প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বছরঘুরে এল রথযাত্রা। প্রতি বছরের মত রথে চেপে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম যাবেন মাসির বাড়ি। সেখানেই কয়েক দিন কাটিয়ে ফিরবেন সপ্তাহ খানেক পরে। পুরীর রথযাত্রার ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত। তবে এ রাজ্যেও রথযাত্রার উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। পুজোপাঠ তো হয়ই, রথের উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় মেলাও বসে। ঝাঁ-চকচকে শপিং মল আর নাইট ক্লাবের যুগে এখনও রথের মেলা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। হরেক মাল ৩০ টাকার হাঁকডাক আর বালি দিয়ে বাদাম ভাজার গন্ধ এখনও বাতাসে মিশে থাকে। এখনও বাবা-মায়ের হাত ধরে কচিকাঁচারা ভিড় জমায় রথের মেলায়। মফস্সলে রথের মেলা তো হয়ই। শহরেরও বিভিন্ন প্রান্তে বসে রথের মেলা। নাগেরবাজারের রথের মেলা বেশ জনপ্রিয়। ময়দানে বসে বেশ বড়সড় রথের মেলা। রথযাত্রার উৎসব পালনে মেলা বসে বাগবাজারেও। মৌলালির মোড় থেকে ফিলিপ্সের মোড় পর্যন্ত একসময়ে বড় এক রথের মেলা বসত। ইদানীং আকারে কমে তা উঠে গিয়েছে রামলীলা ময়দানে।মেলা মানেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, রসে ডোবানো জিলিপি, হাওয়াই মিঠাই আর মাটির পুতুল। মেলা মানেই হরেক জিনিসের দোকান। গরম ঘুগনি খেতে খেতে সেই দোকানগুলি কি শুধুই ঘুরে দেখবেন, কিছুই কিনবেন না? মেলা থেকে গেরস্থালির কয়েকটি জিনিস কিনে রাখলে একটু সাশ্রয়ও হবে, সময় বাঁচবে।
পাপোশ
বর্ষায় বাড়িতে পাপোশের ব্যবহার বাড়ে। বাইরে থেকে ফিরে জলকাদা মাখা পা দরজার সামনের পাপোশে মুছে তবেই স্নানঘরে ঢুকতে হয়। পায়ের নোংরা মাখতে মাখতে পাপোশের আয়ুও তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। তাই বাড়িতে বাড়তি পাপোশ কিনে রাখা ভাল। কিনতে যখন হবেই, মেলা থেকে কিনলে বাজারের তুলনায় খানিকটা কম দাম পড়বে। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে পাপোশের দাম প্রায় ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে। তবে রথের মেলায় ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
চায়ের কাপ
বাঙালি বাড়িতে সকাল-বিকেল চায়ের কাপে তুফান ওঠে। ফলে চায়ের কাপ বাঙালি জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। চায়ের কাপ রথের মেলা থেকে কিনে রাখতে পারেন। হাত ফস্কে পড়ে ভেঙে গেলেও, কেনা থাকলে সমস্যা হবে না। তা ছাড়া রথের মেলায় বেশ বাহারি চায়ের কাপ পাওয়া যায়। চিনামাটির তৈরি কাপগুলিও বেশ সুন্দর দেখতে হয়। মেলায় ঘোরাঘুরির ফাঁকে কিনে রাখতেই পারেন। বিভিন্ন ধরনের কাপের দাম ভিন্ন ভিন্ন। তবে রথের মেলায় থেকে প্রতি পিস কাপ ২০ টাকা দরে পেয়ে যেতে পারেন।
স্টিলের বাসন
দামে কম, কিন্তু মানে ভাল স্টিলের বাসন একমাত্র রথের মেলাতেই পাবেন। বাইরে থেকে কিনতে গেলে স্টিলের বাসনের বেশ দাম পড়বে। রথের মেলা থেকে কিনলে পরিমাণে অল্প হলেও, খানিকটা টাকা বাঁচবে। রোজের খাওয়াদাওয়া থেকে রান্নাবান্না— সবেতেই স্টিলের বাসনের দরকার লাগে। কিনে রাখলে সুবিধা হবে। স্টিলের বাসনও মেলা থেকে ১০০-১৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন।
বঁটি
যতই ছুড়ি দিয়ে সব্জি কাটুন, তাই বলে গৃহস্থ বাড়িতে একটা বঁটি থাকবে না? তা ছাড়া সব কিছু তো ছুড়ি দিয়ে কাটা যায় না। মোচা কিংবা এঁচোড় তো আর ছু়রি দিয়ে কাটতে পারবেন না। তার জন্য দরকার ছোট বঁটি। আর সেটা কেনার আদর্শ জায়গা হল রথের মেলা। কাঠের বাট দিয়ে তৈরি রুপোলি ফলার শান দেওয়া বঁটি কিনে রাখা যেতে পারে। বাইরের দোকান থেকে বটি কিনলে দাম পড়বে ২২০- ২৫০ টাকার মতো। রথের মেলায় সেখানে ১৫০ টাকায় পেয়ে যাবেন।
বেলন-চাকি
যতই ‘রোটি মেকার’ থাক, বেলন-চাকি ছাড়া রুটি, লুচি বানানো অসম্ভব। দীর্ঘ দিন একই বেলন-চাকি ব্যবহার করাও ঠিক নয়। তা ছাড়া হাতের কাছের দোকানগুলিতে কিংবা শপিং মলে এ সব জিনিস পাওয়াও যায় না। তার চেয়ে মেলায় গেলে রথ দেখাও হবে, আবার ঘরের এই জিনিসগুলিও কিনে রাখতে পারবেন। বেলন-চাকি বাইরে থেকে কিনতে গেলে দাম পড়বে ২০০-২৫০ টাকা। মেলায় ১৬০-১৮০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy