বড়রা কী করেন, কী ভাবে কথা বলেন, কোন পরিস্থিতি কী ভাবে সামলান— এই সব কিছুই লক্ষ করে শিশুরা। তাদের মতো করে সে সব অনুকরণের চেষ্টাও করে। মনোবিদেরাই বলেন, সন্তানকে যে আদর্শে বড় করতে চান অভিভাবকেরা বা যে অভ্যাস তৈরি করতে চান, সেগুলি নিজেদের মেনে চলা দরকার। পাশাপাশি, নিয়মানুবর্তীতার শিক্ষাও দৈনিক কাজের মাধ্যমেও দিতে পারেন বাবা-মায়েরা। নিয়মকানুন কেউ এক দিনে শেখে না। বরং দিনের পর দিন একই রকম কাজ করতে করতে তৈরি হয় অভ্যাস।
১। শিশুরা খেলবে, ছড়াবে, খেলনা ভাঙবে। সেটাই স্বাভাবিক। দিনের শেষে তার খেলনা, ঘর গুছিয়ে দেবেন মায়েরা— এমনই সকলে দেখে অভ্যস্ত। তবে মনোবিদেরা বলছেন, নিজের কাজ নিজে করা, ঘর গুছিয়ে রাখার পাঠ শুরু করা দরকার ছোট থেকেই। নিজের খেলনা একটি ব্যাগে গুছিয়ে রাখতে ছোট থেকেই উৎসাহ দেওয়া দরকার। তা হলে নিজের জিনিসের যত্ন নিতে শিখবে সন্তান।
আরও পড়ুন:
২। স্কুলে কারও একটা পেনসিল কল বা ছোটখাটো জিনিস আকর্ষণীয় মনে হল, আর সে সেটা নিয়ে এল। ছোটদের মধ্যে এমন প্রবণতা অনেক সময় দেখা যায়। অন্যের জিনিস না বলে নেওয়া যে ভুল, তা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। সেই জিনিসটি যদি সন্তানের হাত দিয়ে ফেরানো হয়, তবে সে বুঝবে নিজের ভুল কোথায়, আর কী করা দরকার।
৩। খুব সাধারণ বিষয়ও শিশুর বড় হওয়ার ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। যেমন সকালে দাঁত মাজার পর ব্রাশ, মাজন সঠিক জায়গায় রাখা, ওয়ার্ড্রোব খুলে কিছু নেওয়ার পর সেটি বন্ধ করা, এগুলিও তার শিক্ষার অঙ্গ।
৪। মোবাইলের প্রতি নতুন প্রজন্মের আসক্তি নিয়ে চিন্তিত মনোবিদেরাও। বড়দের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন সরিয়ে রাখতে হয়, খাবার সময় ফোন নিয়ে বসা যায় না, পড়াশোনার সময়েও দূর রাখতে হয়ে সেটি, এই অভ্যাস ছোট থেকেই তৈরি করা দরকার।
৫। বন্ধুর থেকে আনা বই, খাতা যত্নে রাখতে হয়। উপহার থেকে যে কোনও জিনিস যত্নের সঙ্গে ঠিক জায়গায় রাখা যে জরুরি, তা-ও শৈশবে শিখে রাখলে ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে আসবে।