোটার সংখ্যা প্রায় সাত কোটি। ভোটে সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে কমিশন। আরোরা বলেন, ‘‘ভিড় কমাতে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বুথ পিছু ভোটার ১৫০০ থেকে কমিয়ে ১০০০ করা হয়েছে। বুথে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হবে। দেওয়া হবে স্যানিটাইজার। মেশিনে বোতাম টেপার আগে প্রত্যেক ভোটারকে গ্লাভসও দেওয়া হবে।’’ লাইনে দাঁড়ানো যাদের তাপমাত্রা বেশি থাকবে, তাদের টোকেন দিয়ে তখনকার মতো বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটের শেষ ঘণ্টায় এসে ভোট দিতে পারবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিহার ভোটে বঙ্গের ১৮ পর্যবেক্ষক
যাঁরা করোনা সংক্রমিত বা নিভৃতবাসে রয়েছেন, তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে বা শেষ ঘণ্টায় এসে ভোট দিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy