বিপদ কী থেকে আসতে পারে, তা বোঝা দায়। ছবি- সংগৃহীত
খেতে খেতে অন্যমনস্কতায় খাবারের টুকরো অনেক সময়ই খাদ্যনালীর বদলে শ্বাসনালীতে আটকে যায়। কিছু ক্ষণের জন্য দমবন্ধকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। কখনও জল, কখনও শুকনো রুটি, বা কখনও কলা খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। কিন্তু সমস্যা হাতের বাইরে চলে গেলে তখন চিকিৎসকের দারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। সে ক্ষেত্রে সঠিক সমাধান সম্ভব। কিন্তু চিকিৎসায় যদি গলদ থাকে, তখন জীবন নিয়ে টানাটানি। যেমনটা ঘটেছে ব্রিটেনের সারে প্রদেশে।
বছর ৫৭-র এক মহিলা আচার খেতে খেতে আমের সঙ্গে আঁটি গিলে ফেলার পর, কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। লক্ষণ ভাল নয় তা বুঝতে পেরেই আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। সোজা চলেন গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক নাকি পরীক্ষা করে তেমন অস্বাভাবিক কিছু পাননি, তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পরও তাঁর গলায় সমস্যা হচ্ছিল। গলা দিয়ে কোনও খাবারই নামতে চাইছে না দেখে চিকিৎসকরা আন্দাজ করেছিলেন, হয়তো গলায় কোনও আঁচড় লেগে এমনটা হচ্ছে। চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে আশ্বস্ত করে বলেন, যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তখন আবার হাসপাতালে আসতে।
ঘটনার চার দিন কেটে যাওয়ার পর, হঠাৎ তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর গলায় সংক্রমণ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। তৎক্ষণাৎ অন্য একটি হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। সেখানে আবার সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শুরু হয়। সিটিস্ক্যান করে দেখা যায়, তাঁর খাদ্যনালীর অনেকটা অংশ ছিঁড়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ অস্ত্রোপচার করে খাদ্যনালীর ওই ছেঁড়া অংশটি জোড়া দেওয়া এবং গলায় আটকে থাকা আঁটির অবশিষ্ট অংশ বের করে আনা হয়।
সংবাদমাধ্যমকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “মাছের কাঁটা বা মাংসের হাড়ের টুকরো নিয়ে আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হলেও ফলের আঁশ বা মুড়ির মতো সামান্য খাবারগুলির দিকে আমরা বিশেষ নজর দিই না। এমন সামান্য বিষয়গুলি থেকেও যে বড় বিপদ আসতে পারে তা মাথায় রেখেই খাওয়া উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy