কেবল মাত্র বেশি দামই নয়, গালভরা নামও রয়েছে স্যান্ডউইচের। ছবি: সংগৃহীত
সকালের জলখাবারে কিংবা অফিসের টিফিনে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার হিসাবে অনেকেরই প্রথম পছন্দ স্যান্ডউইচ। এমনকি কফি খেতে গেলেও সঙ্গে থাকে এই পদটি। সংস্থাভেদে স্যান্ডউইচের দামেও বদল আসে। তবে এ বার আপনি চাইলে কামড় বসাতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি স্যান্ডউইচে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের স্যান্ডউইচের তুলনায় স্বাদে তো একদম আলাদা বটেই, সঙ্গে দামেও অন্যদের ছাপিয়ে গিয়েছে এই স্যান্ডউইচ।
নিউ ইয়র্কের সেরেনডিপিটি রেস্তরাঁয় পাওয়া যায় বহুমূল্য এই স্যান্ডউইচ। একটির দাম ১৭০০০ টাকা। কেবল মাত্র বেশি দামই নয়, গালভরা নামও রয়েছে স্যান্ডউইচের। এই ‘গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচ’ বানাতে নাকি অনেকটা সময় লাগে। পেরিগন শ্যাম্পেন পাউরুটির মাঝে মাখনের স্তর। আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপকরণের মধ্যে অন্যতম হল দক্ষিণ আফ্রিকার লবস্টার। এটি তৈরি করা সময়সাপেক্ষ, তাই এটি খেতে চাইলে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে অর্ডার করতে হবে। কারণ এই স্যান্ডউইচ তৈরির উপকরণগুলি সব সময় রেস্তরাঁয় মজুত রাখা হয় না। অর্ডার এলে বিভিন্ন জায়গা থেকে আনানো হয়। স্যান্ডউইচে যে চিজ ব্যবহার করা হয়, তা আনা হয় ইতালি থেকে। এক বিশেষ প্রজাতির গরুর দুধ থেকে এই চিজ তৈরি হয়। ওই প্রজাতির গরু বছরে মাত্র দু’মাস দুধ দেয়।
তবে দাম আকাশছোঁয়া হলেও, এই স্যান্ডউইচ খেতে আসেন প্রচুর মানুষ। অন্যান্য দেশেও গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচের জনপ্রিয়তা কম নয়। নিউ ইয়র্কের এই রেস্তরাঁটি এর আগেও সবচেয়ে দামি হ্যামবার্গার, হট ডগ এবং ডেজার্ট বানিয়ে শিরোনামে এসেছিল। শোনা যায়, এই রেস্তরাঁয় নাকি ঢুঁ মারতেন মেরিলিন মনরোও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy