কোথায় পাবেন ভাড়া করা মায়ের খোঁজ? ছবি: সংগৃহীত।
সন্তান কোনও বিপদে পড়লে মায়েরা যেমন তাদের কাছে ছুটে চলে যায়, ট্যামি কিউমিনের কাজটাও ঠিক সে রকম। রাত হোক কিংবা দিন— সন্তানদের সাহায্য করতে সদা প্রস্তুত থাকেন ৭০ বছর বয়সি বস্টনের বাসিন্দা সেই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, কোনও পড়ুয়ার মায়ের প্রয়োজন হলে তিনি আছেন তাদের পাশে।
ট্যামির তিন সন্তান। ছ’জন নাতি-নাতনি আছে তাঁর। ছাত্রদের প্রয়োজনে বাজার করা থেকে বাসন মাজা, রান্না করা— সব কাজ করতে পারেন ট্যামি। তিনি পড়ুয়াদের কাছে ভাড়া করা মায়ের সমান। এই কাজের জন্য ট্যামির একটি সংস্থাও রয়েছে। ট্যামি বলেন, ‘‘আমদের কাছে প্রি বোর্ডিং স্কুল, বোর্ডিং স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যের জন্য আসে। আমরা তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন, মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখি।’’
১৯৯৩ সালে ট্যামি ‘কনসিয়ার্জ সার্ভিস ফর স্টুডেন্টস’ নামক সংস্থাটি তৈরি করেন। কেবল আমেরিকার ছাত্রদেরই নয়, আমেরিকায় পড়তে আসা বিদেশি ছাত্রছাত্রীদেরও তিনি অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। বছরে ১০,০০০ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা) বিনিময় তিনি এই কাজ করেন।
নিয়মিত খাবার সরবরাহ, পড়াশোনায় সহায়তা, স্পায়ের বুকিং, সপ্তাহান্তে হোটেলে খাওয়াদাওয়া, জিম মেম্বারশিপের ব্যবস্থা করা, আবাসনের খোঁজ করা, আসবাবপত্র কেনা, পার্টি পরিকল্পনা, জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া— এক জন পড়ুয়ার প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে ট্যামির সংস্থা। ট্যামির দলে আরও চার জন মা রয়েছেন। সংস্থার কাজ পাঁচ মায়ের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। বছরের ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টাই পরিষেবা দেয় ট্যামির সংস্থা। ট্যামি বলেন, ‘‘ভিন্ন প্রদেশে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা, যারা বাড়ি থেকে দূরে থাকে, তাদের জন্য আমরা সব সময়েই আছি। তারা তাদের যে কোনও প্রয়োজন সম্পর্কে আমাদের জানাতে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy