শৈলজা দ্বিবেদী। ইনসেটে মেজর নিখিল হান্ডা।
শৈলজা দ্বিবেদীর দেহের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন মেজর নিখিল হান্ডা। তার পরে সেনা হাসপাতালে ফিরে স্ত্রীকে বলেছিলেন, ‘‘একটা কুকুর আমার গাড়িতে চাপা পড়েছে।’’
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সহকর্মী অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে নিখিলের বিরুদ্ধে। শনিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের কাছে শৈলজার গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মেরঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় নিখিলকে। অভিযোগ, নিখিল শৈলজার গলা কেটে গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দেন। পরে দুর্ঘটনার চেহারা দেওয়ার জন্য শৈলজার দেহের উপর দিয়ে গাড়িও চালিয়ে দেন। পুলিশের দাবি, নিখিল খুন করার কথা স্বীকারও করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলজাকে খুন করার পরে দিল্লির পটেল নগর এলাকায় বাসিন্দা এক পুরনো বান্ধবীকে ফোন করেন নিখিল। তাঁকে তিনি বলেন, ‘‘শৈলজাকে শেষ করে দিয়েছি।’’ তার পরে সেনা হাসপাতালে আসেন তিনি। সেখানে তাঁর ছেলে ভর্তি ছিল। স্ত্রী ও ছেলেকে বলেন, ‘‘একটা কুকুর আমার গাড়িতে চাপা পড়েছে।’’ নিজের গাড়ি থেকে রক্ত মোছারও চেষ্টা করেন নিখিল।
আরও পড়ুন: সাংসদ-রক্ষীদের অপহরণ, পাল্টা চাপ গ্রামসভার
এর পরে সাকেত নগরে বাবার বাড়িতে যান নিখিল। বাবাকে জানান, তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। ইতিমধ্যে শৈলজার স্বামী মেজর অমিত দ্বিবেদীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিখিলের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সাকেত নগরের বাড়িতে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই কাকার বাড়িতে চলে যান নিখিল। পরে মেরঠের পথে রওনা হন। পরে সেখান থেকেই গ্রেফতার হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy