বিশেষ করে বৃষ্টিভেজা দিনে মনে তো হয়, সিনেমার মতোই হয়ে উঠুক চারপাশটা– অবিরাম বৃষ্টি হোক, হাওয়াতে আঁচল উড়ে আসুক প্রিয়ার, মৌনতা ভেঙে আদিম হোক প্রেম।
ছবির কিছু দৃশ্য
প্রেম, যৌনতা এসব জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ঠিকই তবে যদি সিনেমার কথা হয় সেখানে প্রেমেও চলে সেন্সরের কাঁচি। কিছুটা ওই নতুন নতুন প্রেমে পড়ার সময় বড়দের চোখরাঙানি হজম করার মতোই। তা বলে কী প্রেম থেমে থাকে! বিশেষ করে বৃষ্টিভেজা দিনে মনে তো হয়, সিনেমার মতোই হয়ে উঠুক চারপাশটা– অবিরাম বৃষ্টি হোক, হাওয়াতে আঁচল উড়ে আসুক প্রিয়ার, মৌনতা ভেঙে আদিম হোক প্রেম।
‘আজনবি’:
রাতভর বৃষ্টি, ছাদে রাজেশ খন্না আর জীনাত আমন। ‘আজনবী’ ছবিতে ‘ভিগি ভিগি রাতো মে’ গানটির দৃশ্যে রাত পোশাকে জীনাত আমন জয় করে নিয়েছেন কত শত পুরুষের মন। গানটির কথা, দৃশ্যায়ন, বৃষ্টি সব কিছু যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে ছবিতে।
নমক হালাল:
সাদা লাল পেড়ে শাড়িতেও যে যৌবনের আবেদন ফুটিয়ে তোলা যায় তা জিনাত আমন যেমন প্রমাণ করেছেন, তেমনই আরও এক অভিনেত্র্রী হলেন স্মিতা পটেল। 'নমক হালাল' ছবিতে 'আজ রপট যায়ে তো' গানটিতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্মিতা পাটিলের কেমিস্ট্রি এক কথায় অনবদ্য। বিগ বি'র চরিত্রের সরলতা, সহজ কৌতুক, পারিবারিক হিংসের গল্প এই ছবির সম্পদ হলেও অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল নজড়কাড়া নিজ গুণেই।
মিস্টার ইন্ডিয়া:
‘মিষ্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে রোম্যান্স মানেই নীল শাড়িতে শ্রীদেবীর আবেদন ‘কাটে নহি কাটতে দিন ইয়ে রাত’ গানটি। বিপরীতে ছিলেন অনিল কপূর। গানটিতে শ্রীদেবী একাই একশ বলতে যা বোঝায় আর কি! সুন্দর তো তিনি বটেই, তবে নিজস্বতা ছিল তাঁর বড় গুণ।
‘মোহরা’
বৃষ্টি ভেজা রাতে বলিউডে রোমান্সের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ অর্থাৎ রবিনা টন্ডনের কথা হবে না এমনটা হতেই পারে না। যতই রিমেক হোক না কেন হলুদ শাড়িতে রবিনা টন্ডন, বিপরীতে অক্ষয় কুমারকে ভুলবেন না দর্শক। সম্প্রতি অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গানটি শ্যুটিংয়ের সময় নাকি তাঁর ভীষণ জ্বর ছিল। 'মোহরা' দেখে কেউ কি বুঝেছেন সে কথা!
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’
রোম্যান্সের রাজা হলেন বলিউডের কিং খান। তিনি নিজস্ব ভঙ্গিতে দাঁড়ালেই যেন পিয়ানো বেজে ওঠে চারপাশে। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' ছবিতে অঞ্জলি (কাজল) যখন সামার ক্যাম্প থেকে ফিরে বিয়ে করবে বলে মন স্থির করে নিয়েছে ঠিক তার আগেই রাহুলের (শাহরুখ) সঙ্গে দেখা তার। সেদিনও বৃষ্টির এক রাত; লাল শাড়িতে কাজল; আর রোম্যান্স! সে তো কিং খানের আঙুলের ইশারাতেই।
‘রাজা হিন্দুস্তানি’
বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ের সঙ্গে ট্যাক্সি ড্রাইভারের প্রেম নিয়ে এই ছবির চিত্রনাট্য এগিয়ে গেলেও এই ছবিতে করিশ্মা কপুর ও আমির খানের চুম্বন দৃশ্য বেশ সাড়া ফেলেছিল মুক্তির সময়। গাছের তলায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চুম্বনে মগ্ন যুগল। বলা হয় সেই সময় দাঁড়িয়ে এটি বেশ সাহসী পদক্ষেপ ছিল মিস্টার পারফেকসনিস্ট ও করিশ্মা কপুরের জন্য।
‘চামেলি’
করিনা কপুরের অন্যতম সেরা ছবি হল ‘চামেলি’। ওই বিশেষ ভঙ্গিতে হাঁটা, দাঁড়ানো, কথা বলা সর্বোপরি ওদের প্রেম আবেগকে ব্যক্ত করা – চরিত্রের জন্য প্রস্তুত হতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। বৃষ্টির মাঝে ‘ভাগে রে মন কহি’ গানটির দৃশ্যায়ন এক কথায় অসাধারণ। ছবিতে করিনার বিপরীতে ছিলেন রাহুল।
‘আশিকি টু’
‘কিঁউ কি তুম হো’ গানটি প্রায় অ্যান্থেম হয়ে উঠেছিল একটা সময়। অবিরাম বৃষ্টি, কালো জ্যাকেটের নীচে দু’টি মন, থুড়ি মাথা আর অরিজিৎ সিংহের দরাজ গলা, ‘আশিকি টু’ ছবিকে যদি এক কথায় প্রকাশ করা যায় তবে এরকমই হবে কিছুটা। ছবিটিতে প্রেমের দৃশ্য বেশ পরিণতই।
‘জব উই মেট’
এই ছবির গল্পের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় না অনেকেরই। গীতের (করিনা) মতো করে জীবনকে ভালোবাসতে কে না চায়! শহীদ কপুর ও করিনা তখন বাস্তব জীবনেও প্রেমে ছিলেন, তাই পর্দায় প্রেমের প্রকাশ ছিল গভীরেই। এ ছবির শেষের দিকে একটি দৃশ্যে নায়ক নায়িকার চুম্বন দৃশ্য বেশ সাড়া ফেলেছিল। তবে বৃষ্টিতে রোম্যান্সের দৃশ্য এ ছবিতে বড়ই নরম।
‘রহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’
তথাকথিত নায়ক সুলভ চেহারা না হলেও ‘রহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’ ছবির ম্যাডি ছিল সেই সময়ের অগণিত নারীর স্বপ্নের পুরুষ। দিয়া মির্জার স্নিগ্ধ রূপ এ ছবিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে নিঃসন্দেহে। ‘যরা যরা বহেকতা হ্যায়’ গানটিতে মার্জিত রোম্যান্সের দৃশ্য প্রেমে পড়তে বাধ্য করে যেন।
এই প্রতিবেদনটি সংগৃহীত এবং ‘আষাঢ়ের গল্প’ ফিচারের একটি অংশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy