Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আচমকা পরিদর্শনে বেসামাল পরিস্থিতি বর্ধমান মেডিক্যালে

সাতসকালে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে কার্যত ঘাবড়ে গেলেন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিন কর্তা। শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, জরুরি বিভাগের একই শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগী শুয়ে রয়েছে। দেওয়ালে পানের পিক, ঝুল। ঘরের কোনে জমে রয়েছে আবর্জনাও।

চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র।

চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০২
Share: Save:

সাতসকালে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে কার্যত ঘাবড়ে গেলেন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিন কর্তা।

শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, জরুরি বিভাগের একই শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগী শুয়ে রয়েছে। দেওয়ালে পানের পিক, ঝুল। ঘরের কোনে জমে রয়েছে আবর্জনাও। এরপরে তিনজনেই পটাপট ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেলেন ওই পরিস্থিতির। তারপর সোজা চলে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে অধ্যক্ষা মঞ্জুশ্রী রায়ের সঙ্গে দেখা করে এ সব নিয়ে তাঁরা রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন বলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিকে, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের ঘুরে যাওয়ার পরেই হৈ চৈ পড়ে যায় হাসপাতালের ভেতর। নার্স-চিকিৎসকেরা ছুটোছুটি শুরু করে দেন। ঝটপট শুরু হয়ে যায় হাসপাতালের ওয়ার্ড ও চত্বর সাফাইয়ের কাজ। যে সমস্ত শয্যায় একাধিক রোগী ছিলেন তাঁদের আলাদা আলাদা শয্যায় পাঠানো হয়। কেউ কেউ আবার উল্টোনো শয্যা সোজা করে, নোংরা চাদর তুলে ফেলে যতটা সম্ভব পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করেন। ঝুল ঝেড়ে, জল দিয়ে ঘর ধুয়ে দেওয়া হয়। এমনকী যে’কজন রোগী মেঝেতে শুয়ে ছিলেন তাঁদেরও তড়িঘড়ি শয্যায় তুলে দেন হাসপাতালের কর্মীরা। পরে অধ্যক্ষার সঙ্গে বৈঠক সেরে বেলার দিকে ওই প্রতিনিধি দল আবারও হাসপাতালে আসে। ততক্ষণে অবশ্য হাসপাতাল অনেকটাই ঝকঝকে-তকতকে। ওই তিন কর্তা হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড ও প্রসূতী ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। তবে সংবাদমাধ্যমকে ধারে কাছে ঘেষতে দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য আশিস রাজ ও জীবেশ্বর ঠাকুর অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

বিশেষ কিছু বলতে চাননি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষাও। সন্ধ্যায় মঞ্জুশ্রী দেবী শুধু বলেন, “হাসপাতালের ব্যাপারে আপনারা কী খবর পেয়েছেন, তা আমি জানিনা। তবে এটুকু বলতে পারি হাসপাতাল পরিদর্শন এখনও চলছে। কালও চলবে। পরিদর্শন শেষ না হলে ওঁরা কী বললেন, তা জানা যাবে না।” হাসপাতালের সুপার ও মেডিক্যাল কলেজের সহ-অধ্যক্ষ উৎপল দাঁ বলেন, “আমরা মোট ১৫০টি এমবিবিএসের সিট বাড়াতে আবেদন জানিয়েছিলাম। তার পরিকাঠামো আমাদের কতটা রয়েছে তা যাচাই করতেই ওই দলটি এখানে এসেছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

burdwan medical burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE