Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বেহাল হাসপাতাল দেখে ক্ষুব্ধ জেলাশাসক

জেলা হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ পরিদর্শনে গিয়ে ফিজিওথেরাপি বিভাগের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। মঙ্গলবার জেলাশাসক তমলুক জেলা হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে আচমকা পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল, জেলার উপ-মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মলয় পাত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৪২
Share: Save:

জেলা হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ পরিদর্শনে গিয়ে ফিজিওথেরাপি বিভাগের অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। মঙ্গলবার জেলাশাসক তমলুক জেলা হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে আচমকা পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল, জেলার উপ-মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মলয় পাত্র।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক আউটডোরে গিয়ে প্রথমে শিশু বিভাগ, প্রসূতি, সার্জিক্যাল বিভাগ ঘুরে দেখার পর ফিজিওথেরাপি বিভাগে যান। সেই সময় কোনও রোগী ছিল না। কিন্তু জেলাশাসক দেখেন ফিজিওথেরাপি বিভাগে রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট টেবিলে পাতা রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো ছেঁড়া বিছানা। ফিজিওথেরাপির মত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে রোগীদের জন্য ওই টেবিলে পাতা এমন বিছানা দেখে ক্ষুদ্ধ জেলাশাসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কৈফিয়ত চান। এ দিন জেলা হাসপাতালের আউট ডোর বিভাগের বারান্দায় জমা করে ফেলে রাখা পুরনো নথিপত্রের স্তূপ দেখে জেলাশাসক জানতে চান ওইসব নথি কেন এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে? প্রতিদিন কত রোগীর ফিজিওথেরাপি হয় তার খোঁজ নেন জেলাশাসক।

জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে চিকিৎসকদের দেরিতে আসা নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। জেলা হাসপাতালের আউট ডোর বিভাগের পরিস্থিতি দেখতে এ দিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের কী সমস্যা রয়েছে ও জিনিসপত্র প্রয়োজন তা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।”

তমলুক জেলা হাসপাতালের সহকারি সুপার দিলীপ গিরি গোস্বামী বলেন, “ফিজিওথেরাপি বিভাগের টেবিলের জিন্য নতুন বিছানা চেয়ে আগেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানানো হয়েছে। কিন্তু নতুন বিছানা সরবরাহ না থাকার জন্যই ওই পুরনো বিছানা রয়েছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE