প্রায় পাঁচদিন ধরে একরকম রক্তশূন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকায় রীতিমত বিপাকে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। রক্ত না থাকায় একই গ্রুপের রক্ত দাতার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিত্সাধীন রোগীদের আত্মীয়রা উদ্বিগ্ন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি ইসলামপুরে কোনও রক্তদান শিবির হয় নি। পাশাপাশি রক্তের উপযুক্ত কিট নেই হাসপাতালে। তার ফলে সমস্যা তৈরী হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন,“হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই বলে শুনেছি। হাসপাতালে কিট না থাকায় সমস্যা তৈরী হয়েছে। কিটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে।”
শুধুমাত্র মহকুমা হাসপাতালই নয়, এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এমনকি ইসলামপুর শহরের নার্সিংহোম গুলিও। ইসলামপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে বর্তমানে বি গ্রুপের রক্ত বাদে অন্য কোনও গ্রুপেরই রক্ত নেই। ফলে রক্তের প্রয়োজন হলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন বাসিন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইসলামপুর এলাকাতে গত কয়েক মাস কোনও রক্তদান শিবির না হওয়ায় ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তার উপর আবার উপযুক্ত কিটও নেই হাসপাতালে। ইসলামপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এক চিকিত্সক জানিয়েছেন, হাসপাতালে কিটের বিষয়ে সুপারকেও জানিয়েছেন ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ইসলামপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ্ত ভৌমিক বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মাঝে মাঝেই রক্তের প্রয়োজন হয়। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকার বাসিন্দারা আরও বেশি সচেতন হলে রক্তের সমস্যা থাকত না। ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠন বিসিডিএ এর রাজ্য সম্পাদক সুবোধ ঘোষ বলেন, “প্রতিটি এলাকাতে আমরা রক্তদান শিবির করে থাকি। এই এলাকাতে রক্তের প্রয়োজন রয়েছে তা জানা নেই। প্রয়োজনে উত্তর দিনাজপুরের জেলার সদস্যদের বলে এলাকাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে।” বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক ভিভু গোয়েল। তিনি বলেন, “ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন হয় সব সময়ই। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy